২৬.৭৩ বিলিয়ন রিজার্ভ! এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ!!খবরের ক্যানভাস।
Автор: খবরের ক্যানভাস
Загружено: 2025-04-24
Просмотров: 11
Описание:
গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন নেতৃত্ব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যে আনছে নতুন গতি ও স্থিতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের ফলে রেমিটেন্স, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং জ্বালানি খাতে সংস্কার—এই তিনটি খাতে এসেছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও আইএমএফ-এর পদ্ধতিতে হিসাব করলে এই রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, এবং প্রকৃত ব্যয়যোগ্য নেট রিজার্ভ প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার।
এই রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে প্রবাসী আয়। শুধুমাত্র এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনেই ১০৫ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে দেশে। আর মার্চ মাসে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকে টানা সাত মাস রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যাংক-ভিত্তিক প্রণোদনা এবং বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর সুবিধা এই ধারাবাহিক প্রবাহের পেছনে কাজ করছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার আরেকটি বড় দিক হলো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। মাত্র আট মাসে ২৯ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করে এই ঋণ কমিয়ে আনা হয়েছে ৮২৯ মিলিয়ন ডলারে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গৃহীত কঠোর নীতি ও পরিকল্পনার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সরকার জ্বালানি খাতে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়েছে, যার ফলে এলএনজির ইউনিট মূল্য ৭০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকায় আনা সম্ভব হয়েছে। যদিও এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় বেড়েছে, তবুও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে।
এছাড়াও, গ্যাস খাতেও ঋণের বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যেখানে বকেয়া ছিল ৭৫ কোটি টাকা, এখন তা কমে ২৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
রেমিটেন্স বৃদ্ধি, ঋণ পরিশোধের গতি, এবং জ্বালানি খাতে বাস্তবমুখী সংস্কার—এই তিনটি ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তই এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রধান চালক।
বিশ্লেষকদের আশা, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে আরও দৃঢ়, আরও আত্মবিশ্বাসী।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: