আংটির ভিতর দিয়ে মসলিন কাপড় যাওয়ার গল্প | শায়েস্তা খানের সময়কার গল্প | Legendary Story
Автор: Legend Ai Studio
Загружено: 2025-08-08
Просмотров: 0
Описание:
আংটির ভিতর দিয়ে মসলিন কাপড় যাওয়ার গল্প | শায়েস্তা খানের সময়কার গল্প | Legendary Story
.
#oldbanglastory #banglastory #story
সোনার মোহর ও একনিষ্ঠ প্রেমিকের গল্প
গল্পের প্রধান চরিত্র আর্য। সে এক সাধারণ কুঠিয়াল, অর্থাৎ কাপড় বুননের কাজ করে। আর্য থাকে মুঘল আমলের বাংলার এক সমৃদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র সোনারগাঁওতে। তার একমাত্র ভালোবাসা, গ্রামের সবচেয়ে রূপসী মেয়ে শবনম। শবনমের বাবা একজন ধনী বণিক এবং তিনি চান শবনমের বিয়ে হোক কোনো রাজকীয় পরিবারের যুবকের সাথে, আর্যর মতো সাধারণ কুঠিয়ালের সাথে নয়।
শবনমের বাবা আর্যকে শর্ত দেন। তিনি বলেন, “যদি তুমি ৫০০টি সোনার মোহর জোগাড় করতে পারো, তবেই আমি আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দেব।” আর্য জানে, একজন কুঠিয়ালের পক্ষে এতগুলো সোনার মোহর জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সে হাল ছাড়ে না। তার হাতে মাত্র এক বছর সময়।
আর্য দিনরাত পরিশ্রম করতে থাকে। সে তার সূক্ষ্ম কারুকার্য ও বুনন শিল্পের খ্যাতি দিয়ে আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচিতি লাভ করে। একসময় তার সুনাম পৌঁছে যায় স্বয়ং বাংলার সুবেদার নবাব শায়েস্তা খান-এর কানে। নবাব শায়েস্তা খান তার সূক্ষ্ম কাজের প্রশংসা করেন এবং আর্যকে দরবারে ডেকে পাঠান।
নবাব আর্যকে আদেশ দেন একটি বিশেষ ধরনের মসলিন কাপড় তৈরি করতে, যা এতই সূক্ষ্ম হবে যে একটি আস্ত শাড়ী একটি আংটির ভেতর দিয়ে অনায়াসে চলে যাবে। আর্য তার সমস্ত দক্ষতা ও মনযোগ দিয়ে সেই মসলিন তৈরি করে।
কিন্তু এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। আর্য যখন মসলিন তৈরি করছে, তখন গ্রামের কিছু হিংসুক মানুষ তার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আর্য কোনোমতে রক্ষা পেলেও তার তৈরি করা মসলিন নষ্ট হয়ে যায়। তার স্বপ্ন প্রায় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।
কিন্তু শবনম আর্যকে সাহস জোগায়। সে বলে, “তোমার দক্ষতা তোমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। তোমার ভালোবাসা আমার কাছে হাজার সোনার মোহরের চেয়েও মূল্যবান।” শবনমের কথায় নতুন করে অনুপ্রেরণা পেয়ে আর্য আবার কাজ শুরু করে। এবার সে নিজের গ্রাম ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে একটি বিশেষ নকশার মসলিন তৈরি করে।
নবাব শায়েস্তা খান যখন দ্বিতীয়বার আর্যর তৈরি মসলিন দেখেন, তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি আর্যকে ৫০০টি সোনার মোহর দিয়ে পুরস্কৃত করেন এবং বলেন, “এই মসলিন তোমার দক্ষতার প্রতীক, আর এই সোনার মোহর তোমার একনিষ্ঠতার পুরস্কার।”
আর্য সেই ৫০০টি সোনার মোহর নিয়ে শবনমের বাবার কাছে যায়। শবনমের বাবা যখন দেখেন আর্য কীভাবে তার অসম্ভব শর্ত পূরণ করেছে, তিনি তার নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের কাছে হার মানেন। তিনি সানন্দে তাদের বিয়েতে সম্মতি দেন। আর্য এবং শবনমের ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়, এবং তাদের গল্প সোনারগাঁওয়ের বুকে এক অমর প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থাকে।
Thanks for watching.
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: