নবী করীম (সা: )মাহে রমজানের প্রস্তুতি কিভাবে নিতেন | মুফতি আবু সাঈদ ফারুকী | তাসবি টিভি
Автор: তাসবি টিভি
Загружено: 2025-02-08
Просмотров: 324
Описание:
নবী করীম (সা: )মাহে রমজানের প্রস্তুতি কিভাবে নিতেন | মুফতি আবু সাঈদ ফারুকী | তাসবি টিভি
#রমজানের_প্রস্তুতি #মুফতি_আবু_সাঈদ_ফারুকী_নারায়ণগঞ্জ #তাসবি_টিভি
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহে রমজানের প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিতেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে তাঁর প্রস্তুতির কিছু দিক নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১. *মানসিক প্রস্তুতি ও ইবাদতের প্রতি মনোযোগ*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতেন এবং ইবাদতের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতেন। তিনি শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন এবং রমজানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবীজী শাবান মাসে এত বেশি রোজা রাখতেন যে, মনে হতো তিনি এই মাসে রোজা ছাড়বেন না।
২. *তাওবা ও ইস্তেগফার*
রমজানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তেগফার করতেন। তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং গুনাহ থেকে তাওবার মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে বলা হয়েছে, "হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে খালেছ তওবা করো; আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করে দেবেন"।
৩. *কোরআন তিলাওয়াত ও তারাবিহর প্রস্তুতি*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। তিনি এই মাসে জিবরীল (আ.)-এর সাথে কোরআন মুতালাআ করতেন এবং তারাবিহ নামাজের মাধ্যমে রাতের ইবাদতকে আরও সমৃদ্ধ করতেন।
৪. *দান-সদকা ও মানবিকতা*
রমজানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি দান-সদকা করতেন। তিনি গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করতেন এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকতেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবীজী বলেছেন, "তোমার ভাইকে সাহায্য কর সে জালেম হোক বা মাজলুম"।
৫. *রমজানের ফজিলত ও উপকারিতা স্মরণ*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে উম্মতকে সচেতন করতেন। তিনি বলতেন, রমজান হলো ক্ষমা, রহমত ও মুক্তির মাস। এই মাসে শয়তানকে বন্দী করা হয় এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়।
৬. *রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের চাঁদ দেখার জন্য বিশেষভাবে তৎপর থাকতেন। তিনি উম্মতকে চাঁদ দেখার নির্দেশ দিতেন এবং রমজানের শুরু ও শেষ নির্ধারণে চাঁদের ওপর নির্ভর করতেন।
৭. *রমজানের জন্য দোয়া*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান পাবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। তিনি বলতেন, "আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান" অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
৮. *রমজানের রুটিন নির্ধারণ*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের দিন ও রাতের রুটিন নির্ধারণ করতেন। তিনি সাহরী ও ইফতারের সময়সূচী মেনে চলতেন এবং রাতের ইবাদতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।
৯. *গুনাহ থেকে বিরত থাকা*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গুনাহ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতেন। তিনি উম্মতকে খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করার এবং পবিত্র জীবনযাপনের নির্দেশ দিতেন।
১০. *রমজানের শিক্ষা ও মাসআলা জানা*
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের মাসআলা ও শিক্ষা সম্পর্কে উম্মতকে সচেতন করতেন। তিনি রোজার নিয়ম-কানুন, ফরজ ও সুন্নত সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতেন।
উপসংহার
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রমজান প্রস্তুতির পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত ও ইবাদতমুখী। তিনি মানসিক, শারীরিক ও আত্মিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতেন এবং উম্মতকেও একই পথে চলার নির্দেশ দিতেন। রমজান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমাদেরও উচিত নবীজীর আদর্শ অনুসরণ করে এই মাসকে যথাযথভাবে পালন করা।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: