প্রতারক যদি আপনার জমির জাল কাগজ তৈরি করে দখল নেয়, করণীয় কী ? | Civil Law | Land Law | Bangladesh Law
Автор: LEGUM HELP DESK
Загружено: 2025-11-23
Просмотров: 1
Описание:
প্রতারক যদি আপনার জমির জাল কাগজ তৈরি করে দখল নেয়, করণীয় কী ? | Civil Law | Land Law | Bangladesh Law
যদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে আপনার জমির ভুয়া, মিথ্যা কিংবা জাল দলিল তৈরী করে আপনার জমির স্বত্ব দাবী করে বা দখল করতে চান কিংবা যার জমি বিক্রি করার অধিকার নেই, তিনি যদি ভুয়া দলিল তৈরী করে দেয় কিংবা দলিলটি প্রতারণা করে হাসিল করে, প্রতারণাপূর্বক দলিলে সই স্বাক্ষর করিয়ে নেয় অর্থাৎ মিথ্যা, বানোয়াট, জাল, সৃজিত সম্পাদিত দলিল দ্বারা যদি আপনার স্বত্ব, স্বার্থ বিঘ্নিত হয়, তাহলে আপনি ওই দলিল বাতিলের জন্য দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা করে প্রতিকার নিতে পারেন।
আবার ফৌজদারী আদালতেও ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলা করে প্রতিকার পেতে পারেন। সেইসাথে জাল দলিল তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে আপনি ফৌজদারি আদালতে দ-বিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৩-৪৭৩ সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধারায় মামলা করতে পারেন।
দেওয়ানী আদালতে মামলার ক্ষেত্রে জাল দলিলটি আদালতে উপস্থাপন করে ভুয়া প্রমাণ করা যায়। আদালত দলিল বাতিলের আদেশ/রায় দিলে ডিক্রির একটি কপি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠাতে হবে। এরপর সেই কপির আলোকে রেজিস্ট্রি অফিস দলিল বাতিলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বালাম বইতে লিপিবদ্ধ করে রাখবে।
আরেকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আমাদের দেশে প্রচলিত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৯ ধারায় বলা আছে, আপনি যদি কোনো দলিল বাতিল বা বাতিলযোগ্য বলে মনে করেন এবং উক্ত ভুয়া দলিলটি বাতিল না হলে আপনার গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে, তাহলে আপনি বাতিল ঘোষণার জন্য মামলা দায়ের করতে পারেন। এ আইনের ৪০ ধারা অনুসারে প্রতারণার উদ্দেশ্যে আংশিক দলিল সৃজিত হলে আংশিক বাতিলের মামলাও করা যাবে। আর যদি আপনি জমি থেকে বেদখল হয়ে যান তাহলে দলিল বাতিলের সঙ্গে সম্পত্তির দখল পাওয়ার মামলাও আপনি করতে পারবেন। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে তামাদি আইনের ৯১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাল দলিল উদঘাটনের বিষয়টি আপনি যেদিন জানবেন, সেই জানার তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে উক্ত দলিল বাতিলের জন্য মামলা করতে হবে।
তবে এ সময় পার হয়ে গেলেও আপনি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারা অনুসারে ‘ডিকা¬রেশন স্যুট’ বা ‘ঘোষণামূলক মোকদ্দমা’ দায়ের করে ভিন্নভাবে প্রতিকার পেতে পারেন। আর বাদী যদি নালিশি ভূমিতে ভূয়া দলিলের মাধ্যমে বেদখল হন, তাহলে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারানুযায়ী স্বত্ব সাব্যস্ত খাস দখলের মামলা করতে পারেন এবং আরজির প্রার্থনার দফায় দলিলটি বাতিল চাইতে পারেন। এর সঙ্গে ৪২ ধারায় পৃথক ঘোষণাও চাইতে পারেন। আদালত মনে করলে জাল দলিল সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিতে পারেন। এ মামলা প্রমাণের দায়িত্ব কিন্তু বাদীর। যিনি কোন দলিলকে জাল বা জোর পূর্বক সম্পাদিত বলে দবি করবেন তাকে তার দাবীর সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। এ বিষয়ে সাক্ষ্য আইন ১০১ ধারা, ২৬ ডিএলআর ৩৯২ পাতায় উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
শুধু দেওয়ানী আদালতেই নয়। জাল দলিল তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে আপনি ফৌজদারি আদালতে মামলা করলে
সংশ্লিষ্ট আমলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক চাইলে সেই মামলা সরাসরি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিতে পারেন অথবা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার কাছে অথবা সরকারী কোন কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে পারেন। তদন্তে দলিল ভুয়া প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-াদেশ দিতে পারবেন আদালত। তবে ভুয়া দলিলটি বাতিল করতে হলে আপনাকে দেওয়ানী আদালতেই যেতে হবে।
জেনে রাখা ভাল যে, যেক্ষেত্রে দেওয়ানী এবং ফৌজদারী উভয় অপরাধ সংঘটিত হয় সেক্ষেত্রে দেওয়ানী ও ফৌজদারী দুই আদালতেই দু’রকমের মামলা চলতে পারে। এক্ষেত্রে আইনগতভাবে বাঁধা নেই। এ বিষয়ে ৫৭ ডিএলআর ৭২৭ পৃষ্ঠায় উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্ত রয়েছে। কাজেই আপনি জাল দলিল সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী আদালতে মামলা করে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারেন। পাশাপাশি দেওয়ানী আদালতে মামলা করে দলিলটি বাতিল করতে পারেন।
#Jomi #Dalil #JalDalil #JomiDokol #JomiBirodh #LandLawBD #BDLaw #PropertyDispute
#FakeDeed #FraudAlert #BangladeshLaw #LandProtection #LegalHelpBD #CourtCaseBD
#JomiProtaron #LegalAdviceBD #LandRights #JomiSomossa #BDJustice #stopfraud
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: