বংশীপুর ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ।।Bangsipur Historic Shahi Mosque
Автор: Imran Chowdhury
Загружено: 2021-06-30
Просмотров: 1363
Описание:
বংশীপুর ঐতিহাসিক শাহী মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ঃ
আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যই বলে দেয় আমি কে কি আমার পরিচয়।আমার আজকের এই অবস্থানে আস্তে কত লক্ষ কোটি মানুষের অতিতে জীবন উথসরগ করেছেন আমাদের আজকের এই অবস্থান টি তৈরি করে দিতে।আর রেখে গেছে তাদের সময়ের সেই প্রাসাদ বা তাদের কর্ম গুলি যা আজ আমাদের কাছে ঐতিহাসিক নিদর্শন।বংশীপুর শাহী মসজিদ সাতক্ষিরা জেলার ঈশ্বরীপুরের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান যা মহান আল্লাহর অপুরুপ নির্দষণ।
শ্যামনগর উপজেলা হতে প্রায় ৬কিমি দক্ষিনে বংশীপুর বাসষ্টান্ড আছে,এর উত্তর পাশে বংশীপুর শাহী মসজিদ অর্বস্তিত।যেহেতু এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি মাটির নিচে চাপা ছিল তাই এই নিদর্শনটি নিয়ে নানা মত থাকবেই এটাই স্বাভাবিক।
একদিন ঘরের প্রয়োজনে জঙ্গলের মাটি কাটছিলেন এক ব্যক্তি।হঠাৎ শক্ত কিছুতে বেঁধে গেলো কোদাল।মাটি সরিয়ে পাওয়া গেলো দেওয়াল, ছাদ, গম্বুজের অবয়ব।গ্রামবাসী মিলে চারপাশের মাটি সরালে বেরিয়ে পড়লো আস্ত মসজিদইটাই।১৩৩ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা।আর চওড়া মাত্র সোয়া ৩২ ফুট।এমন লম্বাটে আয়তাকার মসজিদ আর কোথাও কেউ দেখেছে কি না কে জানে!এলাকায় গায়েবি মসজিদ নামে নাম ছড়িয়ে পড়লো মসজিদটির।কাগজপত্রে বংশীপুর শাহী মসজিদ নাম হলো প্রার্থনা ঘরটার।
দলে দলে মানুষ এসে ফের আবাদি করে তুললো মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা পরিত্যক্ত মসজিদটাকে।ঠিক কবে কে এই মসজিদ নির্মাণ করেছেন তার সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ বলা খুবই মুশকিল।তবে স্থাপত্য রীতিতে এটিকে মুঘল আমলের বলেই অবিভিত করা হচ্ছে।দাবির পারদ আর একটু চড়িয়ে মসজিদ কমিটি বলছে, এই মসজিদ মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে নির্মিত।এবার ইতিহাসের কষ্টিপাথরে মসজিদটাকে যাচাই করে নেওয়া যাক।যেহেতু নির্মাণ রীতি মুঘল, তাই ষোল শতক থেকে আঠার শতক পর্যন্ত যে কোনো সময়ই এই মসজিদ নির্মাণ হওয়ার সুযোগ থাকে।কিন্তু মসজিদটার অবস্থান মূলত ষোড়শ’ শতকের যশোরের রাজা, বাংলার বিখ্যাত জমিদার বা ভুঁইয়া প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ধুমঘাটের কাছেই, ঈশ্বরীপুরে।প্রতাপাদিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত যশোরেশ্বরী ও চন্ডা মন্দির, যিশুর গির্জা আর হাম্মামের অবস্থান এই মসজিদের খুব কাছেই।যেহেতু বিশ শতকের গোড়ার দিকেই মাটির নিচ থেকে মসজিদটি নতুন করে আবিষ্কৃত হয় তাই নির্মাণের পর মসজিদটি বহু বছর পরিত্যক্ত ছিলো।বাংলাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার অনুকুলে দ্রুত বেড়ে ওঠা লতা-গুলো ঢেকে ফেলেছিলো গোটা মসজিদটিকে।তারওপর এ মসজিদের গাঁথুনিতে ব্যবহৃত ইটের সঙ্গে মিল রয়েছে অনতি দূরের যশোরেশ্বরী আর বারোদুয়ারি মন্দিরে ব্যবহৃত ইটের।তাহলে ধুমঘাটে রাজধানী স্থাপনের সময়ে ঈশ্বরীপুরসহ আশপাশের এলাকায় নির্মিত ইমারত গুলোরই একটি হওয়ার সুযোগ উজ্জ্বল হয় মসজিদটির।এ মসজিদের আগেও নামও ওই সময়কেই নির্দেশ করে।কার্যত রাজা প্রদাপাদিত্যের একজন বিশ্বস্ত সেনাপতি ছিলেন খাজা কামাল।মুসলিম সৈন্যদের জন্য তার উদ্যোগে এখানে প্রথমে একটি ছাউনি গড়ে প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়।এ ধরনের ছাউনিকে তখন টেঙ্গা বলা হতো।টেঙ্গা এই শব্দটি হচ্ছে ফারসি শব্দ।এই ফারসি শব্দটির বাংলা অর্থ হচ্ছে ছাউনি।ছাউনির কারণেই টেঙ্গা মসজিদ নামে পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে মসজিদটির।কিন্তু পরিত্যক্ত হয়ে পড়ার পর টেঙ্গা নামটি হারিয়ে যায়।
বর্তমানে বংশীপুর শাহী মসজিদ নামে পরিচিতি এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে তাই সম্রাট আকবর ও রাজা প্রতাপাদিত্য উভয়ের শাসনামল ধরেই হিসাব করা ভালো।
বর্তমানে মসজিদটির পূর্ব দিকে নব নির্মিত বারান্দার সঙ্গে ২টি দীর্ঘকায় কবর ঘিরে রাখা আছে।যার প্রকৃত ইতিহাস এখনও মানুষের অজানা।
Information: https://www.banglanews24.com
Links:
Youtube- / imranchowdhury
Facebook- / explore-of-cre. .
Facebook Group- / 3376748. .
Source: Imran Chowdhury
NB: If you like this video then please like, comment,share and subscribe our channel. Thanks ভিডিও টি ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার, কমেন্ট এবং সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
#বংশীপুর _মসজিদ#Bangsipur_Mosque#বংশীপুর
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: