তাবলীগ জামাতের সংকট ৩ কারণে | Crisis of Tabligh Jamaat | তাবলীগ জামাত | Mufti Sheikh Mahmudul Hasan
Автор: Islamic Media 21
Загружено: 2021-01-25
Просмотров: 115
Описание:
✅ তাবলিগ জামাতের সংকটের-তিন কারন ✅
দাওয়াত ও তাবলিগের সংকটের মূল কারনগুলো নিচে দেয়া হল।সম্পূর্ন ভিডিও না দেখে মন্তব্য না করার অনুরোধ রইল।
১.ঐতিহ্যের ‘শুরা’ ভেঙে একনায়কতন্ত্র:
দাওয়াত ও তাবলিগের সংকট যেসব কারণে প্রকট আকার ধারণ করে, তার অন্যতম হলো, মাওলানা সাদ সাহেব সেখানে ঐতিহ্যবাহী শুরা ভেঙে আমিরতন্ত্র কায়েম করেছেন।যদিও এ ঘটনার সূত্রপাত আরো বহু আগে। ১৯৬৫ সালে মাওলানা এনামুল হাসানকে আমির নির্বাচনের পর কিছুট্টা বিতন্ডা দেখা দেয়।পরবর্তীতে ফিতনার আশঙ্কা মাথায় রেখেই মূলত এনামুল হাসান (রহ.) ১০ জনের ‘শুরা’ (পরামর্শ বোর্ড) বানিয়ে যান। ওই ১০ জন সর্বপ্রথম যে পরামর্শসভায় বসেন, সেখানে এটাই সিদ্ধান্ত হয়, একক কোনো আমির নয়, তিনজনের ফয়সালায় নিজামুদ্দিন পরিচালিত হবে।
তিনজন হলেন—১. মাওলানা ইজহারুল হাসান, ২. মাওলানা জোবায়েরুল হাসান ও ৩. মাওলানা সাদ। এভাবেই প্রায় ১৯ বছর হজরতজি (রহ.)-এর বানানো শুরা বিশ্ব তাবলিগের কাজ পরিচালনা করতে থাকে।১৯৯৬ সালে মাওলানা ইজহারুল হাসান (রহ.) ইন্তেকাল করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর ওই শূন্যপদ পূরণের জন্য বারবার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু মাওলানা সাদ তা বাস্তবায়ন করতে দেননি। ২০১৪ সালে মাওলানা জোবায়েরুল হাসান ইন্তেকাল করেন।এরপর মাওলানা সাদ একক আধিপত্যে নিজেকে আমির দাবি করেন।এতে শান্তিপ্রিয় তাবলিগের সাথীরা বিভক্ত হয়ে পড়ে।এটা প্রথম কারন।
২.সাদ কান্ধলভির বিতর্কিত বক্তব্য:
বর্তমানে দাওয়াত ও তাবলিগে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার অন্যতম কারণ হলো সাদ কান্ধলভি কোরআন-হাদিসবিরোধী মনগড়া বহু কথা প্রচার করেছেন। তাঁর সেসব বক্তব্য থেকে এখানে কয়েকটি কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদের বাইরে হেদায়েত নেই : সাদ কান্ধলভি বলেন, ‘মসজিদে ঈমানের আসর কায়েম করা ফরজ। মসজিদের বাইরে অন্য কোথাও হেদায়েত পাওয়া যাবে না।’ (সূত্র : দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া : ১৫)
মুসা (আ.)-এর ওপর অপবাদ : সাদ সাহেব বলেন, ‘মুসা আলাইহিস সালাম নিজের জাতির মধ্যে দাওয়াতের কাজ ছেড়ে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কথা বলার উদ্দেশ্যে নির্জনবাসে চলে গিয়েছিলেন। যার ফলে পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার বনি ইসরাইল গোমরাহ হয়ে যায় (মুরতাদ হয়ে যায়)।’ (সূত্র : দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া : ১৮)
তাবলিগের ৬ নম্বরই প্রকৃত ইসলাম : সাদ সাহেব বলেন, ‘যে ব্যক্তি এই ৬ নম্বরকে পূর্ণ দ্বিন মনে করে না, সে হলো ওই ব্যবসায়ীর মতো, যে নিজেই নিজের দধিকে টক বলে বেড়ায়। এমন ব্যবসায়ী কখনো সফল হতে পারে না।’ (সূত্র : দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া : ১৭)
হেদায়েত আল্লাহর হাতে নেই : সাদ সাহেব মনে করেন, ‘হেদায়েত যদি আল্লাহর হাতেই থেকে থাকে, তাহলে তিনি কেন নবীদের প্রেরণ করেছেন!’ তাঁর এই বক্তব্য কোরআনের সুরা কাসাসের ৫৬ নম্বর আয়াতসহ বহু আয়াতবিরোধী।
ক্যামেরা মোবাইল পকেটে থাকলে নামাজ হবে না : তিনি বলেন, ‘আমার মতে ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল পকেটে রেখে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না। ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল থেকে দেখে দেখে কোরআন শোনা ও পড়া হারাম। এতে কোরআনের অবমাননা হয়। এর কারণে কোনো সওয়াব হবে না। যেসব আলেম তা বৈধ হওয়ার ফতোয়া দেন, তাঁরা উলামায়ে সু।’ (সূত্র : দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া : ১৬)
এরকম অনেক বিতর্কিত মন্তব্য তাবলিগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।এটা দ্বিতীয় কারন।
৩.তাবলিগের কাঠামো পরিবর্তন:
তাবলিগ জামাতের সংকট ঘনীভূত হওয়ার আরো একটি কারণ হলো, সাদ সাহেব শত বছরের ঐতিহ্যবাহী তাবলিগের মূল কাঠামোতে মনগড়া ও অনর্থক পরিবর্তন এনেছেন।
এত দিন তাবলিগ জামাতের যে পরামর্শসভার পদ্ধতি ছিল, যা একেবারে চূড়া থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ছিল, তা-ও তিনি বাদ দিয়ে দেন।
ধীরে ধীরে সাদ সাহেব তাবলিগ জামাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটাতে থাকেন। যেমন—দৈনন্দিনের মেহনতের মধ্যে দাওয়াত, তালিম ও ইসতিকবাল (পরবর্তী সময় নাম রাখা হয় ‘মসজিদ আবাদির মেহনত’) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে উমুমি গাশতের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে; অথচ এই উমুমি গাশতই ছিল তাবলিগের মেরুদণ্ড। এর ফলে এই মেরুদণ্ড ভেঙে যায়।
১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে মাওলানা ইজহারুল হাসান সাহেবের ইন্তিকালের পর সাদ সাহেব নিজামুদ্দিনের কোষাগারও হাতের মুঠোয় নিয়ে নেন। আয়-ব্যয়ের নিয়মমাফিক কোনো হিসাব-নিকাশ এখন আর তৈরি হয় না। এমনকি মজলিশে আমেলার সামনেও কোনো বিবরণী উপস্থাপন করা হয় না।
আরেকটি নতুন কাজ হলো, ফাজায়েলের কিতাবগুলোর তালিম বাদ দিয়ে ‘মুনতাখাব হাদিস’কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। অথচ কোনো সুরাই কখনো এ কিতাবকে জামাতের সিদ্ধান্তকৃত নিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেনি। উপরন্তু এ কিতাবকে মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ (রহ.)-এর ‘চয়ন-নির্বাচন’ বলা হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, এ বইয়ের হস্তলিপি বা পাণ্ডুলিপি আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি। কারো সঙ্গে এ নিয়ে তিনি আলাপ-আলোচনাও করেননি!।এটা হলো তৃতীয় কারন।
তাবলীগ জামাতের মূলনীতি ছয়টি,
• তাবলীগ জামাতের মূলনীতি ছয়টি | ৬ নম্বর | ত...
তাবলীগ জামাতের পাঁচ কাজ
• দাওয়াত ও তাবলীগের পাঁচ কাজ অনেকেই জানেনা ...
#তাবলীগ_জামাতের_সংকট_তিন_কারণে
#তাবলিগের_মূলকাজ_পাঁচটি
#Tabligh_Jamaat
#তাবলিগ_জামাতের_মূলনীতি_ছয়টি
#দাওয়াতওতাবলীগ
#তাবলীগ_জামাত
#মাওঃ_সা'দ
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: