লিচু দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ I ভন্ডপীর I RAB Arrest
Автор: Say With Khan
Загружено: 2023-06-25
Просмотров: 119
Описание:
#bangladesh #cumilla #peer #child #শিশু_ধর্ষণ
গত ০২ জুন ২০২৩ তারিখ কুমিল্লার, দেবিদ্বারে ০৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১টি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৫/১৩২, তারিখ ০৬ জুন ২০২৩। ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে গত রাতে রাজধানীর মিরপুরে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক ভন্ডপীর মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন শাহ সুন্নি আল কাদেরী @মাওলানা প্রফেসর মোঃ ইকবাল হোসাইন (৪৫), পিতাঃ মৃত শারফুদ্দিন, দেবিদ্বার, কমিল্লা’কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
৪। গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ০২ জুন ২০২৩ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় ভিকটিম গ্রেফতারকৃত ইকবালের বাড়ীর পাশের মাঠে খেলতে গেলে সে ভিকটিমকে লিচু দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার আস্তানায় ডেকে নিয়ে কৌশলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভিকটিম সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ীতে আসলে তার মা তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। গ্রেফতারকৃত ইকবাল এবং তার অনুসারীরা ঘটনাটি ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে গ্রেফতারকৃত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে তার নিজ আস্তানা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
৫। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ইকবাল কুমিল্লার চান্দিনা এলাকার তথাকথিত একজন পীরের মুরীদ এবং স্বনামধণ্য একটি দরবার শরীফের অনুসারী ও প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে দাবী করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ তার বাড়ীতে একটি আস্তানা গড়ে তোলে। তার ধর্মীয় বিষয়ে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকায় সে শুদ্ধভাবে আরবি পড়তে পারতো না বিধায় বিভিন্ন ইসলামিক বই পড়ে ও মোবাইলে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল শুনে কিছু ধর্মীয় বিষয় মুখস্ত করে সপ্তাহে একদিন তার আস্তানায় জমজমাট আসর বসিয়ে ধর্মীয় বিষয়ে বক্তব্য দিতেন এবং নিজ আস্তানার বাহিরেও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতেন। তার আস্তানায় আগত লোকজন মাদকসেবনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করতো বলে জানা যায়। এছাড়াও সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের এবং তার আস্তানার বিভিন্ন আইডি ও পেইজ খুলে আস্তানার প্রচার-প্রচারণা করে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতো। ইতোপূর্বে সে বেশ কয়েকবার অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত হলে স্থানীয় লোকদের নিকট ধৃত হয় এবং পরবর্তীতে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট অঙ্গিকারনামা দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পায়। তার অন্ধ ভক্তরা তাকে হাদিয়া স্বরূপ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ অলংকার ও গবাদী পশু ইত্যাদি প্রদান করত যা সে নিজের ও নিজের আস্তানার জন্য ব্যয় করতো বলে জানা যায়।
৬। গ্রেফতারকৃত ইকবাল কুমিল্লার একটি স্থানীয় কলেজ হতে স্মাতক সম্পন্ন করে বিভিন্ন কলেজে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতা করতো এবং স্থানীয় লোকজন তাকে প্রসেফর বলে ডাকত। একপর্যায়ে সে স্থায়ী কোন চাকুরী না পেয়ে সহজে টাকা উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে স্থানীয় জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে কথিত পীর হিসেবে দাবি করে। পরবর্তীতে সে তার বেশভূষা ও চলাফেরায় পরিবর্তন এনে পীরের লেবাস ধারণ করে নামের শেষে শাহ সুন্নি আল কাদেরী উপাধি যুক্ত করে ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে এলাকার স্থানীয় লোকদের অন্ধবিশ^াসকে পুঁজি করে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ঘটনার পর হতে এলাকা থেকে পালিয়ে প্রথমে কক্সবাজার ও পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে আত্মগোপন করে। সর্বশেষ সে তার স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীর মিরপুরে তার এক পরিচিতের বাসায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়।
৭। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: