১১৬ জন আলেমের তালিকা, ধর্মব্যবসায়ী কারা?
Автор: Raquib Al Hasan- রাকীব আল হাসান
Загружено: 2022-05-23
Просмотров: 890
Описание:
ধর্মব্যবসা যে নিষিদ্ধ তা জানার জন্য নিচের রেফারেন্সগুলো পড়ুন। আরও অনেক রেফারেন্স আমার কাছে আছে কিন্তু এখানে এর চেয়ে বেশি দেওয়া সম্ভব হলো না।
.
আল্লাহ সুরা বাকারার ১৭৪-১৭৫ নম্বর আয়াতে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় উল্লেখ করেছেন, “বস্তুত, যারা আল্লাহ কেতাবে যা অবতীর্ণ করেছেন তা গোপন করে এবং এর বিনিময়ে পার্থিব তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, তারা তাদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছুই ঢুকায় না। এবং আল্লাহ হাশরের দিন তাদের সঙ্গে কথাও বলবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধও করবেন না। এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। এরাই হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষ যারা সঠিক পথের (হেদায়াহ) পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা (দালালাহ) এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করে নিয়েছে। আগুন সহ্য করতে তারা কতই না ধৈর্যশীল।
.
সুরা ইয়াসীনের ২১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “তাদের অনুসরণ করো যারা তোমাদের কাছে কোনোপ্রকার বিনিময় চায় না এবং যারা সঠিক পথে, হেদায়াতে আছে।” এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি বিনিময় গ্রহণকারীর, বিনিময় কামনাকারীর পেছনে উপাসনায় অংশ নেয় তাহলে সে আল্লাহরই নাফরমানি করল।
.
যারা কোর’আন পাঠের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে তাদের সম্পর্কে আল্লাহর রসুল কঠোর ভাষায় হুশিয়ারি করেছেন। আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা. বলেন, আমি রসুলাল্লাহকে বলতে শুনেছি যে, “তোমরা কোর’আন পড় তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ো না। কোর’আনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং এর দ্বারা সম্পদ কামনা করো না।’ -মুসনাদে আহমদ ৩/৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/২৪০; কিতাবুত তারাবীহ।
.
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইসলামের প্রতিটি আমলের উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। অন্য কোনো উদ্দেশে আমল করা হলে সেটা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবে না, সেটার বিনিময়ও আল্লাহর কাছে পাওয়া যাবে না। কেয়ামতের দিন এমন একজন ‘আলেমকে’ উপস্থিত করা হবে যে দীনের জ্ঞান অর্জন করেছে এবং মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছে এবং কোর’আন পাঠ করেছে। অতঃপর তাকে আল্লাহর নেয়ামতসমূহ স্মরণ করানো হবে। সেও তা স্বীকার করবে। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন, “আমার দেয়া নেয়ামতের বিনিময়ে তুমি কি আমল করেছ?”
সে বলবে, “আমি আপনার দেওয়া নেয়ামতের বিনিময়ে দীনের জ্ঞান অর্জন করেছি, অন্যকে তা শিক্ষা দিয়েছি এবং আপনার সন্তুষ্টির জন্যে কোর’আন পাঠ করেছি।”
আল্লাহ বলবেন, “তুমি মিথ্যা বলছো; বরং তুমি এই জন্যে বিদ্যা শিক্ষা করেছিলে যাতে করে মানুষ তোমাকে আলেম বলে। আর এই জন্যে কোর’আন পাঠ করেছিলে যাতে লোকেরা তোমাকে ক্বারী বলা হয়। পৃথিবীতে তোমাকে এই সব বলা হয়ে গেছে।” এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের আদেশ দেয়া হবে। অতঃপর নাক ও মুখের উপর উপুড় করে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সহীহ মুসলিমঃ কিতাবুল ইমারাহ)
.
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদিসে পাওয়া যায়, রসুলাল্লাহ (সা.) সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা সৌভাগ্য দ্বারা পরিবেষ্টিত রয়েছ। তোমরা আল্লাহর কেতাব তেলাওয়াত করে থাকো। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রসুল বর্তমান। অদূর ভবিষ্যতে এমন এক যামানা আসবে যখন তীরের ফলক যেরূপ সোজা করা হয় লোকেরা কোর’আন তেলাওয়াতকে সেভাবে সোজা করবে। তারা দ্রুত তেলাওয়াত করে নিজেদের পারিশ্রমিক আদায় করবে এবং এতে তাদের কোনো বিলম্ব সহ্য হবে না। (ভূমিকা, তাফসির ইবনে কাসীর)। সুতরাং পবিত্র কোর’আন পাঠ করে বা দীন শিক্ষা দিয়ে ‘হাদিয়া’ গ্রহণ করতে আল্লাহর রসুল সরাসরি নিষেধ করেছেন।
.
উবাদা ইবন সামিত (রা.) বলেন, “আমি আহলে-সুফফার কিছু লোককে লেখা এবং কোর’আন পড়া শেখাতাম। তখন তাদের একজন আমার জন্য একটি ধনুক হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করে। তখন আমি ধারণা করি যে, এ তো কোন মাল (সম্পদ) নয়, আমি এ দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় তীরন্দাযী করবো।
এরপর রসুলাল্লাহর (স.) নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি: ইয়া রসুলাল্লাহ (স.)! আমি যাদের কোর’আন পড়া এবং লিখা শিখাই, তাদের একজন আমাকে হাদিয়া হিসেবে একটি ধনুক প্রদান করেছেন, যা কোন সম্পদই নয়। আমি এ দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় তীরন্দাযী করবো। তিনি (স.) বলেন: তুমি যদি তোমার গলায় জাহান্নামের কোন বেড়ি পড়াতে চাও তবে তুমি তা গ্রহণ করো।’ (আবু দাউদ, চতুর্থ খ-, হাদিস-৩৩৮১)।
ঘটনাটি অত্যন্ত শিক্ষণীয়। লক্ষ্য করুন, তিনি কিন্তু ধনুকটি চেয়ে নেন নি, আশাও করেন নি বরং সেটা হাদিয়া হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা এ ভেবে গ্রহণ করেন যে এটা তো কোনো ব্যক্তিস্বার্থে (সম্পদ) ব্যবহার করবেন না, বরং দীন প্রতিষ্ঠার জেহাদে এটি ব্যবহার করবেন। তবু তাঁর অন্তরে একটি দ্বিধা থেকে গেল, কারণ তিনি জানতেন দীনের বিনিময় গ্রহণ হারাম। তিনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য রসুলাল্লাহর (সা.) কাছে ঘটনাটি বললেন। উপহার হওয়া সত্ত্বেও, ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে সেটা ব্যবহার করা হবে জেনেও রসুলাল্লাহ সেটা গ্রহণ করতে দিলেন না।
প্রকৃতপক্ষে যে কোনো প্রকার ধর্মীয় কাজের বিনিময় গ্রহণ করতেই রসুলাল্লাহ নিষেধ করে গেছেন। ওসমান বিন আস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস। তিনি বলেন, রসুলাল্লাহর আমাকে আমার গোত্রের ইমাম (নেতা) নিযুক্ত করে বললেন, ‘তোমাকে তাদের ইমাম নিযুক্ত করা হলো। তুমি দুর্বল ব্যক্তিদের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবে এবং এমন এক ব্যক্তিকে মুয়াজ্জিন নিযুক্ত করবে যে আযানের কোনোরূপ বিনিময় গ্রহণ করবে না। (নাসাঈ, তিরমিযী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: