দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: হবিগঞ্জ-১ আসনে জিতবে কে?
Автор: Bnanews24
Загружено: 2023-09-24
Просмотров: 1183
Описание:
সংসদীয় আসন-২৩৯
হবিগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনটি বাহুবল এবং নবীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৩৯ তম আসন।
১৯৯১ সালের ২৭ই ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫ শত ৭৬ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩ শত ১৬ জন। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির খলিলুর রহমান বিজয়ী হন। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৪১ হাজার ৯ শত ৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের দেওয়ান ফরিদ গাজী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩৮ হাজার ৯ শত ২৭ ভোট ।
১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির সুজাত মিয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩ হাজার ৩ শত ৬ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ২ শত ৭০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দেওয়ান ফরিদ গাজী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫২ হাজার ৯ শত ৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির খলিলুর রহমান । লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৪৪ হাজার ১ শত ১৩ ভোট।
২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬২ হাজার ৮ শত ৯৫ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ২ শত ৪৬ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দেওয়ান ফরিদ গাজী বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭৪ হাজার ৬ শত ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সুজাত মিয়া। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৬ হাজার ১ শত ৩৭ ভোট।
২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ১ শত ৯৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪ শত ৯২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দেওয়ান ফরিদ গাজী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪ শত ৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সুজাত মিয়া। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭৯ হাজার ৮ শত ৫২ ভোট।
দেওয়ান ফরিদ গাজী ২০১০ সালের নভেম্বরে মৃত্যুবরণ করেন। জানুয়ারী ২০১১ সালের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল মুনিম চৌধুরীকে পরাজিত করে, বিএনপির শেখ সুজাত মিয়া নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আবদুল মুনিম চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮ শত ৬৪ জন।
নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের গাজী মোঃ শাহনেওয়াজ, ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরামের রেজা কিবরিয়া, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান, মই প্রতীকে সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের চৌধুরী ফয়সল শোয়েব, মোমবাতি প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্ট এর জুবায়ের আহমেদ এবং গামছা প্রতীকে কৃষক শ্রমীক জনতা লীগের নুরুল হক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গাজী মোঃ শাহনেওয়াজ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬০ হাজার ৮ শত ৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শরিক গণফোরামের রেজা কিবরিয়া। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৫ হাজার ৮ শত ৮৫ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম ও দশম সংসদে জাতীয় পার্টি, ষষ্ঠ ও নবম সংসদের উপ নির্বাচনে বিএনপি এবং সপ্তম, অষ্টম, নবম, ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর হবিগঞ্জ-১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।
হবিগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রকাশ মিলাদ গাজী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। মিলাদ গাজী ছাড়া এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য , হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া। তিনি দলের একক প্রার্থী।
জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু। তবে এ আসনের বড় চমক হতে পারে আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ্ এ.এম.এস কিবরিয়ার ছেলের গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ডক্টর রেজা কিবরিয়া। নিবন্ধন না থাকায় গণ পরিষদ বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া প্রার্থী হতে পারেন। আবার তিনি সদ্য তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েও প্রার্থী হতে পারেন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: