আজ সন্ধ্যায় ৮ দলীয় নৈশ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী!

Описание: শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের কার্যত কটাক্ষ করলেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তিনি বলেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের সরকারি স্কুলে পাঠান না। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের একটি অংশ তাদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে পাঠান। ফলে সরকারি স্কুল সম্পর্কে জনসাধারণের মনে একটি বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। এরফলে সরকার পোষ্য প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শুক্রবার দিনহাটা শহরের ঝুড়িপাড়ায় একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিনহাটা পশ্চিম চক্র কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এভাবেই কটাক্ষ করেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশকে। এদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য নুর আলম হোসেন, তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি সুব্রত নাহা, আয়োজক সংগঠনের কর্ণধার পঙ্কজ মহন্ত, মোস্তফা খন্দকার সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। এদিনের এই অনুষ্ঠানে সরকারি উদ্যোগে শিক্ষক দিবস পালনের দাবি ওঠে।
এদিকে এদিন দিনহাটা শহীদ হেমন্ত বসু কর্নার মুক্তমঞ্চে দিনহাটা ইন্টেন্সিভ সার্কেলের শিক্ষক- শিক্ষিকা গণের উদ্যোগে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঝুড়িপাড়ায় ওই অনুষ্ঠানে সাংসদ বলেন, আগে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের একটা মেলবন্ধন ছিল, একটা আত্মিক যোগ ছিল। কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষকরা তার খোঁজখবর নিতেন। বর্তমান শিক্ষক অভিভাবক সম্পর্কটি অনেকটাই আলগা হয়ে গিয়েছে। তবুও সমাজের স্বার্থে শিক্ষকদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করা উচিত। শিক্ষকদের স্কুলে সঠিক সময় মেনে যাওয়া এবং আসা উচিত। তিনি বলেন, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন একেবারেই কম। অথচ নিয়ম অনুবর্তিতা বেসরকারি স্কুলগুলির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারি শিক্ষকরা যে পরিমাণে বেতন পান, এক্ষেত্রে সরকারি স্কুল গুলি আরো বেশি গুরুত্ব থাকা দরকার। এদিনের এই অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিককালে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্বর্ধনা জানানো ছাড়াও নানা অনুষ্ঠান হয়।
তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতা পঙ্কজ মহন্ত বলেন, বেসরকারি স্কুলগুলি বাইরের চাকচিক্য অনেকটাই বেশি। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে হাজার টাকা মাসে মাইনে নিচ্ছে। আর সরকারি স্কুলগুলোকে রাজ্য সরকার নানাভাবে সহযোগিতা করছে। সরকারি স্কুলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়।#