জগন্নাথের সৃষ্টির অলৌকিক কাহিনী। how make our jagganath.
Автор: AKASH CHAKRABORTI
Загружено: 2025-09-08
Просмотров: 92
Описание:
১. পুরাণ মতে উৎপত্তি
শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, ব্রহ্ম পুরাণ সহ নানা শাস্ত্রে বলা আছে—শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম ও সুভদ্রাকে দেবত্ব রূপে পূজা করার জন্য জগন্নাথ মূর্তির সৃষ্টি।
কৃষ্ণ যখন দ্বারকায় দেহ ত্যাগ করেন, তাঁর অঙ্গ-অবশেষ নিয়ে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এক অলৌকিক মূর্তি স্থাপন করেন। এই মূর্তিই পরে জগন্নাথ।
২. রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ও বিশ্বকর্মার রহস্য
লোককথায় আছে—উড়িষ্যার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নে আদেশ পান শ্রীকৃষ্ণের দেবমূর্তি গড়ে পূজা করার।
বিশ্বকর্মা ছদ্মবেশে এসে কাঠ দিয়ে মূর্তি গড়তে শুরু করেন, তবে শর্ত ছিল—কেউ দরজা না খুলবে যতক্ষণ না কাজ শেষ হয়।
রাজা অধৈর্য হয়ে দরজা খুলে ফেলেন। তখন মূর্তি অসম্পূর্ণ অবস্থায় থেকে যায়—হাত-পা পুরো হয়নি।
সেই অসম্পূর্ণ রূপেই জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা পূজিত হন।
৩. কাঠের মূর্তির রহস্য
জগন্নাথদেবের মূর্তি পাথর বা ধাতুর নয়, নিম গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি।
প্রতি ১২ বা ১৯ বছরে (নাক্ষত্রিক গণনার উপর নির্ভর করে) নতুন কাঠের মূর্তি তৈরি হয়। এটিকে বলে নবকलेবর উৎসব।
পুরনো মূর্তির ভিতরে এক গোপন বস্তু থাকে, যাকে বলে ব্রহ্ম পদার্থ বা ব্রহ্মতত্ত্ব, যা নতুন মূর্তির ভেতরে স্থানান্তরিত করা হয়।
আসলে এই রহস্যময় পদার্থ কী—তা কেউ জানে না। এটিই সবচেয়ে বড় রহস্য।
৪. জগন্নাথের অদ্ভুত রূপ
জগন্নাথের চোখ বড়, গোল এবং অঙ্গ অসম্পূর্ণ। এর প্রতীক—তিনি সবকিছু দেখেন, কিন্তু সংসার সংসর্গে বাঁধা নন।
অসম্পূর্ণ অঙ্গ মানুষের প্রতি এক শিক্ষা—ভগবান পূর্ণ, আমাদের চোখে তিনি যেমন দেখা দেন, সেটাই তাঁর করুণা।
৫. রথযাত্রার রহস্য
প্রতি বছর জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার বিশাল রথযাত্রা হয়।
মনে করা হয়, এটি শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন গমন ও গোপীদের সঙ্গে মিলনের প্রতীক।
✨ সারকথা:
জগন্নাথের সৃষ্টি আসলে কৃষ্ণ-ভক্তিরই এক অদ্ভুত প্রতীক। অসম্পূর্ণ মূর্তি, গোপন ব্রহ্মতত্ত্ব, কাঠের মূর্তি বদল—সব মিলিয়ে জগন্নাথের রহস্য আজও গভীর ভক্তি ও কৌতূহলের উৎস।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: