ধানের কয়েকটি পোকা ও রোগ প্রতিরোধ ও দমন পদ্ধতি
Автор: ইকৃষি কথা
Загружено: 2023-09-06
Просмотров: 150
Описание:
ধানের শীষ আসা অবস্থায় কয়েকটি পোকা ও রোগ প্রতিরোধ ও দমন পদ্ধতি @EKrishiKotha
মাজরা পোকার দমন ব্যবস্থাপনা
১) যান্ত্রিক দমন
√√# নিয়মিতভাবে ক্ষেত পর্যবেক্ষণের সময় মাজরা পোকার মথ ও ডিম সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেললে মাজরা পোকার সংখ্যা ও ক্ষতি অনেক কমে যায়।
√√#থোর আসার পূর্ব পর্যন্ত হাতজাল দিয়ে মথ ধরে ধ্বংস করা যায়।
√√# মাজরা পোকার পূর্ণ বয়স্ক মথের প্রাদুর্ভাব যখন বেড়ে যায় তখন ধান ক্ষেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসিয়ে মাজরা পোকার মথ সংগ্রহ করে মেরে ফেলা যায়।
√√# জমির আশেপাশে আগুন জ্বালিয়ে এই পোকার মথ মারতে হবে।
√√# চারা লাগানোর পরপরই জমিতে পর্যাপ্ত পরিমানে ডালপালা বা খুটি পুঁতে পোকা খেকো পাখির বসার সুযোগ করে দিলে এরা পূর্ণবয়স্ক মথ খেয়ে এদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলে।
√√# মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার দিন।
২) জাত প্রতিরোধী দমন
পোকা ও রোগ প্রতিরোধী জাতের ব্যবহার করতে হবে। আগাম ও স্বল্প জীবনকালের ধান যেমন ব্রি ধান৩২, ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৬২ সহ বিনা ৭ ধান চাষ করতে পারেন। অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার ব্যবহার পরিহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সুষম সার ব্যবহার করতে হবে।
প্রতি বিঘা জমিতে ২ টি ফেরোমোন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। ফাঁদ লাগানোর জন্য এমন দন্ড ব্যবহার করতে হবে যাতে পাখি বসতে পারে।
৩) ভৌত দমন
ধান কাটার পরে জমির নাড়া ও ডিমগুচ্ছ সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে
খুব শীঘ্রই চাষ দেওয়া উচিত। এতে শীত ঘুমে থাকা লার্ভা এবং পিউপাগুলির মৃত্যু ঘটে
পোকার নাম : শিষ কাটা লেদা পোকা
পোকা চেনার উপায় : পূর্ণ বয়স্ক মথের পাখার বিস্তৃত ১ ইঞ্চি। পূর্ণ বয়স্ক মথ গাছের নিচে গুচ্ছাকারে ডিম পাড়ে। ডিম গুলি রেশমি লোম দ্বারা আবৃত।
ক্ষতির ধরণ : কীড়াগুলো প্রাথমিক অবস্থায় পাতার পাশ থেকে কেটে খায়। কীড়াগুলো বড় হলে আধা পাকা বা পাকা ধানের শীষের গোড়া থেকে কেটে দেয় এবং এজন্য এর নাম শীষকাটা লেদা পোকা। বোনা ও রোপা আমনের এটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক পোকা।
আক্রমণের পর্যায় : শীষ অবস্থা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া
ব্যবস্থাপনা :
জমিতে শতকরা ২৫ ভাগ পাতা ক্ষতিগ্রস্থ হলে কার্বারিল জাতীয় কীটনাশক (যেমনসেভিন ৩০ গ্রাম ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে) অথবা ম্যালাথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ফাইফানন ২০ মিলিলিটার বা সাইফানন ৫৭ ইসি ৩০ মিলিলিটার প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে) ১০ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করুন।
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
জমি ও বীজতলা নিয়মিত পরিদর্শন করুন।
অন্যান্য :
নাড়া পুড়িয়ে ফেলুন। জমিতে ডাল বা কঞ্চি দিয়ে পোকাখেকো পাখি বসার ব্যবস্থা করুন। জমিতে সেচ প্রদান করুন।
ধানের পাতার বাদামি দাগ রোগ
রোগ বিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ
২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা
৮০ শতাংশের ওপর বাতাসের আর্দ্রতা
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার (ইউরিয়া) প্রয়োগ
৮-২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পাতা ভেজা থাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত কুয়াশা ও টানা বৃষ্টির সময় এ রোগের আক্রমণ বেশি হতে পারে।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
বাদামি দাগ রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেওয়া। নিয়মিত মাটির পুষ্টি অবস্থা পরীক্ষা করুন ও প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করুন। মাটিতে সিলিকনের পরিমান খুব কম হলে ধান রোপনের জন্য জমি তৈরির সময় ক্যালসিয়াম সিলিকেট প্রয়োগ করুন।
সুস্থ বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হবে
বীজ বপনের আগে গরম পানিতে (৫০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট ভিজে রাখতে হবে) শোধন করতে হবে
কার্বেন্ডাজিম (অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন + থিরাম (প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে
জমিতে যথেষ্ট পরিমানে ও নিয়মিত জৈব সার ব্যবহার করতে হবে
জমিতে সঠিক পরিমাণ নাইট্রোজেন ও পটাশ সার ব্যবহার করলে রোগ কমে যায়
সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা করতে হবে। পানির টান পড়লে রোগের বিস্তার বাড়বে।
রোগর প্রতিকার
জমিতে রোগ দেখা দিলে কার্বেন্ডাজিম (অটোস্টিন) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে
ম্যানকোজেব (প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম) অথবা এডিফেনফোস (প্রতি লিটার পানি ১ মিলি লিটার) দুই থেকে তিনবার (১০-১৫ দিন দিন পরপর) স্প্রে করতে হবে
ধানে ফুল আসার আগে এবং ফুল আসার পরে সকাল বা বিকালে ওষুধ স্প্রে করতে হবে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: