সাধু সঙ্গ নিলে না। বাউল গান। লালন ফকির মাজার ছেউঁড়িয়া কুমারখালি কুষ্টিয়া
Автор: Abdur Rahim
Загружено: 2025-11-23
Просмотров: 3
Описание:
লালন ফকির (১৭৯৪-১৮৭২) বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিভাবান বাউল সাধক ও সমাজচিন্তাবিদ। তিনি শুধু গীতিকার নন, বরং সামাজিক ও ধর্মীয় চেতনার মাধ্যমে মানুষকে একত্রিত করার প্রতীক ছিলেন। তার গানগুলি “লালনের গান” নামে পরিচিত এবং এগুলি বাউল সঙ্গীতের অন্যতম মূল ভিত্তি।
লালন ফকিরের গানের ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য:
1. সমাজ ও ধর্ম নিরপেক্ষ গান
লালনের গান সমাজের উভয় স্তরের মানুষের জন্য লেখা হয়েছিল। তিনি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন, ধর্মীয় ভেদাভেদ, জাতিগত বৈষম্য এবং সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে গান করেছেন। তার গানে ধর্মীয় চেতনা ও মানবিকতার মেলবন্ধন স্পষ্ট।
2. বাউলধারা ও লোকসঙ্গীত
লালনের গান মূলত বাউলধারার মধ্যে আসে। বাউলরা সাধারণত গ্রামের সাধারণ মানুষ, যাদের গান সাধনা, প্রেম ও মানবিকতা নিয়ে তৈরি। লালনের গান সহজ, সরল ভাষায় হলেও গভীর তাত্ত্বিক অর্থ বহন করে।
3. সঙ্গীতধর্ম ও বিন্যাস
তাল: সাধারণত এক ধরনের তাল বা ছন্দে গান করা হতো।
বাদ্যযন্ত্র: একক বা সীমিত বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার হত, যেমন ঢোল, খোল, একতারা।
গানের ধরন: ধ্যানমগ্ন ধ্যানধারার গান, প্রেমময় গান, দার্শনিক গান।
4. প্রধান থিম
মোহ ও মায়া ত্যাগ: “মায়া” বা অহংকার ত্যাগের বার্তা।
মানবিকতা: মানুষকে ভালোবাসা ও সমতার শিক্ষা।
আধ্যাত্মিকতা: ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা বা ‘রূপ’কে খুঁজে পাওয়ার অন্বেষা।
ধর্মীয় সমন্বয়: হিন্দু-মুসলিম সমন্বয় ও বৈষম্যবিরোধী বার্তা।
5. সংরক্ষণ ও প্রসার
লালনের গান লিখিতভাবে সংরক্ষিত হয়নি; সেগুলি মুখে মুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে রয়ে গেছে। পরে ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং ২০শ শতাব্দীতে গবেষকরা গানগুলি সংগ্রহ ও লিখিত আকারে প্রকাশ করেন।
সমসাময়িক প্রভাব
লালনের গান আজও বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের লোকসংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ। গানগুলি বাউল সঙ্গীতের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মানবিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও স্বাধীনচেতা চিন্তার সঙ্গে পরিচয় করায়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: