ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ - টেকনাফের দর্শনীয় স্থান
Автор: Journey Life
Загружено: 2022-07-13
Просмотров: 163
Описание:
ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ বাংলাদেশের দক্ষিণে শেষ উপজেলা টেকনাফ শহরে টেকনাফ থানা চত্ত্বরে অবস্থিত। এ স্থানটি রাখাইন তরুনী মাথিন ও পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্টাচার্যের প্রেম কাহিনির জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে।
তো চলুন বন্ধুরা আজ ঘুরে দেখি এই ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। এই মাথিনের কুপটি কক্সবাজার জেলার এবং বাংলাদেশেরে দক্ষিনে সব শেষ উপজেলা টেকনাফ এ অবস্থিত একটি দর্শনীয় স্থান। এই মাথিনের কূপ টেকনাফ জিরো পয়েন্ট এর খুব কাছেই টেকনাফ থানা চত্তরে অবস্থিত।
ধীরাজ ভট্টাচার্য উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে কলকাতা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় বদলি হয়ে আসেন। তখন টেকনাফে সুপেয় পানির খুবই অভাব ছিল এবং থানা প্রাঙ্গনে একটিমাত্র সুপেয় পানির কূপ ছিল তাই প্রতিদিন আশেপাশের রাখাইন তরুণীরা পাতকূয়ায় জল নিতে আসতেন।
অন্যান্য রাখাইন তরুণীর সাথে টেকনাফের জমিদার ওয়ানথিনের একমাত্র মেয়ে মাথিন জল নিতে আসতেন এই কূয়াটিতে। এভাবে ধীরাজ ও মাথিন এর দেখা ও ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
হঠাৎ করে কলকাতা থেকে ধীরাজ এর জরুরী বার্তা আসে কলকাতায় যাবার জন্য। মাথিনকে বিষয়টি জানালো ধীরাজ। মাথিন রাজী হতে পারল না, তবু ধীরাজ কলকাতা থেকে দ্রুত ফিরে এসে মাথিনকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং কলকাতায় চলে যান। তবে ধীরাজ কলকাতায় ফিরে গেলে আর কখনই আসেননি টেকনাফে মাথিনের কাছে। মাথিন বেশ কষ্ট পান ও নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেন। কোনভাবেই তাঁকে বোঝানো যায়নি। একসময় মাথিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আর এভাবেই বেদনা-বিধুর বিরহ প্রেমের স্বাক্ষী হিসেবে অবস্থান করছে টেকনাফের এই ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। যা এখনো নীরব প্রেমের ইতিহাস হিসেবে অবস্থিত রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে। সেই থেকে এই কুয়াটির নামকরণ হয় ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ।
১৯৩৫ সালে লাহোরের ইউনিক পাবলিকেশন্স থেকে ‘যখন পুলিশ ছিলাম’এই নামে ধীরাজ ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী মূলক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে ধীরাজ ভট্টাচার্য নিজেই লিখে গেছেন তার এই বিরহ গাথা প্রেমের উপাখ্যান।
💜 কীভাবে যাবেন:
এই ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ টি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানা চত্তরে অবস্থিত। ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফের বাস আছে। এসি এবং ননএসি দুই ধরনের বাস পাওয়া যায়। বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় টেকনাফ জিরো পয়েন্ট এবং টেকনাফ থানা পেয়ে যাবেন, থানার ভেতরে এই মাথিনের কূপ অবস্থিত। এছাড়া কক্সবাজার থেকে বাস, সিএনজি বা রিজার্ভ গাড়ী করে পৌছাতে পারবেন ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ।
💜 থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা:
টেকনাফে থাকার জন্য আছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল নেটং। হোটেলটি টেকনাফ শহরের প্রায় আট কিলোমিটার আগে অবস্থিত, বুকিং করতে পারবেন ঢাকার পর্যটন কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় থেকে। এছাড়া টেকনাফে থাকা ও খাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরা। খুব সহজেই সাশ্রয়ী মূল্যে এসব স্থানে থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে যদি টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের একেবারে কাছাকাছি থাকতে চান তাহলে আছে সেন্ট্রাল রিসোর্ট। এ ছাড়া এখানে রয়েছে সী-কোরাল রিসোর্ট, আলো রিসোর্ট, মিলকি রিসোর্ট, হোটেল স্কাই ভিউ এর মত বেশ কিছু স্থানীয় হোটেল।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ভিডিও অধ্যায়
00:00 | ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ ভ্রমণ
03:05 | মাথিনের কূপ - কীভাবে যাওয়া যায়
03:35 | মাথিনের কূপ - থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা
04:20 | ধন্যবাদ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
💚 সাংগ্রাই উৎসব | জলকেলি উৎসব
• সাংগ্রাই উৎসব | জলকেলি উৎসব
💚 বাংলাদেশের দক্ষিণের শেষ ভূখণ্ড, ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণ
• বাংলাদেশের দক্ষিণের শেষ ভূখণ্ড, ছেড়া দ্বী...
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
#ঐতিহাসিক_মাথিনের_কূপ
#মাথিনের_কূপ
#টেকনাফ
#টেকনাফ_দর্শনীয়_স্থান
#জার্নি_লাইফ
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: