বেকারত্ব নিয়ে হতাশা| কিছু করতে না পারা নিয়ে হতাশ? motivational video| বাংলা অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও।

Описание: Emran Hossen Sumon.
আমাদের ফেইসবুক পেইজ লিংক -   / sumon.emranhossen  


আমাদের এই প্রজন্মের অবস্হা দেখুন
-----------------------------------------------------
দেশে ৫০% নেট ইউজ করা পাবলিক এখনো
ইমেইল আর জিমেইলকে আলাদা জিনিস মনে করে। এইত সেদিন একজন কে আইডি ঠিক করার জন্য প্রশ্ম করলাম
আপনার ই মেইল আইডি দেন
সেই লোক অনার্সে পড়ে, আমাকে উত্তর দেয়
ভাই আমার ইমেইল নাই জি মেইল আছে।

এবার বুঝেন অবস্থা। সেই লোক যখন চাকরির এপ্লাই করবে সেই লোক ও লিখে রাখবে
এক্সপার্ট ইন কম্পুটিং ।

দেশে বেকারত্ব নিয়ে হাহাকার করা ৭০% গ্র‍্যাজুয়েট বেকার এখনো নিজের সিভি নিজে বানাতে পারেনা। কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে সস্তা ফরমেটে কোনমতে সিভি বানিয়ে নেয়। কভার লেটার জিনিসটা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তাদের সিভি দেখলে মনে হয় কোনমতে নাম ঠিকানা লিখে দিলেই সিভি হয়ে যায়।

৮০% স্নাতক পাশ বেকারের প্রফেশনাল নেট ওয়ার্কিং এর সবচাইতে বড় জগত লিংকডইন সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। আমার অনেক গ্র‍্যাজুয়েশন করা বন্ধু লিংকড ইনের নামই শুনেনি।

৭০% অনার্স পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী এখনো এসাইনমেন্ট আরেকজনের টা কপি করে।
এটা শুনলেও বিশ্বাস হবেনা ৮০% ইন্টারনেট ইউজার এখনো গুগল করে একটা মুভি ডাউনলোড লিংক বের করতে পারেনা। তারা এখনো আকাট মুর্খের মত প্রশ্ম করে
ভাই মুভি ডাউনলোডের ওয়েবসাইটের নাম কি?
গুগল জিনিস টা আছেই আমাদের যাতে কোন সাইটের নাম মুখস্ত করতে না হয়।

একটা মুভি ডাউনলোড লিংক বের করতে পারেনা যারা, তারা কিভাবে নেট থেকে গবেষণার জন্য পিয়ার রিভিউড জার্নাল লিংক ,ডেটা বের করতে পারবে।
বেশীরভাগ পিসি ইউজারের কাছে এক্স পি সেট আপ দেয়া এখনো রকেট সায়েন্স। তারাই আবার ভাবে দেশের ভার্সিটিগুলো হার্ভাড হবে।

৮০% স্মার্টফোন ইউজারের কাছে নেট মানে ফেসবুকে ছবি দেয়া ,ইউটিউবে গান দেখা। এদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বলে
দেখোত আমার এফ বিটা নষ্ট হয়ে গেছে কিনা
ওরা জীবনে ফেসবুক সেটিংস টাতেও ঢুকে দেখেনি কি আছে ওতে

এসব অতিবুদ্ধিজীবীরা নিজেরা স্কিল লেভেলের দিকে জিরো হলেও এরাই আবার ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ট্রল করে ,স্যাটেলাইট নিয়া আবার মজা করে
এরাই সাকিবের বউ এর পর্দা করা নিয়া চিন্তিত। ।

অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো এদের কে একটা এপ্লিকেশন লিখতে দেন, ইংরেজীতে বানান ভুলের সুনামি ঘটিয়ে দিবে।
বেকারত্ব নিয়া হাহাকার করা সহজ, কিন্তু সত্যটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে আনস্কিল্ড গ্র‍্যাজুয়েটদের দেশ হলো বাংলাদেশ।
হাতে আমাদের আইফোন ,দেশে ফোর জি কিন্তু সেলফ ডেভেলপমেন্টের বিন্দুমাত্র চেষ্টা নেই আমাদের। কিন্তু বড় একটা চাপা আছে। কথায় কথায় এম আইটি ,হাভার্ড এর চাপা ছাড়ে।

একটা সিভি বানানোর যোগ্যতা নেই ,ই মেইল আর জিমেইলের ডিফারেন্স বুঝেনা। আজীবন সিজিপিএ আর গ্রেড ছাড়া কিছু চিনেনি।
শুধু সার্টিফিকেট পেলেই স্কিল্ড হয়না কেউ।

স্কিলের দিক দিয়ে পাশের দেশ ইন্ডিয়ার ছাত্রদের পাশে দাড়ানোর যোগ্যতা নেই আমাদের। যতদিন সেল্ফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট আমরা শুরু না করব ততদিন এপলে চাকরির গল্প শুনেই যাবো। আর কারেন্ট এফেয়ার্সে সোমালিয়ার রাজধানীর নাম মু্খস্ত করেই যাবো।
আমাদের যোগ্যতা আছে শুধু ট্রলের। এ দিক দিয়ে আমরা বিশ্বসেরা।


আপনার হয়তো গাড়ি বাড়ি , হাফ ডজন কাজের লোক এসবের কিচ্ছু নেই। তিন-চারটা টিউশনি করে সেমিস্টার ফী যোগান দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে ভাবছেন অন্যরা আপনার চাইতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আসলে, অন্যরা আপনার চাইতে এগিয়ে যায় নি। হয়তো আপনার বাপের চাইতে আরেকজনের বাপ এগিয়ে থাকতে পারে কিন্তু আপনার চাইতে আরেকজন এগিয়ে যায় নি।

ঘোড়ার রেইস লাগলে, কোনটা জমিদারের ঘোড়া আর কোনটা কৃষকের ঘোড়া, তাতে কিছু যায় আসে না। যে ঘোড়ার দম বেশি, পায়ে জোর বেশি, হর্স পাওয়ার বেশি, সে ঘোড়াই জয়ী হবে। তাই বাপের জোরে কে আপনার চাইতে কত মাইল এগিয় আছে সেটা হিসাব করার কিচ্ছু নেই। আপনার পায়ে জোর থাকলে, বুকে সাহস রেখে দৌড় দিতে পারলে, অল্প কয়দিনেই অন্যরা পিছনে পড়ে যাবে।

আজকে কে কোন লেভেলে আছে সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার হচ্ছে, কালকে কে কোন লেভেলে থাকবে। কে কে নিজেকে দৌড়ের মধ্যে রেখে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবে।

যাত্রা শুরু করতে গেলে আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, রাস্তার ৯০ ভাগ ভালো জায়গা দেখেও, নিজেদের ভিতরে রাস্তায় নামার কনফিডেন্স তৈরি করতে পারি না।
বরং বাকী ১০ ভাগের দুই চারটা গর্তে,
কে কবে পা দিয়ে হাঁটু ভেঙ্গে ফেলছে,
সেটা নিয়ে গবেষণা করতে করতে ছয় মাস পার করে দেই।

হাত পা ঘুটিয়ে বসে থাকি কিন্তু রাস্তায় নামি না। আসলে, গর্তের সাইজ দেখে ভয় না পেয়ে, গর্তকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য যে যত বেশি পরিশ্রম করবে, যত বেশি চেষ্টা করবে, সে তত বেশি এগিয়ে যাবে, তত বেশি অসম্ভব কে সম্ভব করবে।

, রাত জেগে সাধনা করে কিছু অর্জন করার মজা আর নাক ডেকে ঘুমানোর মজা এক সাথে পাওয়া যাবে না। যে ছেলেটা খেলা দেখা বাদ দিয়ে, আড্ডা-ট্রলগিরি পাশ কাটিয়ে স্বপ্নের পিছনে সাধনা করে যাচ্ছে, সে তার সাধনার ফল পাবেই।

আজকে একটু বেশি মাস্তি করতে গিয়ে, একটু বেশি রিলাক্স করতে গিয়ে, বাকি জীবনটাকে রিস্কের মধ্যে ফেলে দেয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আজকের দিনটা আসলেই অনেক বড়। ২৪ ঘন্টা সময়। এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে, দুই তিন-ঘন্টা আপনার ফিউচারের জন্য ইনভেস্ট না করলে, আপনার অবস্থান আপনা আপনি চেইঞ্জ হয়ে যাবে না।

আজকের দিনটা চলে গেলে এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক মিনিটও ফিরে পাবেন না। আপনি চাইলে, গতকালকে কিংবা আগের বছরে ফিরে গিয়ে এক মিনিট সময়ও আপনার ফিউচারের জন্য ইনভেস্ট ।

#bangla_motivational_Video
#bangla_motivational_status
#motivation
#অনুপ্রেরণামুলক_ভিডিও
#মটিভেশনাল_ভিডিও