ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বেড়েছে?ব্যথার চোটে কষ্ট পাচ্ছেন খুব? আছে সমাধান

Описание: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বেড়েছে?
ব্যথার চোটে কষ্ট পাচ্ছেন খুব?
সকাল সকাল এই পানীয় খেলেই
সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি!

এই প্রতিবেদনে এমন কিছু পানীয়ের কথা জানাব যা রোজ সকালে নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিডকে জব্দ করা যাবে। ব্যথা থেকেও পাবেন মুক্তি।

আজকাল ঘরে-ঘরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। গাঁটে ব্যাথা, পা ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা নিয়েই অনেককে দিন কাটাতে হয়। আবার ব্যথার জেরে অনেকে শয্যাশায়ীও হয়ে যান। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা যে কোনও বয়সে দেখা দিতে পারে। তাই, কম বয়স থেকেই দেখা দেয় সমস্যা। এক্ষেত্রে প্রথম থেকে সাবধান না হলে, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন সেটা জানার আগে মাথায় রাখুন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা।

প্রথমত, খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে বেশ কিছু খাবার পাত থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। না হলে পিছু ছাড়বে না সমস্যা। আসলে, শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাকহার কেমন, তার উপর। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলেও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আয়ুর্বদে মতে, কিছু খাবার বা পানীয় আছে, যা নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাগে আনা যায়।

ইউরিক অ্যাসিড মূত্রের স্বাভাবিক উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখনই সমস্যার শুরু। সমাধান পেতে ফলো করতে পারেন এই ঘরোয়া টোটকা। মাত্র ৫ পানীয়ের কথা জানাবো, যা নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন হাতেনাতে।

রোজ সকালে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
আয়ুর্বেদে আমলকিকে মহৌষধি বলা হয়। এই আমলকির রস রোজ খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। এক গ্লাস উষ্ণ জলে আমলকির রস মিশিয়ে রোজ সকালে খান। উপকার পাবেন।
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে ১ চা চামচ করে মধু ও ভিনিগার মিশিয়ে খেতে পারেন।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। ইউরিক অ্যাসিডও কমায়।
ধনে ভেজানো জলও এ কাজে দারুণ কার্যকরী। এই পানীয় কিন্তু ক্যালোরি পোড়াতে দারুণ কাজ করে। ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নাকি দারুণ উপকারি ধনে ভেজানো জল। ১-২ চামচ ধনে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা খালি পেটে খেয়ে নিন। একইভাবে মৌরি ভেজানো জল খেতে পারেন।
তবে শরীরের যে কোনও সমস্যাতেই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।