হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহঃ এর দরগাহ |নাসিরাবাদ,চট্টগ্রাম | BB MEDIA |
Автор: BB Media
Загружено: 2023-12-11
Просмотров: 105
Описание:
হযরত আবু ইয়াজিদ আল বায়েজিদ বোস্তামী (র.)’র সংক্ষিপ্ত জীবনী
জন্ম
হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র.) ৮০৪ সালে পারস্যের বোস্তাম শহরে শুভাগমন করেন। তিনি হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দির একজন বিখ্যাত সূফি সাধক এবং আজও মায়ের প্রতি পরম ভক্তির দৃষ্টান্ত রূপে পুরো পৃথিবী জুড়ে বায়েজিদ বোস্তামী নামটি সুপ্রসিদ্ধ। তিনি হযরত সৈয়্যদুনা ইমাম জাফর সাদিক (রা.)’র মুরিদ ছিলেন এবং আরিফ বান্দাগণের সুলতান হিসেবে খ্যাত। নিম্মে এই মহান সাধকের সংক্ষীপ্ত পরিচিতি ও চট্টগ্রামের তাঁর আস্তানা শরীফ, গজার মাছ সম্পর্কেও আলোকপাত করা হলো।
শিক্ষা জীবন
বায়েজিদ বোস্তামির পিতা-মাতা ছোটবেলা থেকেই তাঁর বিদ্যাশিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। শিক্ষা অর্জনের জন্য বোস্তামির পিতা-মাতা তাঁর জন্য বাসায় কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ করেন। তার পিতাও তাঁকে শিক্ষাদান করতে থাকেন। পরবর্তীতে বাহিরে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে থাকেন কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁর পিতা ইন্তেকাল করলেও শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়নি কারণ বায়েজিদের মাতা ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী মহিলা। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে তিনি বিচলিত হননি। একদিন তিনি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বললেন, আল্লাহর খেদমতে আমায় ছেড়ে দিতে হবে। আমি সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর গোলাম হব। মা বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহর খেদমতে ছেড়ে দিলাম। তারপর তিনি মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করার জন্য। উচ্চ মাকাম অর্জনের জন্য ১১৩ জন বিশিষ্ট শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা লাভ করেন। তাঁর বিশিষ্ট উস্তাদদের মধ্যে হযরত ইমাম জাফর সাদিক ও হযরত শফিক বলখি (রহ.) ছিলেন অন্যতম।
মায়ের প্রতি বায়েজিদের ভক্তি
উল্লেখ আছে যে একদা বায়জীদ বোস্তমির মা অসুস্থ ছিলেন। এক রাতে মা বায়জীদ বোস্তমিকে পানি পান করবার জন্য পানি আনতে বলেন। বায়জীদ ঘরে পানি না পেয়ে অন্ধকার রাতে নদী থেকে পানি নিয়ে আসেন। এসে দেখলেন মা ঘুমিয়ে আছেন। তিনি ভাবলেন মাকে জাগালে মায়ের ঘুম ভেঙ্গে যাবে, তাই তিনি পানি হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেন। সকালে মায়ের ঘুম ভাঙার পর দেখলেন তার ছেলে পানি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি অবাক হলেন, খুশি হলেন। মা প্রান ভরে ছেলের জন্য দুয়া করেন। আল্লাহ মায়ের দুয়া কবুল করলেন। তিনি হয়ে গেলেন, বিখ্যাত ওলি বোস্তামী আর মায়ের প্রতি পরম ভক্তি দেখিয়ে সৃষ্টি করেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার
সুলতানুল আরেফিন হযরত আবু ইয়াজিদ আল-বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.)’র প্রকৃত মাজার শরীফ ইরানের বোস্তাম শহরে হলেও চট্টগ্রামের বায়েজিদে অবস্থিত তাঁর আস্তানা শরীফটি মাজার হিসেবেই অধিক প্রসিদ্ধ। ১৮৩১ সালে পাহাড়ের উপরিভাগে একটি দেয়ালঘেরা আঙিনার মাঝে মাজারটি আবিষ্কার করা হয়। বুজুর্গানে কেরাম, কবিতা চরণে, লোকগাঁথার ভাষ্যমতে তিনি তৎকালীন আরবের অন্যান্য বুজুর্গদের ন্যায় জাহাজে করে চট্টগ্রাম আগমন করে বর্তমান আস্তানার ঐ স্থানে পাহাড়ের উপর রিয়াজত করেন। এই আস্তানা শরীফটি বর্তমানে মাজার হিসেবে সুপ্রসিদ্ধ এবং মাজার সংলগ্ন পুকুরে গজার মাছ এর নমুনা হিসেবে এদের সংশ্লিষ্ট তাঁর অনেক কারামত এর সত্যতা বহন করে।
আরেফদের সুলতান হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.)’র শান-মান ও চট্টগ্রামের তার আস্তানা শরীফ এবং মাজার পুকুরে সেই বিশেষ গজার মাছগুলো সম্পর্কে “দিওয়ান ই আযীয” কিতাবে ঈমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী সৈয়্যদ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা আল কাদেরী (রহ.) বলেন,
“ওই সুলতানে বোস্তামীকে হাজারো স্বাগতম। দুনিয়ার মোহত্যাগী এ মহান অলি বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন। তাঁকে স্বাগতম।
বোস্তামীর উপদেশ
১.একবার তার কাছে প্রশ্ন করা হলো, মানুষ আত্মশুদ্ধির চূড়ান্ত অবস্থায় কখন পৌঁছাতে পারে? তিনি জবাব দিলেন, যখন মানুষ সৃষ্টিজগত থেকে পৃথক হয়ে নির্জনে নিজের দোষত্রুটির কথা চিন্তা-ভাবনা করে তা থেকে নিজেকে শুধরে নেয়। তিনি আরও বলেন, এর দ্বারা আল্লাহর নৈকট্যও হাসিল হয়।
২. বায়েজিদ বোস্তামিকে লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হুজুর! নামাজের খাঁটি ও আসল পরিচয় কি? তিনি জাবাব দিলেন, যার দ্বারা দীদারে ইলাহী হতে পারে, সেটাই প্রকৃত নামাজ। তবে তা খুব কঠিন কাজ, কিন্তু মানুষের সাধ্যাতীত নয়।
৩. বায়েজদি বোস্তামী (রহ.) বলতেন, আমি দুনিয়া পরিত্যাগ করে সম্পূর্ণ একাকী অবস্থায় বলতে লাগলাম, হে মাবুদ! তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই। তবে তুমি যখন আমার আছ, আমার সব কিছুই আছে। আল্লাহতায়ালার মেহেরবানীর ফলে আমার মানসিক অবস্থা ও অনুভূতির পরিবর্তন ঘটল। অনুভব করলাম, যারা আল্লাহর আদেশ পালন করেছে, তারা পুরস্কার লাভ করেছে ও পুরস্কারের প্রতি আসক্ত হয়েছে, কিন্তু আমি প্রভু আল্লাহতায়ালা ছাড়া অন্য কিছুতেই আসক্ত হইনি।
৪. আমি ভেবে দেখলাম যে, আমার শাস্তি পাওয়ার মূল হেতু কোন বস্তু? দেখা গেল গাফলতি (আলস্য) ছাড়া আর কিছু নয়। পরে তিনি বললেন, মানুষের সামান্য গাফলতি দোজখের আগুনের কারণ হবে। অতএব সাবধান হও।
৫. বায়েজিদ বোস্তামী বেশি বেশি আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকতেন। তার পরও বলতেন, ওহে মাবুদ! সারা জীবন আমি আপনার নাম স্মরণ করেছি একান্ত উদাসীনভাবে। আমি এক চরম অকৃতজ্ঞ। জানিনা, আপনার সাথে আমি সাক্ষাতের যোগ্য বলে বিবেচিত হবো কি না। তিনি মানুষকে বেশি বেশি জিকিরের প্রতি তাগাদা দিতেন।
ওফাত
বিখ্যাত এই মহান সাধাক ১৪ রমজান/ ১৫ শাওয়াল ২৩১/২৬১ হিজরি ৮৭৪ সনে ইন্তেকাল করেন। তাঁর পবিত্র মাজার শরীফ তৎকালীন পারস্যদেশ বর্তমান ইরানের শাহরুদের কাছে বোস্তামে অবস্থিত।
তথ্য সূত্রঃ
দিওয়ানে আজীজ
ইউকিপিডিয়া উর্দূ
বাংলাপিডিয়া
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: