মধুর কৃষ্ণ ভজন।

Описание: মধুর সুরে কৃষ্ণ ভজন শ্রবণ করলে মন ও দেহ শান্তি অনুভব করে। এই শান্তির অভিজ্ঞানে মানুষ ভগবানের সান্নিধ্য প্রাপ্ত হয়। মনোবল শক্তিশালী হলেও এই প্রাপ্তি সম্পন্ন করতে ভগবানের ভক্তি ও ভজনের প্রয়োজন। মন যখন সততা ও শান্তি অনুভব করতে পারে, তখন মানুষ ভগবানের নিত্যধামে চলে যেতে পারে, সাক্ষাত্ ভগবানের সাথে থাকতে পারে।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মনোনিবেশে ভজন করা, তার মাধুর্যময় স্বভাবে অনুভব করা যায় শ্রদ্ধাভক্তির মাধ্যমে। শ্রদ্ধাভক্তি হলো মনোনিবেশ যা ভগবানের দিকে মনোনিবেশে চলে আসা, তার অর্থ ভগবানের বারে চিন্তা করা, ভগবানের গুণ, লীলা, অনুভব, স্বভাব, মহিমা ইত্যাদি মনে করা, ভগবানের নাম, রূপ, গুণ, লীলা বা স্বভাবে নিত্যবর্ত্মানে ব্যাপক হওয়া ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করা, অন্যান্য মনোনিবেশে ভগবানকে চিন্তা করা।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ভজনের মাধ্যমে সকল মানবজীবনে শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি, মানবিক পরিপূর্ণতা, দিব্য প্রেম, দয়া, করুণা, মেধা, প্রজ্ঞা, জ্ঞান, প্রবৃত্তি, নৈতিকতা, আদর্শ, সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, আত্মবিশ্বাস, আত্মনির্ভর ইত্যাদি গুণ অর্জন হয়।

ভগবানের শ্রদ্ধাভক্তির মাধ্যমে মানুষ সকল প্রকার অজ্ঞান, অজ্ঞানের কারণে হয়ে থাকা সকল কষ্ট, দুঃখ, পীড়না, রোগ, মৃত্যু, জন্মমৃত্যুর চক্রে বাধিত থাকা, আপত্তি, পরস্পরে ক্ষমতা না থাকা, অজ্ঞানের কারণে অপরাধ করা ইত্যাদি সকল দুর্বলতা হয়ে থাকা থেকে মুক্তি অর্জন করে।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অনুভব করার জন্য ভক্তদের মনে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস থাকা আবশ্যক। আমাদের মনে নিত্যবাসী হওয়া ভগবানের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা থাকলেই এই অনুভব সম্পন্ন হয়।

হরে কৃষ্ণ, জয় নিতাই, জয় শ্রী গুরুদেব। এই মন্ত্রটি আমাদের দ্বিজাতি ধর্মবিশেষে গৌড়া বৈষ্ণব ধর্মে গুরুপ্রণামের পরবর্তী মন্ত্র হিসেবে প্রচলিত। এটি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের অদ্ভুত লীলা, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রকট লীলা, গৌড়-প্রকট লীলা, নিত্যানন্দ মহাশয়ের লীলা, রসিক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামকীর্তন, ভগবানের নামমহিমা ইত্যাদি নির্দেশ করে। এই মন্ত্র জাপ করতে গুরুর শরণে আসা, গুরুদেবের পদে শ্রদ্ধা প্রদান করা, গুরুদেবের পদ চরণ মন্ত্র জাপ করা, গুরুদেবের পদে শ্রদ্ধাভক্তি ও নিত্যানন্দ প্রভুর পদে শ্রদ্ধাভক্তি অর্জন করা যায়।

আমরা যখন ভগবানের নাম কীর্তন করি, তখন আমাদের মন জয়গোচর হয় এবং ভগবানের নাম মনে প্রকট হয়। ভগবানের নামে মন যখন অন্তর্ভুক্ত হয়, তখন মন বুদ্ধির চেয়ে উচ্চ হয় এবং ভগবানের সান্নিধ্য মহাত্মা মনুষ্য দেহ সহ উপযুক্ত হয় তাতে তার চেতনা পারবে আত্মবিশ্বাস এবং অপরাধ কমিয়ে যাবে।
‪@hktv108‬
‪@prosatno88‬