টাঙ্গাইলে সংকট দেখিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ও ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান
Автор: RK Menon Rasel
Загружено: 2023-09-07
Просмотров: 42
Описание:
টাঙ্গাইলে সংকট দেখিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ও ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান
মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল)/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু'র কারনে সংকট দেখিয়ে স্যালাইনের মূল্য বৃদ্ধি ও ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অতিরিক্ত মূল্যে ওষুধ বিক্রির দায়ে কনা ফার্মেসিকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। ড্রাগ লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় মডেল মেডিসিন ওয়ার্ল্ডকে ২,০০০/-(দুই হাজার) টাকা ও মা মেডিকেল হলকে ২,০০০/-(দুই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৩টি ওষুধের ফার্মেসিকে মোট ৯০০০/- (নয় হাজার) টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ অভিযানে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকরী পরিচালক মোঃ মনির উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর ও টাঙ্গাইল সদরের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সাহেদা বেগম 'সহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।
দেশের ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর পাশাপাশি নকল, ভেজাল ও অবৈধ ঔষধ উৎপাদন এবং বাজারজাতের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন সারাদেশে সাড়াশি অভিযানে নেমেছে। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করে সুলভ মূল্যে জনসাধারণের কাছে সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ও ওষুধের ভেজাল রোধ করতে এই ধরনের অভিজান অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়।
অন্যান্য ফার্মেসী পরিদর্শন কালে নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রয় করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করেন তারা।
এই সময় ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি, আন-রেজিষ্টার্ড ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি, তাপ সংবেদনশীল ঔষধ যথাযথ সংরক্ষন না করা 'সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক করেন তারা।
এ বিষয়ে হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় এক ক্রেতার সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘স্যালাইন সকল ফার্মেসিতেই পাওয়া যাচ্ছে না।প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে কোনো ওষুধ চাইলে আরও দুইটা ধরাইয়া দেয় দোকানদার। একটার পাশাপাশি আরেকটা খেলে নাকি উপকার। সবই বিক্রির ধান্দা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন জানান, তারা ওষুধের দোকানে গিয়ে নির্ধারিত মূল্যে স্যালাইন পাচ্ছেন না। একটা-দুইটা মিললেও গুনতে হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি টাকা।
ডিএনএস স্যালাইন কী, এ বিষয়ে একজন বলেন, ‘ডিএনএস স্যালাইন সোডিয়াম ক্লোরাইড সমৃদ্ধ স্যালাইন, যা হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পুনরুদ্ধার করে। এটি সাধারণত ডেঙ্গু রোগীদের বয়স অনুযায়ী মাত্রা কম-বেশি করে দেয়া হয়।’
দাম নিয়ে ফার্মেসির বিক্রেতারা বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা শুরু হওয়ার পর ডিএনএস স্যালাইনের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। আর কোম্পানীগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করতে পারছেন না বলে জানান, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ফার্মেসির বিক্রেতারা।
স্যালাইন সংকট নিয়ে জানতে চাইলে, ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কেন স্যালাইন সাপ্লাই বন্ধ রাখব? কোনো পরিস্থিতিতে ওষুধ সাপ্লাই বন্ধ রাখা হয় না, বরং চাহিদা বাড়লে উৎপাদন বাড়ানো হয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকরী পরিচালক মোঃ মনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সংকট বিক্রেতারা তৈরি করেন। ওষুধ মজুত রেখে তারা কৃত্রিম সংকট দেখান, যেটার প্রমাণ আমরা অনেকবার অভিযানে গিয়ে পেয়েছি। এভাবে সংকট দেখানোর পেছনে দুষ্ট চক্র কাজ করতে পারে। ‘স্যালাইন সংকটের এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা অভিযান অব্যাহত রাখবো।অনেক বিক্রেতা গোডাউনে ওষুধ মজুত করেন। সে রকম কিছু পেলে ওষুধ প্রশাসন কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে।
★★★★★★
মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল)
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
01712-465070
E-mail: [email protected]
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: