প্রাইমারি স্কুল ধ্বংসের পথে।
Автор: Tumpa Maam Education
Загружено: 2025-09-03
Просмотров: 688
Описание:
ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনার উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক তথ্য এবং রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার মান এবং অবকাঠামোর উপর প্রভাব ফেলছে। তবে, "ধ্বংসের পথে" শব্দটি একটি সাধারণীকৃত বিবৃতি হতে পারে, এবং এর পেছনের কারণগুলি বোঝার জন্য বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রয়োজন। নীচে এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়া হল:
১. প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হওয়া
তথ্য: গত এক দশকে (২০১২ থেকে ২০২২) পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭,০১৮টি রাষ্ট্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সর্বাধিক ১,১৯২টি স্কুল বন্ধ হয়েছে।
কা
ছাত্র সংখ্যা হ্রাস: ২০১২ সালে ৭৮,০৪,৬৮৪ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও ২০২২ সালে এই সংখ্যা কমে ৭১,৯৫,৭২৮-এ দাঁড়িয়েছে। এই হ্রাসের ফলে অনেক স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ৩০-এর নিচে নেমে গেছে, যার জন্য সরকার আর্থিক অসুবিধার কারণে স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থ সংকট: কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের (Samagra Shiksha Scheme) আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কোনো তহবিল ছাড় করা হয়নি, যার ফলে স্কুলগুলির মৌলিক রক্ষণাবেক্ষণ (যেমন, টয়লেট পরিষ্কার, ফ্যান মেরামত, চক-ডাস্টার কেনা) কঠিন হয়ে পড়েছে।
শিক্ষকের অভাব: অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পুরুলিয়ার তেলিয়া ভাসা জুনিয়র হাই স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে প্রায় ১,১০,০০০ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যার ৬৯% গ্রামীণ
দুর্বল অবকাঠামো: অনেক স্কুলে মৌলিক সুবিধা যেমন বিদ্যুৎ, পরিষ্কার টয়লেট, বা মেরামত করা ছাদের অভাব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভোগপুর মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফ্যান মেরামতের জন্য তহবিল নেই, এবং সপ্তপ্রদীপ ফ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে মাত্র তিনবার টয়লেট পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ব্যয়: অনেক শিক্ষক নিজেদের পকেট থেকে খরচ করে ক্লাসরুমের জন্য চক, ডাস্টার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন।
৩. ড্রপআউট হার এবং শিক্ষার মান
ড্রপআউট সমস্যা: শিক্ষকের অভাব এবং অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে ছাত্রছাত্রীদের ড্রপআউট হার বাড়ছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং মেয়েদের মধ্যে। উদাহরণস্বরূপ, বাঁকুড়ার পাহাড়বেদিয়া গ্রামে অনেক ছাত্র স্কুল ছেড়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে।
শিক্ষার মান: শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত প্রাথমিক স্কুলে ১:৭৩ এবং মাধ্যমিক স্তরে ১:৭২, যা Right to Education Act-এর মানদণ্ড (১:৩০ এবং ১:৩৫) থেকে অনেক বেশি। এটি শিক্ষার মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সমালোচনা: শিক্ষাবিদ এবং সংগঠনগুলি, যেমন অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, দাবি করেছেন যে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য তহবিল কমাচ্ছে এবং শিক্ষক নিয়োগে উদাসীন। এছাড়া, স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) কেলেঙ্কারির মতো দুর্নীতির অভিযোগও শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলেছে।
৫. সম্ভাব্য সমাধান
তহবিল বৃদ্ধি: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের তহবিল নিশ্চিত করা।
শিক্ষক নিয়োগ: শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা এবং শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত উন্নত করা।
অবকাঠামো উন্নয়ন: স্কুলগুলির মৌলিক সুবিধা যেমন বিদ্যুৎ, টয়লেট, এবং শ্রেণিকক্ষ মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ।
ড্রপআউট প্রতিরোধ: গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করা।
উপসংহার
পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি অবকাঠামোগত সমস্যা, শিক্ষকের অভাব, এবং তহবিল সংকটের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও, "ধ্বংসের পথে" বলাটা সম্ভবত অতিরঞ্জিত হতে পারে। সরকারের কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ সত্ত্বেও, সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। এই বিষয়ে আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো ঘটনা বা স্কুলের উদাহরণ থাকে, তাহলে আরও বিশদভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।
আপনি কি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা এলাকার বিষয়ে জানতে চান?
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: