মন জুড়ানো মন মাতানো সুরেলা কণ্ঠে দরুদ ইব্রাহিম তেলাওয়াত শুনুন ও শিখুন

Описание: দুরুদে ইব্রাহিমের তাৎপর্য ও ফজিলত অপরিসীম। এটি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর শেখানো একটি বিশেষ দোয়া এবং ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
তাৎপর্য
নামাজের অংশ: পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের শেষ বৈঠকে দুরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বা অপরিহার্য সুন্নত।
আল্লাহর আদেশ পালন: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন নবীর (সা.) প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করার জন্য (সূরা আহজাব, আয়াত ৫৬)। দুরুদে ইব্রাহিম পাঠের মাধ্যমে সেই আদেশ পালন করা হয়।
নবী প্রেমের বহিঃপ্রকাশ: মহানবী (সা.)-এর প্রতি হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা ও মহব্বত প্রকাশের একটি মাধ্যম হলো এই দরুদ পাঠ।
ইব্রাহিম (আ.)-এর সংযোগ: এই দুরুদে হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারের প্রতি আল্লাহর রহমত ও বরকত কামনার মাধ্যমে তাঁর মহান উত্তরাধিকারের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা এই দুরুদকে একটি বিশেষ মর্যাদা দান করেছে।

ফজিলত
গুনাহ মাফ: দুরুদ পাঠ করলে গুনাহ বা পাপ মোচন হয়।
রহমত ও বরকত লাভ: এটি পাঠ করলে আল্লাহর অসীম রহমত এবং জীবনে বরকত বৃদ্ধি পায়।
দোয়া কবুল: যেকোনো দোয়া করার আগে বা পরে দুরুদে ইব্রাহিম পাঠ করলে সেই দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।
আধ্যাত্মিক উন্নতি: এটি বান্দা এবং আল্লাহর মধ্যে একটি শক্তিশালী আধ্যাত্মিক সংযোগ তৈরি করে এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করে।
শান্তি ও সঠিক পথের দিশা: দুরুদে ইব্রাহিম পাঠের মাধ্যমে জীবনে শান্তি আসে এবং আল্লাহ সঠিক পথ দেখান।
সংক্ষেপে, দুরুদে ইব্রাহিম শুধু একটি ইবাদত নয়, এটি আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, নবীর প্রতি ভালোবাসা এবং নিজের জীবনকে রহমত ও বরকতে পূর্ণ করার একটি অনন্য উপায়।