উহুদের মর্মান্তিক ঘটনা ও তার শিক্ষা || sharif express||
Автор: SHARIF EXPRESS
Загружено: 2019-12-27
Просмотров: 3995
Описание:
উহুদের পরিচয়: উহুদ মদীনা থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম। সেখানে হজরত হারুন (আ.) এর কবর রয়েছে। বর্ণিত আছে যে, হজরত মুসা ও হারুন (আ.) হজ বা উমরা আদায়ের উদ্দেশ্যে মক্কায় সফর করেন। আসার সময় উহুদের কাছে এসে হজরত হারুন (আ.) অসুস্থ হয়ে যান। এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন। তার দাফনও সেখানে সম্পন্ন হয়। নবী করীম (সা.) কোনো অভিযান শেষ করে ফিরে আসার সময় উহুদের পাহাড় দেখে বলতেন, ‘ওই পাহাড়টা আমাদের ভালোবাসে আমরাও তাকে ভালোবাসি।’ (সহীহ বোখারী)।
ইহুদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পৃথক, একক। যেহেতু উহুদ পাহাড় অন্যান্য পাহাড় থেকে পৃথক তাই ওকে উহুদ নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে উহুদে পার্শ্বে, উহুদের শহীদগণের কবর রয়েছে।
উহুদের ময়দানে সেনা বিন্যাস: উহুদের ময়দানে পৌঁছে নবী করীম (সা.) মুজাহিদ বাহিনীকে বিন্যাস করেন। মদীনাকে সামনে ও উহুদ পাহাড়কে পেছনে রেখে যুদ্ধের কৌশল ঠিক করেন। এই কৌশল ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ আবার সুবিধাজনক বটে। উহুদের পিছন থেকে এক জায়গা দিয়ে হামলার আশংকা ছিলো তাই নবী করীম (সা.) সেখানে পঞ্চাশ জনের একটি তীরান্দাজ বাহিনী বসান। এবং তাদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন যে, মুসলিম বাহিনী বিজয়ী হোক বা পরাজয় বরণ করোক সর্বাবস্থায় তোমরা এখানে অটল থাকবে। যুদ্ধের শুরুতে মুসলিম বাহিনী বিজয়ী হলে তারা পাহাড়ের ওই গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছেড়ে চলে আসে। তখন খালিদ বিন ওয়ালিদ, যিনি তখনো মুসলমান হননি পেছন দিক থেকে আক্রমন করে যুদ্ধের দৃশ্য পাল্টিয়ে দেন। তখন হজরত হামযা (রা.)সহ বহু বড় বড় সাহাবি শহীদ হন। স্বয়ং নবী করীম (সা.) গুরুতর আহত হন।
রাসূল (সা.)কে শহীদ করার জন্য কাফেররা বার বার আক্রমন করে। কিন্তু সাহাবায়ে কেরামের জীবনের বিনীময়ে তিনি রক্ষা পান। শয়তানের পক্ষ্য থেকে প্রচার করা হয় নবী করীম (সা.) শাহাদাত বরণ করেছেন। এতে সাহাবায়ে কেরামের মনোবল ভেঙ্গে যায়। বিশৃঙ্খলার কারণে মুসলমানদের হাতে মুসলমানরা শহীদ হন। অবশেষে রাসূল (সা.) এর দৃঢ় অবস্থানের কারণে কাফেররা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে চলে আসে। এবং ঘোষণা দিয়ে আসে আগামী বছর বদরে আবার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ হবে
উহুদের শিক্ষা: আল কোরআনে যে কয়টি যুদ্ধের আলোচনা হয়েছে তার মাঝে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উহুদের যুদ্ধ নিয়ে। সেখানে তোলে ধরা হয়েছে উহুদের শিক্ষণীয় অনেক দিক। নিম্নে কিছু দিকে নিয়ে আলোচনা করা হলো-
এক. সবকিছুর ভরসা এক আল্লাহ: উহুদের যদ্ধে নবী করীম (সা.) যখন দেখলেন, আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা কবিতা দিয়ে কাফেরদের মাঝে উম্মাদনা সৃষ্টি করছে তখন নবী করীম (সা.) এই দোয়া পড়েন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছ থেকেই শক্তি সঞ্চয় করি, তোমার নামেই যুদ্ধ পরিচালনা করি এবং তোমার দ্বীনের জন্যই লড়াই করি। আমার জন্য আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট-তিনি উত্তম অভিভাবক।’ এই দোয়ার প্রতিটি শব্দ আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার সম্পর্ককে নিবিড় করে।
দুই. অমুসলিমদের জন্য বদদোয় না করা: উহুদের যুদ্ধে আহত হয়ে নবী করীম (সা.) বলেন, ওরা কেমন নিজেদের মাঝে প্রেরীত নবীকে আঘাত করে। তখন কোরআনের আয়াত নাজিল হয়। যাতে বলা হয়েছে, তাদের তওবা কবুল করা বা তাদেরকে শাস্তি দেয়া আল্লাহর ইচ্ছায়। এখানে আপনার কোনো দখল নেই।
তিন. দায়িত্বশীলের নির্দেশ মান্য করার গুরুত্ব: উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের বাহ্যিক কারণ মনে করা হয় তীরান্দাজ বাহিনী নিজেদের স্থান ত্যাগ করা। অথচ তাদের বলা হয়েছিলো কোনো অবস্থাতেই ওই স্থান ত্যাগ করা যাবে না। এর দ্বারা আমীর বা নেতৃত্বে নির্দেশ মানার গুরুত্ব বুঝে আসে। সকল বিষয়ের প্রকৃত গুরুত্ব আমীর বা নেতার উপলব্ধিতেই থাকে। তাই অন্যদের দৃষ্টিতে ভিন্ন কিছু মনে হলেও সকলের উচিত নেতার নির্দেশকেই একবাক্যে মেনে নেয়া।
চার. প্রশিক্ষণের গুরুত্ব: রাসূল (সা.) আমাদের মতোই মানুষ। আর মানুষ মাত্রই মরনশীল। তাই তিনি যেকোনো মুহূর্তে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারেন। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম, যারা নিজেদের জীবনের চেয়ে তাকে ভালোবাসতেন হঠাৎ তিনি বিদায় নিলে তারা সহ্য করতে পারবেন না। তাই তাদের উপলব্ধিকে জাগ্রত করার জন্য রাসূল (সা.) এর মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করা হলো। যেন তাদের উপলব্ধিতে থাকে যে তিনি মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তাছাড়া আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল, দুনিয়ার প্রতি লোভের ক্ষতি ইত্যাদিও উহুদের যুদ্ধ থেকে শেখা যায়। fore more videos click on
https://cutt.ly/picnic-2019
https://cutt.ly/3e8ZyOJ
follows on
/ shariful46
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: