মহাস্থান জাদুঘর 4/ Mahasthan Museum 4/ATA Tour

Описание: মহাস্থান জাদুঘর 4/ Mahasthan Museum 4/ATA Tour

#museum

#mahasthangarh
#মহাস্থানগড়
#জাদুঘর


মহাস্থান জাদুঘর, মহাস্থানগড়, প্রত্নতত্ত্ব, বগুড়া, প্রাচীন সভ্যতা, পুণ্ড্রনগর, পুণ্ড্রবর্ধন, ঐতিহাসিক স্থান, প্রত্নবস্তু, নিদর্শন, মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সংগ্রহশালা, ভ্রমণ, পর্যটন, বাংলাদেশের ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, খনন, পুরাকীর্তি।


Mahasthangarh Museum, Mahasthangarh, archaeology, Bogra, ancient civilization, Pundranagar, Pundravardhana, historical site, artifacts, relics, Maurya, Gupta, Pala, collection, travel, tourism, history of Bangladesh, cultural heritage, excavation, ancient ruins.




বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত *মহাস্থান জাদুঘর* বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। এটি মহাস্থানগড় প্রত্নস্থলের পাশেই অবস্থিত, যা প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল। মহাস্থানগড় ছিল মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও অন্যান্য রাজবংশের শাসন কেন্দ্রস্থল। এই জাদুঘরটি *১৯৬৭ সালে* প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ এবং খননকালে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রদর্শন করা।

---

সংগ্রহ ও নিদর্শন

মহাস্থান জাদুঘরে মহাস্থানগড় এবং এর আশেপাশের অঞ্চল থেকে উদ্ধারকৃত অসংখ্য প্রত্নবস্তু সংরক্ষিত আছে। এখানে বিভিন্ন সময়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখা যায়, যা প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করে। উল্লেখযোগ্য কিছু নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে:

*মূর্তি ও ভাস্কর্য:* কালো পাথরের মূর্তি, বেলে পাথরের মূর্তি, পোড়ামাটির দেব-দেবীর মূর্তি, ধ্যানমগ্ন বুদ্ধমূর্তি, ব্রোঞ্জের গনেশ ও গরুড় মূর্তি।
*মুদ্রা:* মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং অন্যান্য রাজবংশের প্রাচীন স্বর্ণ, রৌপ্য ও তামার মুদ্রা।
*অলংকার ও তৈজসপত্র:* মূল্যবান পাথরের অলংকার, মাটি ও ধাতুর তৈরি বোতাম, কানের দুল, নাকফুল, পোড়ামাটির পুতুল ও খেলনা, বিভিন্ন সময়ের তৈজসপত্র।
*স্থাপত্যিক নিদর্শন:* নকশা করা ইট-পাথরের টুকরো, অলংকৃত বল, অলংকৃত ইট, মসজিদের শিলালিপি, গ্লেজড টাইল, অলংকৃত কাঠের দরজা।
*অন্যান্য প্রত্নবস্তু:* কালো চকচকে মৃৎপাত্রের টুকরা, কপারকাস্ট কয়েন, পোড়ামাটি ফলক, পাথরের গুটিকা, জালের গুটিকা, আত্মরক্ষার জন্য ধারালো অস্ত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

জাদুঘরের ভেতরে মোট ৪৪টি শোকেসে এই নিদর্শনগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। এর মধ্যে পাহাড়পুর ও কুমিল্লার ময়নামতিতে প্রাপ্ত কিছু মূল্যবান প্রত্নসামগ্রীও রয়েছে।

---

সময়সূচী ও প্রবেশ মূল্য

মহাস্থান জাদুঘরের সময়সূচী গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে ভিন্ন হয়:

*গ্রীষ্মকাল (এপ্রিল - সেপ্টেম্বর):*
*মঙ্গলবার থেকে শনিবার ও বৃহস্পতিবার:* সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ১:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
*সোমবার:* দুপুর ২:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
*শুক্রবার:* সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২:৩০ এবং দুপুর ২:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
*রবিবার:* সাপ্তাহিক ছুটি।

*শীতকাল (অক্টোবর - মার্চ):*
*মঙ্গলবার থেকে শনিবার ও বৃহস্পতিবার:* সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ১:৩০ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
*সোমবার:* দুপুর ১:৩০ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
*শুক্রবার:* সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২:৩০ এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
*রবিবার:* সাপ্তাহিক ছুটি।

*রমজান মাস এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতে সময়সূচী ভিন্ন হতে পারে, তাই ভ্রমণের আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো।*

*প্রবেশ মূল্য:*
*বাংলাদেশী নাগরিক:* ২০ টাকা
*সার্কভুক্ত দেশের নাগরিক:* ১০০ টাকা
*অন্যান্য বিদেশি নাগরিক:* ২০০ টাকা
*মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী:* ৫ টাকা

---

অবস্থান ও যাতায়াত

মহাস্থান জাদুঘর বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। বগুড়া শহর থেকে বাস, সিএনজি বা অটোরিকশায় সহজেই মহাস্থানগড় যাওয়া যায়। মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ড থেকে জাদুঘরটি প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত, যা রিকশা বা হেঁটে যাওয়া যায়।

জাদুঘরের বাইরে একটি সুদৃশ্য বাগানও রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ফুল ও ফল গাছ দেখা যায়। বাইরের চত্বরেও কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নমুনা রাখা হয়েছে। এটি শিক্ষা সফর এবং ইতিহাস ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

আপনি কি মহাস্থান জাদুঘর সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান?