ধনী হওয়ার এই ৮ টা অভ্যাস এখনই গড়ে তুলুন আর নিরবে ধনী হন।
Автор: Business Growth Foundation
Загружено: 2025-04-26
Просмотров: 272
Описание:
ধনী হওয়া মানেই সবসময় বাইরে চাকচিক্য বা লোক দেখানো নয়। আসলে, যাদের নীরবে ধনী হতে দেখা যায়, তারা সাধারণত খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন। এই মানুষগুলো সাফল্যের পিছনে ছোটেন না; বরং নিয়মিত ছোট ছোট অভ্যাসের মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় সাফল্য পান।
চলুন জেনে নিই, কীভাবে কিছু নীরব অভ্যাস মানুষকে ধীরে ধীরে ধনী করে তোলে
👉আগে নিজের জন্য রাখুন।
ধনী হওয়ার পথে যারা এগিয়ে থাকেন, তারা খরচের আগে সঞ্চয় করেন। মাস শেষের অপেক্ষা নয়, বেতনের একটা নির্দিষ্ট অংশ তারা সরাসরি সঞ্চয় বা বিনিয়োগে জমা করেন।
আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান তারা দুজন ছোট বেলা থেকেই ভালো বন্ধু, এক স্কুলে এক ক্লাসে পড়েছেন।
আব্দুল্লাহর বাবা ছিলেন একজন সরকারি চারকিজিবী, মাসে ভালো বেতন পেতেন।
অন্যদিকে আব্দুর রহমান এর বাবা একজন কৃষক।
কৃষি কাজ করে মোটামুটি সংসার চালাতেন।
আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান দুজনেই ভালো ছাত্র ছিলো।
আব্দুল্লার বাবা সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় আব্দুল্লাহর তারাতাড়ি একটা সরকারি চাকরি হয়ে যায়।
অন্যদিকে আব্দুর রহমান বাবার কৃষি কাজ করতে শুরু করে।
আব্দুল্লাহ ছোট বেলা থেকেই আদরে বড় হয়েছে এবং বাবার থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আয়েসি জীবনযাপন করেছে।
আর তাই এই অব্যাস এখনো রয়েছে।
তাই সে ৩০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে আগের মতই চলাচল করে।
এমনকি মাস শেষ হতে না হতেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়।
যেহেতু তার বাবা এখনো ইনকাম করে তাই তার টাকা জমানোর ইচ্ছা নেই বললেই চলে।
কিছুদিন পর তার বাবা মারা যান,
তাই আর বেশি টাকাও ভাতা আসে না।
আব্দুল্লাহ তো আগে থেকে বেশি বেশি টাকা খরচ করে ফেলে এবং মাস শেষে দেখা যায় তার টাকা শেষ হয়ে যায়।
তাই সে আর কোন টাকা জমাতে পারে না আর সে তার প্রয়োজন অনুভব করে না।
অন্যকে দিকে আমরা দেখতে পাই আব্দুর রহমান এখনো কৃষি কাজ করে।
সে কৃষি কাজ থেকে প্রায় প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে।
সে যেহেতু ছোটবেলা থেকেই দরিদ্র অবস্থায় বড় হয়েছে অতিরিক্ত খরচ করে না।
যখন মাস শেষে টাকা হাতে পায় তখন এখান থেকে কিছু টাকা সে জমা করে রাখে।
সে আগেই টাকা জমা করে এবং বাদ বাকি টাকা দিয়ে অন্যান্য খরচ চালিয়ে নেয়।
এভাবে কয়েক বছর চলতে থাকে।
কিছুদিন পর আব্দুর রহমানের বন্ধু
যার নাম ছিল সিয়াম তার সাথে আব্দুর রহমানের দেখা হয়।
আর সিয়াম আগের থেকেই কিছু খামারের সাথে জড়িত।
অর্থাৎ তার গরু ছাগল হাঁস মুরগির খামার ছিল আরকি।
এবার সে একটা মাছের খামার করতে চাচ্ছে।
যেখানে মাছের চাষ করে ভালো টাকা ইনকাম করা যাবে।
আব্দুর রহমান বলল তাহলে আমার কিছু টাকা জমানো আছে আমাকেও তাহলে তোমার মাছের চাষের সাথে যুক্ত করো।
সিয়ামও রাজি হয়ে যায় তাই আব্দুর রহমান তার টাকাগুলো সিয়াম কে দেয় এবং একসাথে মাছের চাষ শুরু করে। বছর শেষে দেখা যায় এখান থেকে ভালো একটা ইনকাম হয়েছে।
এরপর আব্দুর রহমান মাছের চাষ থেকে মোটা অংকের একটা টাকা ইনকাম করে পাশাপাশি আবার সারা বছর যে টাকা জমিয়েছে এগুলো এক করে সে এবার নিজেই একটা মারছে খামার করে এবং সিয়ামের মাছের খামারের সাথে যুক্ত থাকে।
এভাবে আব্দুর রহমান আস্তে আস্তে অনেক বড়লোক হয়ে যায় তার অনেক টাকা-পয়সা হয়ে যায় অনেকগুলো খামার হয়ে যায় তার এখন মাছের খামার হাঁস-মুরগির খামার গরু ছাগলের খামার সবকিছুই আছে।
সে এখন আর নিজে কোন কাজ করে না তার প্রত্যেকটা সেক্টরে 8 থেকে 10 জন করে লোক রাখা আছে তারাই সব কাজ করে।
এবং তার টাকা পয়সা হিসাব রাখার জন্য একজন ক্যাশিয়ারও রাখা আছে যে সবকিছু দেখাশোনা করে এবং হিসাব নিকাশ গুলা ঠিক রাখে।
এখন আব্দুর রহমানের আর কোন চিন্তা ভাবনা করতে হয় না সে আরাম আয়েশে জীবন কাটায়।
অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই আব্দুল্লাহ এখন প্রতি মাসে ৩০ হাজার থেকে বেড়ে বেতন ৪০ হাজার টাকা হয়েছে আর তার খরচ আগে থেকে আরো বেড়ে গেছে যার ফলে এখনো সে কোন টাকা জমা করতে পারে না।
সে আগের মতই মাস শেষে পকেট ফাঁকা হয়ে আগামী মাসে কি খাবে সে চিন্তা করতে থাকে।
সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম অবশ্যই ধনী হতে হলে টাকা জমা করতে হবে এবং সেই টাকা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ইনভেস্ট করতে হবে।
তাই আগেই নিজের জন্য রাখুন অর্থাৎ খরচ করার পূর্বে আগে যেই টাকা জমা করবেন সেটা জমা করে রাখুন
এরপরে যেই টাকা হাতে থাকবে সেটা খরচ করে সারা মাস চালিয়ে নিন আস্তে আস্তে যখন পর্যাপ্ত টাকা হবে তখন সেগুলো দিয়ে ব্যবসা বা অন্যকিছু শুরু করুন এভাবেই নিরবে ধনী হওয়ার অভ্যাস গরে তুলুন
আমরা আগামী পর্বে কিভাবে নিরবে ধনী হওয়া যায়
এর ২য় অভ্যাস সম্পর্কে আলোচনা করব সে পর্যন্ত আমাদের পাশেই থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: