স্বামীর সাথে পরকীয়ার করতে এসে🙄 ধরা খেলেন স্ত্রী, স্বামীর কাছে😁.

Описание: স্বামী স্ত্রী দুজনের বাড়িই কুমিল্লাতে,সোনারগাঁও এ নানীর বাড়ি থাকে এই মহান মহিলা সেখান থেকে এম ডি রাজা নামক ফেজবুক আইডি তে পরকীয়া করে স্বামীর বাড়ি যায় না।কিন্তু স্ত্রী জানতো না,তার স্বামী ই এম ডি রাজা🤣🤣🤣,তার পরে যা হওয়ার তাই হলো ধরা খেয়ে গেলো।

বাংলাদেশে পরকিয়ার অবস্থা:-
সাংসারিক বা দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সবচেয়ে জটিল সম্পর্কের একটি। পরকীয়া নামের অসামাজিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অশুভ থাবায় বিপর্যয়ের মূখে সংসার ও পরিবার প্রথা। অনেকেই সমাজ, লোকচক্ষু ও সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে নিরবে সহ্য করে যাচ্ছে স্বামী -স্ত্রীর এই নিষিদ্ধ প্রণয়লীলা। আবার অনেকেই পরকীয়ার নরক যন্ত্রণার অনল সহ্য করতে না পেরে ঘটাচ্ছেন বিবাহ বিচ্ছেদ। কেউবা আবার বেছে নিচ্ছে অত্মহননের মতো অভিশপ্ত পথ।

সাধারণত বিবাহিত নর কিংবা নারীর পরপুরুষ বা পর নারীতে আসক্তি, শারীরিক সম্পর্ক পরকীয়া হিসেবে পরিচিত। পরকীয়ার ইংরেজি হলো Adultery, Extramarital affair, Extramarital sex .উইকিপিডিয়ার মতে পরকীয়া হলো বিবাহিত কোন ব্যক্তির (নারী বা পুরুষ) স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকান্ড। Cambridge Dictionary তে বলা আছে, Sex between a married man or woman and someone he or she is not married to.
শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন যে পরিমাণ বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে তা সামাজিক বন্ধনের বিচ্ছিন্নতাকে চরমভাবে নাড়া দিয়েছে। পরিসংখ্যান মতে,২০১৯ সালের বিগত ৬ মাসে অর্থাৎ ১৮০ দিনে ৪ হাজার ৫৫৭টি তালাকের আবেদন হলে একদিনে আবেদন হয়েছে ২৬টি তালাকের। অর্থাৎ প্রতি ৫৫ মিনিটে একটি সংসার ভাঙার আবেদন জমা পড়েছে নগর ভবনে।স্বামীর পরকীয়া, মাদকাসক্ত এসব গুরুতর কারণে যেমন তালাক হয়, আবার স্ত্রীর নানা দোষ দেখিয়েও স্বামীরা তালাকের আবেদন করে।
বাংলাদেশে পরকীয়া সংক্রান্ত আইনের ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে যে কোন বিবাহিত ব্যক্তি যদি অন্য কোন বিবাহিত নারীর সাথে জেনেশুনে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে তা ব্যভিচার বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সেই পুরুষটির পাঁচ বছরের কারাদন্ড, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান আছে। তবে যে নারীর সাথে ব্যভিচার করা হয়েছে - তার ক্ষেত্রে আইনে কোন শাস্তির বিধান নেই, ব্যভিচারকারী নারী ও পুরুষ উভয়ের শাস্তির কথাও বলা নেই।তবে এই আইন সংশোধনের দাবি উঠেছে।তবে যাই বলি না কেন পরকীয়ার মতো অভিশপ্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা, জনসচেতনতা সৃষ্টি ও এর কুফল নিয়ে প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। পরকীয়ার মতো অসামাজিক ব্যাধিরও একটি জরিপ, পরিসংখ্যান থাকা প্রয়োজন। যাতে একে অঙ্কুরে নির্মূল করা সম্ভবপর হয়।#NK