সাবমেরিন কি এবং সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে? Ojana diary
Автор: অজানা ডায়েরি
Загружено: 2019-08-02
Просмотров: 16257
Описание:
আপনি জানেন কি সাবমেরিন কি এবং এই সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে?
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করবো সাবমেরিন কি এবং সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে। অবাক করার মত তথ্য গুলা জানতে ভিডিও টা শেষ পর্যন্ত দেখুন আর ভাল লাগলে অবশ্যয় লাইক, লমেন্ট আর শেয়ার করতে ভুলবেন না।
সাবমেরিন কি?
জাহাজ বলতে শুধু পানির ওপর ভেসে বেড়ানো প্রকাণ্ড বাহনকেই বোঝায় না। পানিতে ডুবে ডুবেও চলতে পারে এই বাহন। আর তখন তার নাম বদলে হয়ে যায় ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন।
বিশেষ পদ্ধতির এই জাহাজ তৈরির কৌশল কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। কয়েকশ বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর আজকের আধুনিক সাবমেরিন যুগে আসছে। বর্তমানে সাবমেরিন দিয়ে শত্রু বাহিনীর জাহাজ কিংবা ডুবোজাহাজ আক্রমণ মোকাবিলা, বিমানবাহী জাহাজ বহর রক্ষা, অবরোধ দূরীকরণ, প্রচলিত স্থল আক্রমণ ও বিশেষ বাহিনীকে গুপ্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তাই প্রতিটি সাবমেরিনের আর্থিক মূল্যও অনেক বেশি। কিন্তু তাতে কী, প্রমোদবিহারেও ব্যবহার হয় এই বিলাসবহুল যানটি। সাবমেরিনের বিস্তারিত নিয়ে আজকের আলোচনা।
দৈত্যাকার শরীর নিয়ে পানির নিচে দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারে কে আর, সে তো নীল তিমিই। কিন্তু না, তার চেয়ে কোনো অংশে কম যায় না পানির নিচের দৈত্য-খ্যাত সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। নিজের পেটের ভিতর অনেক মানুষ ঢুকিয়ে সাগর সাঁতরে বেড়ায়। বহনকারী মানুষগুলোর জন্য খাবার পানি, আয়েশের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়েই সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায়। শুধু কি তাই, হাজারো যন্ত্রপাতিতে ভর্তি এই সাবমেরিন। কিন্তু এই সাবমেরিনটি আসলে কী? এটি এক ধরনের জাহাজ। তবে পানির ওপর ভেসে বেড়ানো যে জাহাজগুলো দেখা যায় এটি তেমন নয়।
পানিতে ভেসে থাকা জাহাজকে দেখে মনে হতে পারে হঠাৎ ফুটো হয়ে টুপ করে ডুবে যেতে পারে। কিন্তু সাবমেরিন দেখে তা ভাবার অবকাশ নেই। কারণ সে সবসময় ডুবেই থাকে। নীল তিমির পাখা ভাসিয়ে সাগরে চলার মতো করে শুধু একটি নিশানা উঁচিয়ে সাবমেরিনও পানির নিচে থাকে। এ হলো মোটামুটি সাবমেরিনের পরিচিতি।
এখন আসা যাক ‘সাবমেরিন’ শব্দটির অর্থ উদ্ধারে। মূলত ইংরেজি এই শব্দের অর্থই ‘সাগরের তলদেশ’। প্রথমে এটি তৈরি হয়েছিল যুদ্ধ করার জন্য। পানির নিচে ডুবে থেকে সাবমেরিন বোমা মেরে উড়িয়ে দিত শত্রুপক্ষের জাহাজ। তবে আজকাল অবশ্য সাবমেরিনকে শুধু যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না।
সাবমেরিন সর্বপ্রথম তৈরি করা হয় ১৭৭৫ সালে। তবে সেটি ছিল খুবই নিম্নমানের। অনেকেরই ধারণা, প্রথম ডুবোজাহাজের ধারণা দেন জুল ভার্ন। বস্তুত জুল ভার্নেরও কয়েকশ বছর আগে মানুষ ডুবোজাহাজ বানানোর চেষ্টা করেছে। এমন কথাও প্রচলিত আছে, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকেই এক ধরনের জাহাজ বানিয়েছিলেন, যেগুলো পানিতে ডুবে চলতে পারত। ১৫৭৮ সালে ডুবোজাহাজ বানানোর চিন্তা মাথায় আসে উইলিয়াম বর্ন নামের এক ইংরেজ লোকের। তবে সে চিন্তা শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। কর্নেলিয়াস ড্রেবেল নামে এক ডাচ লোকের হাত ধরেই ১৬২০ সালে পানিতে ডুব দেয় পৃথিবীর প্রথম ডুবোজাহাজ। ড্রেবেলস সাবমেরিন নামে পরিচিত ডুবোজাহাজটি ছিল কাঠের তৈরি। চালাতে হতো দাঁড় বেয়ে। ভিতরে থাকা মাঝিদের অক্সিজেন সরবরাহের জন্য কয়েকটি আলাদা টিউব বা নল ছিল, সেগুলো পানির ওপরে ভেসে থাকত। ডুবোজাহাজটিকে প্রথম পানিতে নামানোও হয় বেশ ঘটা করে।
ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থিওরী হল কোন অদ্রব্য বস্তুকে পানিতে ডোবালে তা নিজের আয়তনের সমপরিমান পানি অপসারিত করবে। সোজা কথায় অপসারিত পানির ভরের থেকে পানিতে ডোবানো জিনিসটি যদি হালকা হয় তবে তা ভেসে থাকতে পারে।বিষয়টাকে আরও সহজে ও ভেঙ্গে বলছি যাতে আপনারা সহজে বুঝতে পারেন ।
একটি খালি প্লাস্টিকের বোতলে যদি বাতাস ভরা হয় তখন কিন্ত বোলতটি পানিতে ভেসে থাকবে। ঠিক যদি আবার বোতলটিতে নতুন করে পানি ভর্তি করে দেওয়া হয় তবে সকল বাতাস বের হয়ে যাবে বোতলটি ভারী হয়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যাবে। আবার যদি অর্ধেক বাতাস বোতলে রাখা হয় তবে বোতলটি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় ভেসে থাকবে সেইম সূত্র অবলম্বন করে সাবমেরিন পরিচালিত হয়।
একই সূত্র ফলো করে সাবমেরিনে কিছু ব্যালাস্ট ট্যাংকার থাকে এর ভিতরে পানি ও বাতাস ডুকানো হয় যন্ত্রের সাহায্যে। যখন সাবমেরিন ডুবানোর দরকার পরে তখন এইসব ব্যালাস্ট ট্যাংকারে পানি ডুকিয়ে দেওয়া হয় ফলে সাবমেরিনটি ভারী হয়ে পানিতে ডুবে যায়। আবার যখন ভাসানোর দরকার পরে তখন ব্যালাস্ট ট্যাংকারের পানি গুলি বের করে যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত বাতাস ডুকতে থাকে ফলে সাবমেরিন পানির উপরে ভেসে উঠে।
সাবমেরিনের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে অক্সিজেন তৈরি করা হয়।
সাবমেরিন কতদিন পানির নিচে থাকবে তা নির্ভর করে মূলত কতদিনের জ্বালানি আছে ও ক্রদের খাদ্য কি পরিমাণ রিজার্ভ আছে। যদি ডিজেল সাবমেরিন হয় তবে ডিজেল নেভার জন্য কিছুদিন পরেই উপরে আসতে হয়। আর যদি পারমাণবিক সাবমেরিন হয় তবে একবার জ্বালানি নিয়ে এটি একটানা ২৫ বছর বা আরও বেশী সময় পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ক্রদের খাদ্যর জন্য তাকে উপরে আসতেই হবে।কারণ পারমাণবিক সাবমেরিন নিজে ২৫ বছর বা আরও বেশীদিন পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ভিতরের মানুষের জন্য ৬ মাস পরে উপরে আসতেই হবে। সাবমেরিনে ৬ মাসের বেশী খাবার মজুদ রাখা যায় না।
ধন্যবাদ
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ( Bermuda Triangle ) রহস্য | যেখান থেকে কিছুই ফিরে আসে না
• বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ( Bermuda Triangle )...
স্মরণকালের সবচাইতে ভয়াবহ যত ভূমিধস
• স্মরণকালের সবচাইতে ভয়াবহ যত ভূমিধস । অজান...
মিসরে পাওয়া গেল এক পুরানো রহস্যময় সমাধি
• মিসরে পাওয়া গেল এক পুরানো রহস্যময় সমাধি ...
আমেরিকা বনাম উত্তর কোরিয়া কার সামরিক শক্তি কত?
• আমেরিকা বনাম উত্তর কোরিয়া কার সামরিক শক্ত...
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ হারমনি অব দ্য সিস
• বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ হারমনি অব দ্য সি...
Facebook:
/ অজানা-ডায়েরি-358810715012358
সাবমেরিন কি এবং সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে ভিডিওটি দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ
• সাবমেরিন কি এবং সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে? O...
#সাবমেরিন #ডুবোজাহাজ #সাবমেরিনেরকাজ
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: