আন্দোলন বিপথে যায় ছোট ছোট ভুলের জন্যই। এই মুহূর্তে গোটা আন্দোলন এর চর্চার বিষয় কে কার বাচ্চা।
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-06-30
Просмотров: 35228
Описание: আমরা আর জি কর ধর্ষণ খুনের সময়ে দেখেছিলাম, ওনার কাছে বিস্তর প্রমাণ আছে এবং উনি ঘোড়ার মুখের থেকে কথা শুনে এসেছেন যে ঐ ধর্ষণ ছিল এক গণধর্ষণ যা কলকাতা পুলিশ আড়াল করার চেষ্টা করছে, অতএব তিনি মণে বিকাশ ভট্টাচার্য বিচারকদের কাছে আপিল করেছিলেন মহামান্য বিচারপতি আমরা কলকাতা পুলিশের ওপরে ভরসা রাখতেই পারছি না কাজেই আমাদের দাবী সি বি আই তদন্ত হোক, সঙ্গে পেয়েছিলেন অনেককে, সেই তাঁদের একজন তো কামদুনি ধর্ষণ মামলাতে ধর্ষকদের হয়ে মামলা লড়ে ছিলেন, তো যাই হোক আর জি কর ধর্ষণ আর হত্যা আন্দোলনের ওটা ছিল এক টার্নিং পয়েন্ট, তদন্তের দায় চলে গ্যালো সি বি আই এর কাছে, কলকাতা পুলিশ দায়মুক্ত হলো, আবার তদন্তের ফল কলকাতা পুলিশের পাওয়া তথ্যের বাইরে এক পাও গেল না কারণ নতুন কিছু ছিল না। আমরা তখন এই বাংলাবাজারে বলেছিলাম বিকাশ ভট্টাচার্য মমতার লক্ষ্মী প্যাঁচা। তো এবারে ধর্ষণ এর অভিযোগের পরেই বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেই দিয়েছেন তদন্ত করুক কলকাতা পুলিশ, আগেরবারের ভুল শোধরানোর চেষ্টা বলা যেতে পারে। এবং এখনও পর্যন্ত এক্কেবারে কপিবুক মেথড পালন করেছে কলকাতা পুলিশ, আগের আর জি করের সময়ে যে সব সাধারণ টেকনিক্যাল ভ্রান্তিগুলো ছিল সেগুলো কিন্তু এবারে নেই, মানে ঐ এফ আই আর করার সময় ইত্যাদি নিয়ে যেসব জটিলতা ছিল, এবারে সেগুলো নেই। মেয়েটির মেডিক্যাল একজামিনেশন, ছেলে তিনটির বাড়ি সার্চ, জামা কাপড় সিজ করা থেকে ঘটনার পুনর্গঠন সবকিছু একেবারে কপিবুক স্টাইলে, আমার পরিচিত এক ক্রাইম রিপোর্টার এর সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তিনিই জানালেন, ১) সরকার বা বলা ভাল মূখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে জানানো হচ্ছে নো টলারেন্স। ২) বিনিত গোয়েল সেদিন সন্ধ্যেতেই যে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করেছেন তারা এই সময়ের বেস্ট অফ দ্য লট। কিন্তু এতকিছু করার পরেও আজ পর্যন্ত ছেলেটির যে ইতিহাস বেরিয়ে এসেছে বা আসছে তা কিন্তু খুউউব পরিস্কার বলে যে তার তৃনমূল দলের সঙ্গে সম্পর্ক খুব সাধারণ ছিল না। সাধারণ কজন নেতা আর অভিষেকের সঙ্গে ছবি তোলার অনুমতি পায়। কাজেই ছেলেটি মানে মূখ্য অভিযুক্ত তৃণমূলের এক জন নেতা হিসেবেই এই ধর্ষণ করার ক্ষমতা বলা যায় অর্জন করেছে। সেই ক্ষমতাই তাকে এরকম কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ জুটিয়ে দিয়েছে যারা এই নারকীয় কাজে তাকে সাহায্য করেছে, কলেজের এক নিরাপত্তা কর্মী সেই ক্ষমতার চাপেই চুপ করে থেকেছে, যখন মেয়েটি সাহায্য চেয়েছে, তখন চুপ করে থেকেছে। হ্যাঁ সেই নিরাপত্তা রক্ষীও গ্রেপ্তার, হাজতেই আছে। তাহলে? যে দেশে প্রতি ১৬/১৭ মিনিটে একটা ধর্ষণ হয়, সে দেশে এক ধর্ষণের জন্য সরকার বা ক্ষমতাশীন দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে কেন? আবার তখন, যখন প্রশাসন পুলিশ তাদের