অসুস্থ হনুমান নিজের চিকিৎসা করাতে ঢুকে পড়ল ডাক্তারের চেম্বারে, ভিডিও ভাইরাল
Автор: Du Paisa ( দু পয়সা )
Загружено: 2022-05-07
Просмотров: 7374
Описание:
বাঁকুড়া:- শরীর খুবই অসুস্থ , শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছে। তাই একটি বুনো হনুমান নিজের চিকিৎসা করাতে সোজা চলে এল ডাক্তার বাবুর চেম্বারে। শুধু তাই নয়, ইশারা ইঙ্গিতে দেখিয়ে দিল চোখের সমস্যা । শরীরের আর কোথায় অসুবিধা হচ্ছে সেটাও দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ডাক্তারবাবু পশু চিকিৎসকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে ঔষধ দেন। ঔষধ নিয়ে টানা প্রায় দুঘণ্টা বেডে শুয়ে থাকল হনুমানটি। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সিমলাপালের দুবরাজপুর গ্রামে গ্রামীন চিকিৎসক অনিমেষ পালের চেম্বারে।
দুপুর বারোটা নাগাদ ডাক্তার পালের চেম্বারে গিয়ে দেখা গেল মাঝবয়সি একটি হনুমান রোগীদের বসার আসনে শুয়ে আছে। তখন ডাক্তারবাবু অন্যান্য রোগীদের দিব্যি চিকিৎসা করছেন। সাধারণ মানুষ গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। কেউবা এনেছেন কলা, কেউবা আপেল। কিন্তু কোন কিছুই খাচ্ছেনা হনুমানটি। বারবার চোখ এবং মাথায় হাত দিয়ে কিছু একটা বোঝাতে চাইছে।
এ বিষয়ে গ্রামীণ চিকিৎসক অনিমেষ পাল জানালেন ,হনুমানটিকে চেম্বারে দিকে আসতে দেখে ভয়ে আমি দরজা বন্ধ করে দিই। এরপর হনুমানটি চেম্বারে পাশেই একটি জলের ট্যাপ খুলে জল খায় ,তারপর ট্যাপটি যথারীতি বন্ধ করে দেয়। যা দেখে উপস্থিত অন্তত কুড়ি জন মানুষ হতবাক।এখান থেকে এসে হনুমানটি বারবার আমার দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে। দরজা না খোলায় রাগে পাশাপাশি সাইকেল গুলোকে উল্টিয়ে দেয়। এরপর দরজা খুলতেই হনুমানটি রুগীদের ভিড় ঠেলে সরাসরি আমার টেবিলের উপর আমার মুখোমুখি বসে। ঔষধের খাপ নিয়ে আমাকে ইশারা করে দেখায় ঔষুধ দাও। শুধু তাই নয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় চোখে যন্ত্রণা হচ্ছে এমন কিছু। খবর পেয়ে অনেকেই বিভিন্ন রকমের ফল খেতে দেয় হনুমানটিকে। কিন্তু কোনো ফল না খেয়ে ইলেকট্রিক ফ্যানের নিচে বাতাসে চুপচাপ শুয়ে থাকে। একবার ইশারা করে ফ্যানের স্পিড বাড়াতে বলে। পরে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসক চোখে আই ড্রপ দেন। ব্যথানাশক ঔষধ হনুমানটি নিজেই খেয়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান । দুপুর 2 টা নাগাদ দুবরাজপুরের বিট অফিসার ডাক্তার বাবুর চেম্বার এ এলে হনুমানটি মোটরসাইকেলে চেপে বিট বাবুর সাথে ফরেস্ট অফিসে চলে যায়। কিন্তু যন্ত্রণা বাড়তে থাকায় ফের হনুমানটি বিকেল পাঁচটা নাগাদ ডাক্তার বাবুর চেম্বার এ একইভাবে শুয়ে থাকে। কেউ তো ডাক্তার পাল কোন চিকিৎসা করেন নি। তিনি বলেন আমি পশু চিকিৎসক নয় কাজেই এটা আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে না। রাতে হনুমানটি ডাক্তার বাবুর চেম্বারে পাশাপাশি এলাকা ছিল। শুক্রবার হনুমানটিকে দেখতে পাওয়া যায়নি বলে দুবরাজপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানালেন।
তবে এই বিষয়ে সারেঙ্গা রেঞ্জ অফিসার সুরজিৎ কুমার মজুমদার জানান, হয়তো এই প্রখর রোদে এই হনুমান টি অসুস্থ বোধ করেছিল বা জল খাবার জন্য দুবরাজপুর এলাকায় ঐ চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে পড়েছিল। বর্তমানে হনুমাটিকে দুবরাজপুর বিট এলাকার থেকে সারেঙ্গা রেঞ্জে আনার পর চিকিৎসা করিয়ে বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে হনুমানটিকে। এবং পরে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: