Slowdown and enjoy

Описание: 🎯গণতন্ত্রের সাতকাহন 🎯

গণতন্ত্র (Democracy) হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে দেশের সর্বময় ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে। এখানে শাসকগোষ্ঠী জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচিত হয় এবং জনগণই দেশের শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। গণতন্ত্রে নাগরিকরা ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন, যারা দেশের আইন প্রণয়ন এবং শাসনকার্য পরিচালনা করেন।

গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হলো "জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন" (Government of the people, by the people, for the people)।

📌গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য📌

১. জনগণের ক্ষমতা: জনগণ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শাসনের অধিকার রাখে।

২. নিয়মিত নির্বাচন: গণতন্ত্রে নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্বাচন হয়।

৩. আইনের শাসন: সকল নাগরিক আইন এবং সংবিধানের অধীনে সমান।

4. মত প্রকাশের স্বাধীনতা: গণতন্ত্রে নাগরিকদের মত প্রকাশের, মতবিনিময়ের এবং সমালোচনার অধিকার থাকে।

5. স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা: বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক থাকে।

গণতন্ত্র হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণের ইচ্ছা এবং মতামতই সবকিছুর মূল।

গণতন্ত্রের ধারণা ও চর্চা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে বিকশিত হয়েছে। এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিম্নে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. গণতন্ত্রের জনক: এরিস্টটল (গ্রিস)

গণতন্ত্রের প্রাথমিক ধারণা প্রাচীন গ্রিসে বিকাশ লাভ করে। এরিস্টটলকে গণতন্ত্রের জনক বলা হয় কারণ তিনি তাঁর রচনাগুলিতে শাসনব্যবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। তিনি গণতন্ত্রকে এমন এক শাসনব্যবস্থা হিসেবে দেখিয়েছেন যেখানে জনগণের ইচ্ছাই শাসনের মূল ভিত্তি।

২. আধুনিক গণতন্ত্রের জনক: জন লক (যুক্তরাজ্য)

আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনে জন লকের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি সামাজিক চুক্তির ধারণা ও জনগণের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর মতবাদে প্রভাবিত হয়ে আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

৩. সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রচলন: যুক্তরাজ্য

বিশ্বের প্রথম সংসদীয় গণতন্ত্রের উদাহরণ হলো যুক্তরাজ্য। এখানে সংসদ ব্যবস্থা প্রবর্তন ও বিকাশ ঘটে যা অন্যান্য দেশে অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।

৪. প্রাচীনতম গণতন্ত্র প্রচলিত: যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা দীর্ঘ ইতিহাসের ধারক। ম্যাগনা কার্টা (১২১৫) গণতন্ত্র বিকাশের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা রাজতন্ত্রের ক্ষমতা সীমিত করে।

৫. বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ: ভারত

জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত হলো বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে নিয়মিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়।

৬. রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের জনক: যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক। এখানে নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে এবং আইন পরিষদ আলাদা থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান আধুনিক রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার ভিত্তি।

সংক্ষেপে জেনে নেই 👉👇

গণতন্ত্রের সূতিকাগার: গ্রিস

আধুনিক গণতন্ত্রের সূতিকাগার: যুক্তরাজ্য

সংসদীয় গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক: যুক্তরাজ্য

রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক: যুক্তরাষ্ট্র

বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ: ভারত

এগুলো বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্যের প্রাথমিক ধারণা প্রদান করে।