দেহতত্ত্ব ও লিঙ্গ সাধনা - ৯ ওঙ্কারের সাধনা - ETERNAL PEACE SEEKER - SSPF
Автор: Sasanka Sekhar Peace Foundation
Загружено: 2023-06-14
Просмотров: 4953
Описание:
ওঙ্কারের ধ্যানের একটা সহজ পদ্ধতির কথা বলেছেন। বলছেন, মেরুদন্ড সোজা রেখে যে কোনো সময় এর অভ্যাস করা যেতে পারে। তবে সকাল ও সন্ধ্যা বা গভীর রাতে এই ওঙ্কারের ধ্যানের উপযুক্ত সময়। যেকোনো জায়গায়, তবে নির্জন স্থান উপযুক্ত, পূর্ব মুখী হয়ে বা উত্তর-মুখী হয়ে বসে, মায়েরা পেট ভোরে, আর পুরুষ সাধক বুক ভোরে শ্বাস গ্রহণ করুন। মনটাকে শ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে নিন। শ্বাস কোথায় যাচ্ছে, কোন পথে যাচ্ছে, সেখানে কতক্ষন থাকছে, আবার কোন পথে বেরিয়ে আসছে, মনটাকে এই কাজে লাগিয়ে দিন। এবার সশব্দে ওঙ্কার উচ্চারণ করতে করতে শ্বাস ছাড়তে থাকুন। বারবার এই ওঙ্কারের উচ্চারণ করতে করতে স্বাসবায়ু ছাড়তে থাকুন। সশব্দে উচ্চারণ করতে হবে। এর পরে, ধীরে ধীরে দেখবেন, একসময় মুখ দিয়ে আর শব্দ করতে ইচ্ছে করছে না, বা সশব্দে উচ্চারণ করবার শক্তি যেন হারিয়ে গেছে। তখন কানে আর কোনো বাহ্য সব শোনা যাচ্ছে না, কিন্তু ওঙ্কার ধ্বনিত হচ্ছে আর কেবল ঠোঁট স্পন্দিত হচ্ছে। এর পরে একসময় ঠোঁটের স্পন্দনও থেমে যাবে, তখন কেবল মনের মধ্যে এই ধ্বনির উচ্চারণ ধ্বনিত হতে থাকবে। এই অভ্যাস দিন-রাতের এক নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করতে হবে। শেষের কোনো সময়সীমা রাখবেন না। পনের মিনিট থেকে শুরু করুন, এক ঘন্টা দু ঘন্টা বা যতক্ষন সম্ভম এই ধ্বনির মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখুন। ওঙ্কারের উচ্চারণ সম্পর্কে মহাত্মাগণ বলে থাকেন, ওম। ....এই ম -বা চন্দ্রবিন্দু , বা অনুস্বর এর উচ্চারণ মুখ বন্ধ অবস্থায় নাক দিয়ে করতে হবে । আর এই অনুনাসিক স্বরকে টেনে যতটা সম্ভব দীর্ঘায়িত করতে হবে।
আরো একটা গুহ্য রহস্যের কথা বলেছেন, যোগাচার্য্য, সেটি হচ্ছে ওং উচ্চারণের শুরুটা হবে, শ্বাসের উপরে একটা চাপ সৃষ্টি করে। অর্থাৎ ওঁং এর পরে অনুস্বর ও চন্দ্রবিন্দুর উপরে জোর দিতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়া প্রথম দিকে না করা ভালো। যাদের শরীর মন পবিত্র নয়, যাদের নাড়ীশুদ্ধি হয়নি, তাদের পক্ষে এটি উপযুক্ত নয়। তথাপি কেবলমাত্র জানবার জন্য শুনে রাখুন। যদি কোনোদিন পূরক-কুম্ভক-রেচকের দ্বারা নাড়ীশুদ্ধি করে নিতে পারেন, আহারে শুদ্ধতা আনতে পারেন, সংযমী জীবন যাপন করতে পারেন, তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এতে খুব শীঘ্র আশ্চর্য জনক ফল পাবেন। কারন এই প্রক্রিয়ার অভ্যাসে সহজেই মূলাধারের শক্তি উর্দ্ধগামী হতে শুরু করে, তখন শরীরে নানান রকম উপসর্গ দেখা যায়। এই জন্য গুরুর নির্দেশ ব্যতিরেকে, বা স্বাভাবিক উচ্চারণের অভ্যাস করে, যখন শরীরও এই ওঙ্কারে অভ্যস্থ হয়ে যাবে, অর্থাৎ এই ধ্বনির সঙ্গে যখন নিজেকে মিলিয়ে নিতে পারবেন, তখন এই পদ্ধতির অভ্যাস শুরু করা যেতে পারে। এরজন্য কারুর ক্ষেত্রে তিন মাস বা কারুর ক্ষেত্রে এক বছরও লেগে যেতে পারে। ওঙ্কারের অভ্যাসে শরীর হালকা বোধ হবে, মনের মধ্যে একটা শান্ত ভাব বজায় থাকবে। সুখ-দুঃখের অনুভূতি তখন মনকে বিচলিত করতে পারবে না। এই ওঙ্কারের সাধনা সমাজের এক বিশিষ্ঠ শ্রেণীর মধ্যে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছিল। এখনো স্ত্রীজাতি শূদ্র জাতিদের ওঙ্কারের উচ্চারনে নিষেধ জারি করা হয়। তারা বলবে নমঃ। আমরা চাই সাধারনের কাছে এই অমূল্য ধন বিতরণ হোক। ETERNAL PEACE SEEKER - SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: