Demolition of Manikganj school by a river
Автор: Habibullah Mizan
Загружено: 2018-07-01
Просмотров: 437
Описание:
আমার নিজের বাড়ী মানিকগঞ্জ। আমার বাপ দাদার ভিটে বাড়ীতে পুরাতন টিনের ঘরের সাথেই এক সময়ের প্রবল খোরস্রোতা গাজী খালী নদী। এই প্রিয় নদীর সাথে আমার কিশোর জীবনের অনেক গল্প মিশে আছে।
২০০৯ সালে আমার দাদার কাছে থেকে পাওয়া বর্তমানে খননের অভাবে প্রায় মরে যাওয়া গাজী খালী নদীর তীরে ঘেঁষে এক ১৫ শতাংশ জমিতে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার টিনের ঘর করেছেন এলাকাবাসীসহ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু আর্থিক সহয়তায়। নদীতে যদি আমাদের বাপ-দাদার পুরাতন দুতলা টিনের ঘরটি বিলীন হয়েও যায়,এতো বেশি খারাপ লাগবে না। আল্লাহ্র মাল আল্লাহ্ নিয়ে গেছে বলে নিজেদের সান্তনা দিবো। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে কয়েক সেকেন্ডের ভিতরে বিলিন হয়ে গেল রাক্ষসী যমুনা নদীর গর্ভে। অথচ আমাদের মানিকগঞ্জের এই মানুষগুলো ভিডিওতে দেখছি খুব মজা করছে। হে আল্লাহ্ ,এই অবুঝ এবং ইতরগুলোকে বুঝ দান করো। সেই সাথে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাদের যদি দায়িত্ব পালনে অবহেলা থাকে,তাহলে তাদের দুর্নীতির টাকা দিয়ে করা ঘরবাড়ীও এভাবেই ধ্বংস করে দাও। আমিও একটু পাশবিক উল্লাস করতে চাইছি। একটি এতো সুন্দর স্কুল বিলিন হয়ে গেল,এটা মানা যায় না।
(যমুনার ভাঙনে গত ২২ জুন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে মধ্যনগর রুস্তম আলী হাওলাদার মডেল উচ্চবিদ্যালয়টি। এরই মধ্যে স্কুলটির ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। শিবালয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ ও ইউটিউবে শনিবার (২৯ জুন) রাতে আপলোড করা হয় স্কুলটির বিলীন হওয়ার দৃশ্য।
যমুনার চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য তিনতলা স্কুল ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল। যদিও শুরু থেকে বিদ্যালয়ের স্থান নির্ণয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে নদীর তীরে স্কুলটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্কুলটি ভেঙে পড়ার আগেই শিক্ষা বিভাগকে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে অনেক চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে ভবনটি রক্ষায় কোনও পদক্ষেপ নেয়নি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর।
যমুনা নদীর সাম্প্রতিক ভাঙনে স্কুল ভবনের একাংশ ভেঙে যায়। আর ২২ জুন বিদ্যালয়টি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়।
স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মরিয়ম বেগম জানিয়েছেন, নতুন করে আরেকটি ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।
বিলীন হওয়ার আগে স্কুলটিতেওতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, ‘স্কুলটি বিলীন হওয়ার আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধ সম্ভব হতো, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।’
শিবালয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক জানান, স্কুলটি নদীভাঙনের হুমকিতে আছে এরকম প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া হয়েছিল।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মামুন হাওলাদার জানান, ভাঙনের যে তীব্রতা তাতে স্কুলটি রক্ষা করা দুষ্কর ছিল। যে কারণে স্কুলটি রক্ষায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: