রাতের আমল কি করবেন ✓

Описание: রাতের আমল কি করবেন ✓ #viralvideo #abu_toha_muhammad_adnan #viral #shortsfeed

ইসলামে রাতের আমলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাতের ইবাদত আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক দারুণ সুযোগ। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে রাতের আমলের গুরুত্ব বারবার বলা হয়েছে। রাতের আমলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়: ঘুমানোর আগের আমল এবং শেষ রাতের আমল।
ঘুমানোর আগের আমল
রাতের আমলের শুরু হয় ঘুমানোর আগে, যা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে এবং আল্লাহর রহমত নিয়ে আসে।
অজু করা: ঘুমানোর আগে অজু করে নেওয়া খুবই ফজিলতপূর্ণ।
আয়াতুল কুরসি পাঠ: এতে সব ধরনের ক্ষতি ও শয়তানের প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
সূরা বাকারা'র শেষ দুই আয়াত পাঠ: এর মাধ্যমে রাতে নিরাপত্তা লাভ করা যায়।
সূরা মুলক পাঠ: এই সূরা পাঠ করলে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তিন 'কুল' পাঠ: সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে শরীর মুছে নিলে অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ক্ষমা প্রার্থনা (ইস্তেগফার): ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে নিজের পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া।
ডান কাত হয়ে শোয়া: ডান হাত গালের নিচে রেখে শোয়া এবং নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করা নবীজির (সা.) অভ্যাস ছিল।
তাসবিহ পাঠ: ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।
শেষ রাতের আমল
রাতের শেষ ভাগ আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অসাধারণ সময়, যখন তাঁর রহমতের দরজা খুলে যায়। এ সময়ের ইবাদত আল্লাহর কাছে অনেক বেশি মূল্যবান।
তাহাজ্জুদ নামাজ: এটি একটি নফল ইবাদত, যা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আদায় করা হয়। এই নামাজে আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
দোয়া ও ইস্তেগফার: হাদিসে বলা আছে, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং জিজ্ঞেস করেন, "কে আছে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব"।
কুরআন তিলাওয়াত: রাতের শেষ ভাগে কুরআন তিলাওয়াত করলে তার মর্যাদা বেড়ে যায়।
জিকির ও আল্লাহর স্মরণ: এই সময়ে আল্লাহর জিকির ও তাঁর মহিমা স্মরণ করা হয়। এটি অন্তরকে প্রশান্ত করে।