প্রবাসীরা নিজেদের চিকিৎসার জন্য কেন অর্থ জমাবেন | Heart Problem Solution

Описание: প্রবাসীরা নিজেদের চিকিৎসার জন্য কেন অর্থ জমাবেন / হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ বাকী, চেম্বারঃ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা, 01711647877, 01979241736 / ইবনে সিনা (ধানমন্ডি, ঢাকা) 01975886118, 10615

প্রবাসীদের নিজেদের চিকিৎসার জন্য অর্থ জমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশে চিকিৎসার খরচ সাধারণত অনেক বেশি হয় এবং অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লে এই খরচ মেটানো কঠিন হতে পারে। নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো কেন প্রবাসীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ জমানো উচিত:

---

উচ্চ চিকিৎসা ব্যয়

যে দেশে প্রবাসীরা কাজ করেন, সেখানে চিকিৎসা ব্যয় সাধারণত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি হয়। ছোটখাটো অসুস্থতা থেকে শুরু করে জরুরি অপারেশন বা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার খরচ আকাশচুম্বী হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশগুলোতে একটি সাধারণ চিকিৎসকের পরামর্শ বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খরচ কয়েক হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদি আপনার পর্যাপ্ত সঞ্চয় না থাকে বা স্বাস্থ্য বীমা না থাকে, তাহলে এই খরচ আপনার বা আপনার পরিবারের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

---

স্বাস্থ্য বীমার সীমাবদ্ধতা

অনেক সময় প্রবাসীরা যে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় থাকেন, তার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। যেমন, বীমা হয়তো সব ধরনের চিকিৎসা কভার করে না, বা নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচের পর বাকিটা নিজেকেই বহন করতে হয়। আবার, কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা কেবলমাত্র জরুরি চিকিৎসার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী বা বিশেষায়িত চিকিৎসার খরচ মেটাতে যথেষ্ট নাও হতে পারে। কিছু দেশে, ভিসা বা কাজের চুক্তির সাথে স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক হলেও, তার আওতা কতটুকু তা ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।

---

অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি

কারো জীবনে কখন কী ঘটে, তা বলা মুশকিল। হঠাৎ অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা কোনো জটিল রোগ যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে। প্রবাসে, পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয় পাশে না থাকায় এমন পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায়। যদি আগে থেকে চিকিৎসার জন্য অর্থ জমানো থাকে, তাহলে এই কঠিন সময়ে আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমে আসে এবং সঠিক চিকিৎসা পেতে সুবিধা হয়।

---

দেশে ফেরার প্রয়োজন

অনেক সময় প্রবাসীরা গুরুতর অসুস্থ হলে দেশে ফিরে চিকিৎসা করাতে চান। সেক্ষেত্রে দেশে ফেরার খরচ, বাংলাদেশে চিকিৎসার খরচ এবং পরবর্তীতে আবার বিদেশে যাওয়ার খরচ - সব মিলিয়ে একটি বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। যদি এই খাতে পর্যাপ্ত সঞ্চয় থাকে, তবে তা এই ধরনের পরিস্থিতিতে বড় সহায়ক হয়।

---

মানসিক শান্তি

নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য একটি আর্থিক সুরক্ষা থাকা মানসিক শান্তি বয়ে আনে। প্রবাসে থাকাকালীন যদি আপনার মনে হয় যে, যেকোনো স্বাস্থ্যগত জরুরি পরিস্থিতিতে আপনার আর্থিক সহায়তা রয়েছে, তাহলে তা আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।

এসব কারণে প্রবাসীদের জন্য নিজেদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করা অত্যন্ত জরুরি। এটি তাদের নিজেদের এবং তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।

Disclaimer
This channel is for informational purposes only. It is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. Always seek the advice of your doctor with any questions you may have regarding a medical condition or health problems. Reliance on any information provided on this channel is solely at your own risk.