যা যা করার সব কিছুই করছে। আন্দোলন হবে কারণ সেই রাজনৈতিক ক্ষমতার আনুকুল্যেই, মদতেই এইসব খাঞ্জা খাঁয়েরা পাড়ায়, মহল্লায়, গ্রামে গজিয়ে উঠেছে, তাদের মদতেই, প্রশ্রয়েই তারা এই কাজ করার সাহস পায়, এটাকেই অনুপ্রেরণা বলে। এক সদ্য বিজয়োৎসবে র আনন্দে ফাটানো বোমায় মারা যাওয়া সন্তান হারা মায়ের হাতে টাকা ভর্তি খাম দেওয়াও তো সেই অনুপ্রেরণা থেকেই। কাজেই সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষ্মতাশীন দলের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হবে বৈকি। কিন্তু, হ্যাঁ এখানে কিন্তু আছে, কিন্তু এই আন্দোলনের দাবী কী হওয়া উচিত? এই মূহুর্তে কোন দাবি নিয়ে এই আন্দোলন করলে নাগরিক সমাজ বামপন্থী মানুষজন সত্যিই মানুষের কাছে সমর্থন আশা করতে পারেন? কোন দাবি নিয়ে আন্দোলন করলে সেই দাবি আদায়ের সম্ভাবনা আছে? আর কোন দাবি আদায় হলে আগামী দিনে আরও এক বড় লড়াই এর সূচনা হতে পারে? ধর্ষণ হয়েছে, পুলিশ অভিযুক্তদের ধরেছে, আমি নিশ্চিত যে খুউউব তাড়াতাড়িই চার্জশিট দেবে, এবং ঐ ফাস্ট ট্রাক বিচারের দাবি তুলে তৃনমূল দল মানুষের সামনে এক নিরপেক্ষ বিচার এনে হাজির করবে, যাতে মানুষের, বেশিরভাগ মানুষের কোনও সন্দেহ থাকবে না। আমি তাদের কথা বলছি না যাঁরা ঘুমে জাগরণে দফা এক দাবি এক মূখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের শ্লোগান আউড়ে যান, আমি সাধারণ মানুষের কথাই বলছি, দে ম্যাটার। তারা বলবে, ধর্ষণ করেছে তৃণমূলের নেতা কিন্তু তাকে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে, এটা আগামী তিন চার মাসের মধ্যেই হয়ে গেলে আমি অবাক হব না। এমনিতেই আবারও এই আন্দোলন নাগরিক বলয়েই আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, আরও হবে, এবং খেয়াল করে দেখেছেন দু একজন বাদ দিলে সেই সেলিব্রিটির দল কিন্তু ভেড়েনি প্রতিবাদের মিছিলে। গতবার বার খেয়ে রাত জেগে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে, আপাতত তাঁরা নিজ বলয়ে কাজে মনোযোগ দিয়েছেন, হ্যাঁ আমি বিরসা অ্যান্ড আসোসিয়েয়স দের কথা বলছি, বলছি অরিন্দম শীলের কথা আর জি কর আন্দোলনের সময়ে যিনি ভেবেছিলেন পাঁচিলে বসে থাকা ভালো, তিনি এবারে মাঠে নেই। কিন্তু তারপরেও তাহলে এমন কোন দাবি আদায়ের জন্য আমাদের লড়াইটা চালানো উচিত? প্রথম দাবি হল রাজ্যের ৩৬ টা ইউনিভার্সিটির মধ্যে যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সমেত ১৭ টা তে কোনও পার্মানেন্ট উপাচার্য নেই, কাজেই সেখানে কিছু জো হুজুর বসে আছে, সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে স্থায়ী অধ্যক্ষ, প্রিন্সিপাল নেই, কোথাও অ্যাকটিং প্রিন্সিপাল, কোথাও টিচার ইন চার্জ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। কাজেই বিস্তর ফারাক থেকেই যাচ্ছে সেইসব কলেজের প্রশাসনিক ব্যবস্থায়। তাঁরা দিনগত পাপক্ষয় করে যাচ্ছেন, এইসব শাসক দলের ক্ষুদে খাঞ্জা খাঁয়েরা তাঁদের এ হাটে কিনে অন্য হাটে বেচে দেবার ক্ষমতা রাখে। এক নৈরাজ্য চলছে বিশ্ববদ্যালয়গুলোতে।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: