কল্যাণ তহবিল | কল্যাণ তহবিলে আবেদন | কল্যাণ তহবিলে কি পাওয়া যায়

Описание: সরকারি কর্মচারির মৃত্যুতে কল্যাণ তহবিল হতে তার পরিবার যে সকল আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে তা নিম্নরূপ।
*** মাসিক কল্যাণ অনুদান:
(ক) শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার কারণে কোনো কর্মচারী চাকরি হতে অপসারিত হলে বা অবসর গ্রহণ করলে তিনি এবং
(খ) চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে অথবা অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১০(দশ) বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে কর্মচারীর পরিবার ১৫(পনের) বছর অথবা কর্মচারীর অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১০(দশ) বছর পর্যন্ত যেটি আগে হয়, মাসিক কল্যাণ অনুদান প্রাপ্য হবেন;
(গ) অক্ষমতার কারণে কোনো কর্মচারী চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করলে তিনি ১৫(পনের) বছর/৬৯ বছর বয়স পর্যন্ত যেটি আগে হয়, মাসিক কল্যাণ অনুদান পাবেন;
*** যৌথবীমা : চাকরিরত/ পিআরএল ভোগরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবার;
*** দাফন/অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার অনুদান:
(ক) সরকারি কর্মচারী চাকরিরত অবস্থায়/ অবসরের পর কর্মচারীর ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার পরিবার অথবা তাঁর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তি যিনি কর্মচারীর পরিবারের অনুপস্থিতিতে কর্ম চারীর দাফন/সৎকারের ব্যায়ভার বহন করেছেন (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং কর্মচারীর অফিস কর্তৃপক্ষ প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে।
(খ) চাকরিরত সরকারি কর্মচারীর পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যুর ক্ষেত্রে কর্মচারী; এবং
(গ) বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে (কর্ম চারীর সয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) তার পরিবার বা তিনি।
অনুদানের পরিমাণ:
** কল্যাণ ভাতা : মাসিক ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা হারে সর্বোচ্চ ১৫ (পনের) বছর পর্যন্ত।
** যৌথবীমা : সবোর্চ্চ ২,০০,০০০/- (দুই লাখ) টাকা ।
** দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া :
কর্মচারী ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা।
কর্মচারীর ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা।

##### সরকারি কর্মচারীর মৃত্যূ যদি চাকুরীরত অবস্থায় বা পিআরএল ভোগরত অবস্থায় হয়; সে ক্ষেত্রে পরিবার বিভাগীয় কমিশনার বরাবর ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ টাকা) সাহায্যের আবেদন করতে পারবেন। এখানে উল্লেখ থাকে যে, আবেদন পত্রটি ৬ মাসের মধ্যে দাখিল করতে হবে ########

আবেদনের সাথে যে সমস্ত কাগজ পত্র সংযুক্ত করতে হয়:
১. রাজস্বখাতভূক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সর্বশেষ বেতন নির্ধারণ বিবরণীর (Pay fixation) কপি এবং তালিকা ভূক্ত স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চাকরির বহির ৩য় পৃষ্ঠা/এস.এস.সি সনদ (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি);
২. মৃত্যু সনদের ফটোকপি অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত (রেজিস্টার্ড চিকিৎসক/ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত)।
৩. ওয়ারিশান সনদ (স্বামী/স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানদের বয়স, সম্পর্ক , পেশা, বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখপূর্বক স্থানীয় ইউ.পি. চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত);
৪. ওয়ারিশগণ কর্তৃক আবেদনকারীকে প্রদত্ত ক্ষমাতাপত্র (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত);
৫. চাকরি হতে অক্ষমতাজনিত কারণে/স্বাভাবিক অবসরের ক্ষেত্রে অবসরের অফিস আদেশের ফটোকপি (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত);
৬.মুক্তিযোদ্ধা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)(অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি);
৭. কর্মচারীর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদানের ক্ষেত্রে নির্ভরশীলতার সনদ (ইউ. পি. চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত);
৮. কর্মচারির ও আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত);
৯. বেতন প্রদানের তারিখ উল্লেখপূর্বক সর্বশেষ বেতনের সনদ (এলপিসি), আয়ন-ব্যায়ন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং সংশ্লিষ্ট হিসাবরণ কর্মকর্তা (এজি) কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত;
১০ স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত পরিবারের অন্য কোনো সদ্য আবেদনকারী হলে নির্ভরশীলতার সনদ (ইউ. পি. চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
১১. কর্মচারীর মৃত্যুর পর আবেদন দাখিল করতে ১ বছরের বেশি বিলম্ব হলে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিলম্বের ব্যাখ্যা প্রদান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১২. আবেদনকারীর MICR চেক বইয়ের কভার পৃষ্ঠার ফটোকপি।
@@@@@@@ অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে এর হার্ড কপি আনুসঙ্গিক কাগজপত্রসহ কর্মচারীর অফিস প্রধানের নিকট দাখিল করবেন @@@@@@
#govermentnews #govtemployees #govtjobs #payscalenews #সরকারী #কল্যাণ-তহবিল