আত্মতত্ত্ব যে জেনেছে, দিব্যজ্ঞানী সে-ই হয়েছে... কু-বৃক্ষে সু-ফল পেয়েছে...
Автор: Ahmad Husayn Muhammad Junayd
Загружено: 2023-04-02
Просмотров: 93
Описание:
যেখানে সাঁইর বারামখানা।
শুনিলে প্রাণ চমকে উঠে
দেখতে যেমন ভুজঙ্গনা ॥
যা ছুঁইলে প্রাণে মরি
এ জগতে তাইতে তরি।
বুঝেও তা বুঝতে নারি
কীর্তিকর্মার কি কারখানা ॥
আত্মতত্ত্ব যে জেনেছে
দিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে।
কুবৃক্ষে সুফল পেয়েছে
আমার মনের ঘোর গেল না ॥
যে ধনে উৎপত্তি প্রাণধন
সেই ধনের হলো না যতন।
অকালের ফল পাকায় লালন
দেখে শুনে জ্ঞান হলো না ॥
~~~ফকির লালন সাইঁজী
. সাঁইয়ের বারামখানা
(ঈশ্বরের বিশ্রামখানা/বিশ্রামঘর)
আমরা যাকে ঈশ্বর বলে জানি, তিনি বাস করেন মানব দেহে।
কথাটা চমকে ওঠার মতোই!
বাউল সাধক ফকির লালন সাঁই তাঁর রচিত এই গানে চমকে যাওয়ার ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করেছেন এইভাবে—
১) “যেখানে সাঁইয়ের বারামখানা,
শুনিলে প্রাণ চমকে উঠে!
দেখতে যেমন ভুজঙ্গনা!
যেখানে সাঁইয়ের বারামখানা।”
যেখানে সাঁইয়ের বারামখান (বিশ্রামখানা/বিশ্রামঘর), তা শুনে প্রাণ চমকে ওঠে! দেখে যেন ভুজঙ্গনা (ভুজঙ্গ মানে সাপ) বলে মনে হয়!
ঈশ্বর মানব শরীরে বাস করেন।
কথাটা শোনার পর কী ভীষন এক ছমছমে ভাবের উদয় হয় মনে। হঠাৎ সাপ দেখলে যেমন পিচ্ছিল এক অনুভূতি হয়, তেমনি বোধ হয় কথাটা শুনলে। লালন তাই লিখেছেন— শুনে প্রাণ চমকে ওঠে... সাপ দেখার মতো...
গানটির পরের চারটি চরণ—
২) “যা ছুঁইলে প্রাণে মরি,
এই জগতে তাইতেই ত্বরি।
বুঝেও তা বুঝতে নারি,
কীর্তিকর্মার কী কারখানা।”
ঈশ্বর যে মানব শরীরে বাস করেন, এই কথা বাদে আমরা সবই বিশ্বাস করি। তার মানে, লালন সাঁইজীর মতে— যা মিথ্যে, তাই বিশ্বাস করি। আমরা তা বুঝেও বুঝি না। কীর্তিকর্মা, অথাৎ ঈশ্বরের কী অভিপ্রায়, ইচ্ছে, মানে— তিনি জগৎ সৃষ্টি করলেন, তারপর জগৎ বিবতির্ত হলো, বস্তু এলো, প্রাণ এলো, প্রাণী এলো, মানুষ এলো। তারপর সেই মানুষ হলো ঈশ্বরের বারামখানা। মানে বিশ্রামঘর। এই কথা বাদে আমরা সবই বিশ্বাস করি। যা মিথ্যে তাই বিশ্বাস করি। আমরা তা বুঝেও বুঝি না যে ঈশ্বর মানুষের ভিতর বাস করেন।
গানটির পরের চারটি চরণ—
৩) “আত্মতত্ত্ব যে জেনেছে,
দিব্যজ্ঞানী সে-ই হয়েছে।
কু-বৃক্ষে সু-ফল পেয়েছে,
আমার মনের ঘোর গেল না।”
সেই দিব্যজ্ঞানী হয়েছে, যে আত্ম তত্ত্ব জেনেছে। খুবই সত্য কথা। আত্মতত্ত্ব মানে এই জ্ঞান, যে ঈশ্বর বাস করেন এই দেহে। “কু-বৃক্ষে সু-ফল পেয়েছে” মানে এই বিশ্বাসের বিপরীত বিশ্বাসগুলিই এ জগতে সফল। সে কারণেই লালনের মনে ঘোর লাগে। তিনি বিভ্রান্ত হন।
গানটির শেষ চারটি চরণ—
৪) “যে ধনে উৎপত্তি প্রাণধন,
সেই ধনের হলো না যতন।
অকালের ফল পাকায় লালন,
এই দুঃখের তো শোধ মিললো না।”
প্রাণধন মানে প্রাণ। যা লালনকে ভাবায়। লালনের কাছে প্রাণ হচ্ছে প্রাণপাখি। প্রাণের যতন মানে—
প্রাণের খোঁজ খবর। কোত্থেতে এই প্রাণ এল? সবচেয়ে বড় কথা— প্রাণ কি? বস্তু থেকে প্রাণের উৎপত্তি হয় কি করে? ভারি আশ্চর্য তো কীর্তিকর্মার কারখানা! সেই কীর্তিকর্মাই তো মানবদেহে বাস করেন। মানবদেহ হলো ঈশ্বরের বিশ্রামখানা/বিশ্রামঘর।
আলেক সাঁই 🙏
❤❤❤
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: