মহাকবি জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত গান
Автор: AKTIFUL - একটিফুল
Загружено: 2025-10-21
Просмотров: 526
Описание:
এইখানে তোর দাদির কবর, ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিলাম সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
যাইবার কালে কহিল ধরিয়া, আমারে দেখিতে যাইও,
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি, দু’পয়সা করি দেড়ী।
সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে,
দাদি যে তোমার কত খুশি হত, দেখিতিস যদি চেয়ে।
আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।
এইখানে তোর বাপ ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু, পরাণ যে মানে না।
ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম বাছা শোও,
সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা জানিত কে!
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
ফালগুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো মাঠখানি ভরে,
পাতারা ঝরিত শোকে, যেন কাঁদিত গাছের পরমে।
ঊদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি।
মরিবার কালে তোরে ডেকে কহিল, বাছারে যাই,
বড় ব্যথা র’ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই।
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গন্ড ভিজায়ে নয়ন জলে,
কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণ ব্যথার ছলে।
ক্ষণপরে কহিল – আমার কবর গায় মাথালখানি দিও বায়,
স্বামীর মাথাল গলিয়া মিশেছে মাটির সনে হায়।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, রহমান খোদা আয়,
ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়।
ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবিরের রাগে,
মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুরে।
জোড়হাত দাদু, মোনাজাত কর, আয় খোদা রহমান,
ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যু ব্যথিত প্রাণ।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: