বেজিং হাঁস পালন করে প্রতি মাসে 100000এক লক্ষ টাকা আয়।Beijing Duck in Bangladesh
Автор: আধুনিক কৃষি টিভি
Загружено: 2021-01-28
Просмотров: 976
Описание:
বেজিং হাঁস পালন করে প্রতি মাসে 100000এক লক্ষ টাকা আয়।Beijing Duck in Bangladesh
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় শ্রোতা,
আপনাদেরকে ’’আধুনিক কৃষি টিভি’’( Adonik krishi tv) চ্যানেলের পক্ষ্য থেকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার খামারের সফলতার গল্প গুলি তুলে ধরতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন- 01753447456
মা হাঁসের খামার
খামারি ঃ-শরিফুল ভাই
মোবাইলঃ-01727590436
বেইজিং মূলত চীনের রাজধানী যার নামানুসারে এই হাঁসের জাতের নাম বেইজিং রাখা হয়েছে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই জাতের হাঁস পালন করা সম্ভব। বেইজিং জাতের হাঁস পালনের জন্য আমাদের দেশের পরিবেশ একদম অনুকূল।
সুবিধা: দেশী হাঁসের তুলনায় এর গোশত বেশি সুস্বাদু। কোলস্টেরলের পরিমাণ কম। তিন মাসে হাঁসগুলোর গড় ওজন প্রায় পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়। খাবার বেশ কম লাগে। পূর্ণবয়স্ক হাঁস ৯০ থেকে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত ডিম দিতে পারে এবং প্রায় আঠারো মাস ডিম দেয়।
রোগ বালাই : হাঁস নানারকম রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে হাঁসের সবথেকে প্রচলিত দুটি রোগ হল ডাকপ্লেগ রোগ ও ডাক কলেরা রোগ। এই হাঁস মাত্র ৩ মাস বয়সেই বিক্রি করে দেয়া যায়। বেইজিং জাতের হাঁস পালনে ২৫ দিন পর প্রথমবার ডাকপ্লেগ রোগের টিকা দেয়া হয় এছাড়াও ৪০ দিন পর পুনরায় আর একবার ডাকপ্লেগ টিকা দেয়া হয় । এই জাতের হাঁসের মৃত্যুহার খুবই কম। আর তেমন ভিটামিন ও দেয়ার প্রয়োজন পড়েনা তবে যতটুকু না দিলেই নয় ততটুকু দেয়া যেতে পারে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই জাতের হাঁস পালন খুবই লাভজনক হবে।
খাদ্য : আমাদের দেশের যে প্রচলিত অন্যান্য হাঁস আছে ঠিক তাদের মত করেই এর লালন পালন করতে হয়। এই জাতের হাঁস তিনভাবে পালন করা যায়।
১) আবদ্ধ পদ্ধতি,
২) আবদ্ধ ও আংশিক খোলা পদ্ধতি, এবং
৩) উন্মুক্ত পদ্ধতি।
হাঁস লালন পালন করতে গেলে মনে রাখতে হবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই পালতে হবে। আমাদের দেশী হাঁস যেভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পালন করা হয়, এই হাঁসও সেই একই পদ্ধতিতে লালন পালন করলে লাভজনক হবে। কারণ হাঁস সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় পালন করলে ঐখান থেকে লাভ করা সম্ভব নয়।
এই হাঁসের বাচ্চা কেনার পরে প্রথম ১ মাস ব্রয়লার ফিড খাওয়াতে হবে। ১ মাস পার হলেই ২৫ দিন বয়সে ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন দিতে হবে। তারপর উন্মুক্ত পদ্ধতিতে মাঠে, বিলে, নদীতে বিশেষ করে যেখানে প্রাকৃতিক খাদ্য আছে যেমন শামুক, ঝিনুক, আগাছা, লতাপাতা, কচুরিপানা, শেওলা, মাঠে পড়ে থাকা ধান এসব জায়গায় পালন করতে হবে। এই হাঁস ৩ মাস বয়েসেই একেকটই ৪কেজি ওজনের হয়ে থাকে যা বিক্রি করে পিস প্রতি ১০০-১৫০ টাকা লাভ থাকে।
বাসস্থান : পানি ছাড়া এই জাতের হাঁস পালন করা যায়না। বেইজিং জাতের হাঁসকে সময়মতো খাবার এবং পানি দিতে হয়। এসব হাঁসের পা লালচে রং ও হাঁসগুলো সাদা রং এর হয়ে থাকে। এছাড়াও এদের ঠোটের রং হলুদ বর্ণের। এই হাঁস পালন করতে হলে খামারীদের খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙ্গিনায় এই হাঁস পালন করা যায় পারিবারিকভাবে। এই হাঁস পালনে খুব বেশি জায়গার দরকার পড়েনা ১০০ হাঁস পালনের জন্য শুধুমাত্র ৩০০ স্কয়ার ফুট জায়গা লাগে। এই জাতের হাঁস চীন ছাড়াও আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারিবারিক এবং বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হয়। খামারে দেশী হাঁসের মতই এই হাঁসগুলো একেবারেই নিজেদের মনের মত করে বিচরণ করে। এই হাঁসের রোগ বালাই অন্যান্য জাতের হাঁসের মতই এবং চিকিৎসা পদ্ধতিও একই।
বেইজিং জাতের হাঁসের বাচ্চা কৃত্রিম উপায়ে ফুটানো হয়। এই জাতের হাঁসগুলো দেশীয় জাতের হাঁসের চেয়ে ১-১.৫ মাস আগে ডিম দিতে শুরু করে এবং সারা বছর জুড়েই ডিম দিতে পারে। যদি এই হাঁস পারিবারিকভাবে অথবা বানিজ্যিকভাবে চাষ করা যায় তাহলে দেশের আমিষের চাহিদা পুড়ণ করা সম্ভবপর হবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক পুকুর, ডোবা ,নালা, নিচু ভূমি আছে যেখানে এই জাতের হাঁস পালন করে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: