পাট কাটা ও জাগে দেওয়া || পাট কাটার নিয়ম |
Автор: DSA Universe • 1.7M views • 2 day ago ...
Загружено: 2022-08-30
Просмотров: 158
Описание:
পাট চাষ পদ্ধতি।
পাট (Jute) ও পাট জাতীয় আঁশ ফসল সারা বিশ্বে তুলার পর দ্বিতীয় আঁশ ফসল হিসেবে পরিচিত। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশের জলবায়ু পাট চাষের জন্য এতই উপযোগী যে, পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম মানের পাট বাংলাদেশে উৎপন্ন হয়।
মৌসুমঃ ফাল্গুনের শেষ থেকে আষাঢ়ের শেষ পর্যন্ত।
পাটের জাতঃ
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট তাঁর প্রতিষ্ঠালগ্নের পর থেকে দেশী পাট, তোষা পাট, কেনাফ ও মেস্তা ফসলের উন্নতমানের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠানটি এ যাবৎ প্রায় ১৭টি দেশী, ১৬টি তোষা, ২টি কেনাফ এবং ১টি মেস্তার জাত উদ্ভাবন করেছে এবং তা কৃষক পর্যায়ে প্রচলিত আছে। নীচে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের জন্য জনপ্রিয় জাতগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেওয়া হলো:
১. সিভিএল-১
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য: গাছ সবুজ। সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত। আঁশের মান ভাল, কাটিং কম ।
জমি: মধ্যম নীচু জমিতে
বপনকাল: ১৫ চৈত্র থেকে ৩০ বৈশাখ
প্রথম ফুল আসার সময়কাল: ১২০-১৩০ দিন
ফলন: সর্বোচ্চ ৫৬ মণ প্রতি একরে
মন্তব্য: ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ মতা বেশি।
২. বিজেসি-৭৩৭০
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য: কাণ্ড সবুজ। পাতা চওড়া, বোঁটার উপরিভাগে হালকা তামাটে রং।
জমি: নীচু থেকে উঁচু জমি
বপনকাল: চৈত্রের ২য় সপ্তাহ থেকে ৩য় সপ্তাহ
প্রথম ফুল আসার সময়কাল: ১০৫-১১৫ দিন
ফলন: সর্বোচ্চ ৫৬ মণ প্রতি একরে
মন্তব্য: অকাল ফুল মুক্ত।
৩. বিজেসি-৮৩
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য: গাছের সব অংশ সবুজ। পাতা সরু ও কিনারা ঢেউ খেলানো এবং অগ্রভাগ চোখা।
জমি: নীচু থেকে উঁচু জমি
বপনকাল: ১৫ চৈত্র থেকে ৩০ চৈত্র
প্রথম ফুল আসার সময়কাল: ৯০-৯৫ দিন
ফলন: সর্বোচ্চ ৫১ মণ প্রতি একরে
মন্তব্য: অকাল ফুল মুক্ত।
৪. তোষা পাট (ও-৯৮৯৭)
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য: গাছ সম্পূর্ণ সবুজ। পাতা বেশি লম্বা ও চওড়া।
জমি: মধ্যম নীচু থেকে বেশি উঁচু জমি
বপনকাল: চৈত্রের ১ম থেকে শুরু করে বৈশাখের শেষ পর্যন্ত।
প্রথম ফুল আসার সময়কাল: ১৩০-১৫০ দিন
ফলন: সর্বোচ্চ ৫০ মণ প্রতি একরে
মন্তব্য: অধিক ফলনশীল
৫. তোষা পাট (ও-৭২)
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য: গাছ সম্পূর্ণ সবুজ। পাতা গোল আকারের। গাছ খুব দ্রুত বড় হয়।
জমি: মধ্যম নীচু থেকে বেশি উঁচু জমি
বপনকাল: ফাল্গুনের শেষ সপ্তাহ থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত
প্রথম ফুল আসার সময়কাল: ১২০-১৩৫ দিন
ফলন: সর্বোচ্চ ৫৩ মণ প্রতি একরে
মন্তব্য: অধিক ফলনশীল
৬. কেনাফ (এইচসি-২)
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য: গাছ সবুজ। পরিণত বয়সে কাণ্ডের উপরিভাগ তামাটে রং দেখা যায়। পাতা গোলাকার, বয়স্ক পাতায় লালচে রং দেখা যায়।
জমি: মধ্যম নীচু এবং জমিতে পানি দাঁড়ানো অবস্থা সহ্য করতে পারে।
বপনকাল: চৈত্র মাস
প্রথম ফুল আসার সময়কাল: ১৫০-১৫৫ দিন
ফলন: সর্বোচ্চ ৭২ মণ প্রতি একরে
মন্তব্য: অধিক ফলনশীল
৭. মেস্তা (এইচ এস-২৪ )
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য: কাণ্ড ও পাতা সবুজ। বোঁটার উপরিভাগ এবং কাণ্ডের গীটায় লাল রং দেখা যায়। কাণ্ড মসৃণ।
জমি: উঁচু বেলে বা হালকা মাটি যেখানে পানি দাঁড়ায় না।
বপনকাল: ফাল্গুন থেকে চৈত্র
প্রথম ফুল আসার সময়কাল: ১৭০-১৮০ দিন
ফলন: সর্বোচ্চ ৫১ মণ প্রতি একরে
মন্তব্য: মেস্তা পাটের একমাত্র ছাড়করণকৃত জাত।
জমি তৈরিঃ উঁচু ও মধ্যম উঁচু জমি যেখানে বৃষ্টির পানি বেশি সময় দাঁড়ায় না এবং পলি দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি পাট চাষের জন্য বেশি উপযোগী। বৃষ্টিপাতের পরপরই আড়াআড়ি ৫-৭ টি চাষ দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। ঢেলা গুড়ো করতে হবে এবং জমি আগাছামুক্ত করতে হবে।
সার প্রয়োগঃ ভালোভাবে প্রস্তুতকৃত জমিতে বপনের ২-৩ সপ্তাহ আগে হেক্টরপ্রতি ৩.৫ টন গোবর সার মিশিয়ে দিতে হবে। পাটের ভালো ফলনের জন্য বপনের দিন শতাংশ প্রতি ইউরিয়া-৩০০ গ্রাম, টিএসপি-৬০০ গ্রাম, এমওপি-১০০ গ্রাম সার শেষ চাষের সময় মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। চারা গজানোর ১৫ থেকে ২০ দিন পর শতাংশ প্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে এবং এর ৩০ থেকে ৪০ দিন পর দ্বিতীয়বারের মতো আবার শতাংশ প্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে অন্যান্য সার দিতে হবে।
আগাছানাশক প্রয়োগের সময়ঃ পাটের বীজ বপনের ১৫-২০ দিন পরে অথবা চারা গাছে ২-৩ পাতা হওয়ার পরে আগাছানাশক স্প্রে করা ভালো।
আগাছা দমন–চারা পাতলাকরণঃ বীজ বপনের ১৫-২১ দিনের মধ্যে ১ম নিড়ানী এবং ৩৫-৪২ দিনের মধ্যে ২য় নিড়ানী দিয়ে আগাছা দমন ও চারা পাতলা করতে হবে। ৩য় নিড়ানী প্রয়োজনমতো দিতে হবে।
বীজ বপনের সময়ঃ
দেশী পাটঃ
বিজেআরআই দেশী পাট-৫ চৈত্রের শেষ সপ্তাহ থেকে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ
বিজেআরআই দেশী পাট-৬ চৈত্রের শেষ সপ্তাহ থেকে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ
এটম পাট-৩৮ ফাল্গুনের শেষ সপ্তাহ থেকে চৈত্রের শেষ সপ্তাহ
বিনাদেশী পাট-২ ফাল্গুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চৈত্রের শেষ সপ্তাহ
তোষা পাটঃ
ও-৯৮৯৭ চৈত্র
বিজেআরআই তোষা পাট-৩ চৈত্র
কেনাফঃ
বিজেআরআই কেনাফ-২ চৈত্রের শেষ সপ্তাহ থেকে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ।
বীজ বপন পদ্ধতি ও বীজের হারঃ সময়মতো পাটবীজ বপন করা উচিত। সাধারণত: ছিটিয়েই পাটবীজ বপন করা হয়। তবে সারিতে বপন করলে পাটের ফলন বেশি হয়।
ছিটিয়ে বুনলে ৭.৫ কেজি/হেক্টর ( প্রতি শতাংশে ৩০ গ্রাম ) এবং সারিতে বুনলে-৬.২৫ কেজি/হেক্টর ( শতাংশ প্রতি ২৫ গ্রাম )। সারিতে বুনলে লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৩০ সেমি বা ১ ফুট এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৭ সেমি বা ৩ ইঞ্চি হতে হবে।
পাটের পোকামাকড় ও রোগ দমন ব্যবস্থাপনাঃ
পাটের বিছাপোকাঃ কচি ও বয়স্ক সব পাতা খেয়ে ফেলে।
dsa universe
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: