নিজাম উদ্দীন আউলিয়া'র(রহঃ) মাহবুবে ইলাহী হওয়ার ঘটনা | Sakib Raza Mustafai | Nizamuddin Auliya
Автор: ইফতেখার নওশাদ
Загружено: 2022-11-16
Просмотров: 29
Описание:
খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া ও তাঁর মা সাহেবা...💙
-আশরাফুল হাসান কাদেরি।
_____________________________
খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া কাদ্দাসাল্লাহু সিররাহুল আজিজ ছোট বেলায় মা সাহেবা (ওনাকে মা সাহেবাই বলা হয়) হতে ইলম অর্জন করেন। এবং মেহবুবে ইলাহীর মাতৃভক্তি ছিল অনন্য। খাজা সাব প্রায়শই মুরিদদের সাথে আলাপে মায়ের স্মৃতিচারণ করতেন। তেমনি একদিন তাঁর মা সাহেবার ইন্তেকালের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে দু-চোখ দিয়ে অশ্রুর বারিধারা বয়ে দিলেন। এতোই কান্না করছিলেন যে, কান্নার হেচকিতে অনেক কথা অস্পষ্টই রয়ে গেল। তখন তিনি একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। যা সিয়ারউল আউলিয়াতে উল্লেখ আছে।
বাংলায় এইভাবে—
❝একদিন আকাশে নতুন চাঁদ দেখে মা সাহেবার খেদমতে হাজির হই। এবং কদমবুসি করলাম। অতঃপর পবিত্র চাঁদ দেখার শুভ সংবাদ বরাবরের মতই পেশ করলাম।❞
তিনি বললেন —❝আগামী মাসের চাঁদ দেখা উপলক্ষে কার কদমবুসি করবা বাবা?❞
আমি বুঝে ফেললাম, মা সাহেবা তাঁর ইস্তেকালের মুহূর্ত সমাগত তা জানিয়ে দিলেন। দুঃখ ও বিষাদে আমার অন্তর-মন ভরে গেল। আমি কাঁদতে শুরু করলাম।
আমি আরজ করলাম — ❝মা সাহেবা! এ অধম ও গরীব বেচারাকে কার কাছে রেখে যাচ্ছেন?❞
তিনি উত্তরে জানালেন — ❝এই প্রশ্নের উত্তর আগামীকাল পাবে। আমি মনে মনেই ভাবলাম, এ মুহূর্তেই কেন তিনি উত্তর দিচ্ছেন না।
মা সাহেবা বললেন —❝যাও! আজ রাত শায়খ নজিব উদ্দীন রহ. ওখানেই থাকো। মায়ের নির্দেশে আমি সেখানেই গেলাম। শেষ রাতে ভোরের দিকে ঘরের খাদেমা দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে এসে ডেকে বলল, বিবি সাহেবা তাঁকে ডাকছেন। আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম — ❝সব খবরাখবর ভাল তো? কোন অসুবিধা হয়নি তো?❞
খাদেমা উত্তরে হ্যাঁ বলায় আমি শান্ত মনে মা সাহবার খেদমতে হাজির হলে তিনি বলেন — ❝গতকাল তুমি আমাকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করেছিলে আর অমি তার উত্তরে র দেওয়ার ওয়াদাও করেছিলাম। এখন আমি তার উত্তর দিচ্ছি। মনোযোগ সহকারে শুনবে। তিনি বললেন, তোমার ডান হাত কোনটি? আমি আমার ডান হাত বাড়িয়ে দিলাম। তিনি আমার ডান হাত নিজের হাতের মুঠোর ভেতর টেনে নিলেন এবং বললেন, ইয়া আল্লাহ পরওয়ারদিগার! একে আমি তোমার হাতেই রেখে যাচ্ছি।❞
(একথা বলেই তিনি খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে একা করে ইন্তেকাল করলেন।)
আমি এতে আল্লাহ পাকের দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করলাম আর মনে মনে বললাম, আমার মা সাহেবা যদি স্বর্ণরৌপ্যাদিও মণিমুক্তায় পূর্ণ একটি ঘরও আমার জন্য রেখে যেতেন তবুও আমি এত খুশী হতাম না যতটা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আমাকে রেখে গেছে।
-
এই কথা বলে নিজামুদ্দিন আউলিয়া কাদ্দাসাল্লাহু সিররাহুল আজিজ আবারো কাঁদতে লাগলেন।
খাজা সাব আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন ৭১৯ বছর হয়ে গেছে। এখনো মানুষ ওনার ফয়েজ হাসিল করে সফলতার সিংহাসনে সমাসীন হচ্ছেন। কিন্তু এই নিজামুদ্দিন আউলিয়া রহ. এর এতোকিছুর পিছনে যিনি ছিলেন তার মধ্যে অন্যতম তাঁর মা সাহেবা। তিনি যদি এই মহান পুরুষ জন্ম না দিতেন দুনিয়া এমন একজন বুজুর্গ হতে বঞ্চিত হতো। মা সাহেবার রক্তধারাও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মিলিত হয়েছে।
মেহবুবে ইলাহীর ৭১৯ তম ওরশ মুবারকে পর্দা নামবে আজ। রুহানি জগতে না জানি ওনার বাবা আর মা সাহেবার মূখ কতটা উজ্জ্বল হয়েছে।
খাজা সাবের পরিবারের এই চিশতী-নিযামী ফয়েজ যেন আমাদের উপর ক্ষুদ্রতম হলেও পতিত হয়। 💙
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: