মাছ মাংস খেলে কি শাস্তি হয় || নরকের যন্ত্রনা || পৌরাণিক কথা || লেখা ভিডিও
Автор: পৌরাণিক কথা
Загружено: 2025-07-02
Просмотров: 465
Описание:
আমাদের নতুন চ্যানেল / @পৌরাণিকটিভি
মাছ মাংস খেলে কি শাস্তি হয় || নরকের যন্ত্রনা || পৌরাণিক কথা || লেখা ভিডিও
অভিশপ্ত নগরীর কাহিনী
ভয়াবহ রোমাঞ্চকর বাংলা কাহিনী
ভয়ানক ভূতের গল্প
পৌরাণিক গল্প || পৌরাণিক কথা || শিক্ষামূলক ভিডিও
motivation
#astrology
#purankatha
#unfrezzmyaccount
your queries:
গরিব, সফল, জীবন কাহিনী, অনুপ্রেরণা, মোটিভেশন, সংগ্রাম, সফলতা, উদ্যোক্তা, জীবনের গল্প, উন্নতি, স্বপ্ন পূরণ, আত্ম-উন্নয়ন, মানসিকতা, বাংলা ভিডিও, শিক্ষা, জীবনের পাঠ, অসাধারণ জীবন, গরিব থেকে ধনী, সফল ব্যক্তির গল্প, উদাহরণ
শিক্ষামূলক গল্প
কার্টুন ভিডিও
মজার কাহিনী
রামায়ণ
মহাভারত
মাছ-মাংস খাওয়ার শাস্তি
মাছ মাংস খেলে কি পাপ হয়?
অনেক অনেক বছর আগে হরিশঙ্কর নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন এক সাহসী, শক্তিশালী এবং প্রজাপালক রাজা। তাঁর শাসনকাল ছিল সমৃদ্ধিতে ভরা। প্রজারা তাঁকে খুব ভালোবাসত। কিন্তু রাজা হরিশঙ্করের এক দুর্বল দিক ছিল—তিনি মাছ-মাংসতে অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন।
প্রতিদিন রাজসভায় বিভিন্ন জাতের মাছ, মুরগি, ছাগল এবং অন্যান্য পশুর মাংস নিয়ে আসতো এবং তিনি সেই মাংস খেতেন। রাজা বলতেন,
"আমি যখন এই পৃথিবীর রাজা, তখন এই পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী আমার ভোগের জন্য। তারা জন্মেছে আমাকে খাওয়ানোর জন্য।"
প্রধান পুরোহিত বহুবার রাজাকে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,
"মহারাজ, সব প্রাণের জীবন মূল্যবান। অহিংসাই পরম ধর্ম। আপনি দয়া করুন, নিরামিষ জীবন গ্রহণ করুন।"
কিন্তু রাজা কখনো শোনেননি। বরং তিনি হাসতেন এবং বলতেন,
"মাংস খেয়ে আমি শক্তি পাই। এতে পাপ কোথায়? আমি তো দান করি, ধর্ম পালন করি। আমি তো মানুষের ভালো করি। শুধু মাংস খাওয়ার জন্য আমাকে কেন দোষ দেওয়া হবে?"
এই অহংকারই তাঁর পতনের কারণ হলো।
মৃত্যুর পর
একদিন রাজা হরিশঙ্করের মৃত্যু হলো। মৃত্যুর পর যমদূতরা তাঁর সামনে এসে দাঁড়াল। রাজা ভাবলেন,
"আমি তো অনেক দান করেছি, আমি নিশ্চয়ই স্বর্গে যাব।"
কিন্তু যমদূতরা তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে লাগলো এক অন্ধকার পথে। রাজা অবাক হয়ে বললেন,
"তোমরা কোথায় আমাকে নিয়ে যাচ্ছো? আমি তো স্বর্গের অধিকারী!"
এক যমদূত বলল,
"তুমি যে অসংখ্য প্রাণী হত্যা করেছ, তাদের ব্যথার হিসাব দিতে হবে। তোমার গন্তব্য মহারৌরব নরক।"
মহারৌরব নরকের ভয়ংকর পথ
যমদূতরা রাজাকে টেনে নিয়ে চললো এক ভয়ংকর পথে। সে পথের চারপাশে আগুন জ্বলছিল। মাটির উপর পুড়ে যাওয়া মৃত প্রাণীর হাড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আকাশ কালো, চারদিকে হাহাকার।
রাস্তার পাশে ছিল আগুনের লাল নদী। সেই নদী থেকে উত্তপ্ত বাষ্প উঠছিল। আগুনের পাখি উড়ছিল আকাশে। আগুনে পোড়া, রক্তাক্ত প্রাণীর আর্তনাদ বাতাসে ভেসে আসছিল।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বিশাল বিশাল শৃগাল (ভয়ংকর জন্তু)। তাদের চোখ জ্বলজ্বল করছিল, দাঁত ছিল ধারালো। তাদের শরীর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছিল।
এক শৃগাল রাজাকে দেখে বলল,
"তুমি মাংস খেয়ে অনেক প্রাণীর কষ্টের কারণ হয়েছ। আজ সেই কষ্ট তোমার শরীরে ফিরবে।"
যখন রাজাকে মহারৌরব নরকে পৌঁছানো হলো, তখন যমরাজ বললেন,
"হরিশঙ্কর, তুমি তোমার ভোগের জন্য যেসব প্রাণী হত্যা করেছ, তাদের আত্মা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছে। তাদের কষ্টের প্রতিশোধ এখন তোমাকে নিতে হবে।"
রাজা দেখলেন—তাঁর সামনে হাজির হয়েছে হাজার হাজার মাছ, ছাগল, মুরগি, হরিণ—যেসব তিনি খেয়েছিলেন। তারা সবাই বলল,
"তুমি আমাদের কত যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে হত্যা করেছ। আজ সেই যন্ত্রণা আমরা তোমাকে ফিরিয়ে দেব।"
তারপর সেই শৃগাল ও পিশাচেরা রাজার শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়লো। ধারালো দাঁত দিয়ে তাঁকে ছিঁড়ে খেতে লাগলো। রাজা আর্তনাদ করতে লাগলেন।
তাঁর শরীর ছিঁড়ে ফেলা হলো। তিনি বেদনায় চিৎকার করলেন। কিন্তু সেই শরীর আবার গড়ে উঠলো। আবার ছিঁড়ে খাওয়া হলো। বারবার শরীর গড়ে উঠছিল, আর বারবার পিশাচেরা ছিঁড়ে খাচ্ছিল।
এভাবে হাজার বছর ধরে তিনি ভয়ংকর যন্ত্রণা ভোগ করতে লাগলেন। কখনো আগুনের নদীতে ফেলে দেওয়া হতো, কখনো শৃগালের দাঁতের নিচে পড়তেন। বারবার মৃত্যুর যন্ত্রণা, বারবার পুনর্জন্ম, এবং আবার মৃত্যুর কষ্ট—এই ছিল তাঁর অবিরাম শাস্তি।
অবশেষে যমরাজ করুণা করে বললেন,
"হরিশঙ্কর, যদি তুমি ভবিষ্যৎ জন্মে নিরামিষ জীবন গ্রহণ করো, অহিংসার পথে চলো এবং ভগবানের ভক্তি করো, তবে তুমি মুক্তি পাবে।"
এরপর রাজা হরিশঙ্কর এক নিরামিষ ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিলেন। সেই জন্মে তিনি কখনো মাংস স্পর্শও করেননি। তিনি সারাজীবন ভগবানের নাম জপ করলেন, ভক্তি করলেন। মৃত্যুর পর তিনি স্বর্গলোকে গমন করলেন এবং এরপর মুক্তি লাভ করলেন।
ভাগবত পুরাণে বলা হয়েছে যে, জীবহত্যা বা প্রাণীর প্রতি অহিংসার নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অষ্টম স্কন্ধের বিভিন্ন অংশে এবং সপ্তম স্কন্ধে প্রহ্লাদ মহারাজের শিক্ষা অনুযায়ী বলা হয়েছে:
অহিংসা পরম ধর্মঃ
ভাগবত পুরাণে বারবার বলা হয়েছে:
"অহিংসা পরম ধর্মঃ।"
অর্থ: প্রাণীর প্রতি অহিংসা সর্বোচ্চ ধর্ম।
ভাগবত পুরাণ (১১.৫.১৪) এ বলা হয়েছে:
"যঃ পশ্যতি স পশুং হন্তি স পশুং খাদতি চ যঃ।
ত্রয়ঃ সমা ভবেন্তি, হন্তা, খাদক, ক্রেতা।"
অর্থ: যে হত্যা করে, যে খায় এবং যে কিনে—এরা সবাই সমভাবে পাপের ভাগী।
অর্থাৎ, মাছ-মাংস ভক্ষণ শুধু খাওয়ার মাধ্যমে নয়, কেনা, হত্যা করা—সব ক্ষেত্রেই পাপের কারণ হয়।
ভাগবত মতে, যারা মোক্ষ কামনা করে, তারা সহজভাবে নিরামিষ জীবন বেছে নেয়, কারণ মাংস খাওয়ার মাধ্যমে রজঃ ও তমঃ গুণ প্রবল হয়, যা মোক্ষের পথে অন্তরায়।
তবে, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, যেমন:
কঠিন রোগ
একান্ত জীবিকা
ধর্মীয় যজ্ঞ বা বৈদিক অনুমোদিত ক্ষেত্র সে সময় কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল বৈদিক যুগে। কিন্তু ভাগবত পুরাণে পরিস্কার বলা হয়েছে, কালক্রমে এই অনুমতি বাতিল হয়েছে এবং অহিংসাই শ্রেষ্ঠ।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: