সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা: বাংলাদেশের ট্রেন মেরামতের হৃদয়স্থল!!Saidpur Railway Workshop!!
Автор: Travel With Shafiqul
Загружено: 2025-03-20
Просмотров: 2869
Описание:
#সৈয়দপুর #saidpur #travel #রেলওয়ে কারখান
রানী এলিজাবেথের সেলুন কোচ
• "রেলের প্রেসিডেন্ট সেলুন ১২৬৫: রেলওয়ে জাদ...
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জাদুঘর
• "সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা জাদুঘর: বাংলাদেশ...
এই কারখানায় তিনটি লোকোমোটিভ সংরক্ষিত রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে একটি ন্যারো-গেজ (৭৬২ মি.মি.) বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ সিএস ১৫, যা ১৯৩৬ সালে ইংল্যান্ডের ডব্লিউ. জি. বাগনাল তৈরি করে। এটি ১৮ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা ও ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি চওড়া। এটি ১৯৩৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত খুলনা-বাগেরহাট রেলপথে সেবা দিয়েছে। [২][৯]
দ্বিতীয়টি হচ্ছে একটি ব্রড-গেজ (১৬৭৬ মি.মি.) বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ এসজিসি-জেড ২৪০, যা ১৯২১ সালে যৌথভাবে ভলকান ফাউন্ড্রি ও কের, স্টুয়ার্ট অ্যান্ড কোম্পানি (উভয়ই ইংরেজ প্রতিষ্ঠান) তৈরি করে। এটি ৫৩ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা। এটি ১৯২১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত পাকশী রেলওয়ে বিভাগে কাজ করেছে। [২][৯]
তৃতীয়টি হচ্ছে একটি মিটার-গেজ (১০০০ মি.মি.) ডিজেল হাইড্রোলিক লোকোমোটিভ এমএইচজেড-৮ ইঞ্জিন নং-৩৩৩২ যা ১৯৮২ সালে হাঙ্গেরির গ্যাঞ্জ-ম্যাভেজ তৈরি করে। এটি ৩৮ ফুট লম্বা। এটি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত চলেছে। [২]
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রেলওয়ে কারখানা, যেটি আজ থেকে প্রায় ১৫৫ বছর আগে ১৮৭০ সালে রংপুর জেলার দারোয়ানী থানার সৈয়দপুরে বর্তমান নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে অবস্থিত। [১] এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত হয়। এটি বাংলাদেশের দুটি রেলওয়ে কারখানার মধ্যে একটি (আরেকটি হচ্ছে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা), যেখানে রেলওয়ে কোচ ও ওয়াগনসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ করা হয়। সাথে সাথে এটি দেশটির সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানা
১৮৭০ সালে রংপুরের তাজহাট জমিদার এর দান করা জমির উপর একটি মিটার-গেজ বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ বাষ্পচালিত লোকোমোটিভের মেরামত শেড হিসেবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মিটার-গেজ ও ব্রড-গেজ কোচ ও ওয়াগন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ইত্যাদি স্থাপন করে ১৯৫৩ সালে ৮০০ একর জমির উপর কারখানাটিকে সম্পূর্ণ সজ্জিত করা হয়। এতে ২৮টি শপ রয়েছে যেখানে মেরামতের কাজ করা হয় এবং ক্যারেজ ও ওয়াগনের জন্য প্রায় ১,২০০টি স্পেয়ার পার্টস ও টুলস তৈরি করা হয়।
মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি কারখানাটিতে কোচ ও ওয়াগন উৎপাদনও করা হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালে তৎকালীণ সরকার রেল সংকোচন নীতির আওতায় এই উদ্যোগ বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে কারখানাটিতে জনবলের সংকট রয়েছে। বর্তমানে ২,৮২৫টি অনুমোদিত জনশক্তির বিপরীতে রয়েছে মাত্র ৯১৮ জন স্টাফ (অফিসার সহ), অর্থাৎ প্রায় ৬৮% জনবল ঘাটতি রয়েছে।
এ রেলওয়ে কারখানায় পুরোনো ট্রেনকে নতুন করার কাজ চলে আসছে ব্রিটিশ আমল থেকে। ব্রিটিশ সরকার ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপন করে। সেই সময় সৈয়দপুর কারখানায় কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজারের মতো। ধীরে ধীরে জনবল কমে যাওয়ার পরও এ কারখানায় প্রতিদিন একটি কোচ ও একটি ওয়াগন মেরামত করা হয়। এছাড়া রেলওয়ের নানা ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয় এখানে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কারখানাটির উত্তর পাশে দার্জিলিং গেটসংলগ্ন এলাকায় ২০ একর জমির উপর কোচ ও ওয়াগন উৎপাদনের জন্য একটি নতুন ক্যারিজ শপ যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়।
২০২০ সালের ২৯ আগস্ট সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। এই জাদুঘরে ইংরেজ আমলে ব্যবহৃত প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচসহ বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে।
এ সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও আমার ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া আছে এর ডেসক্রিপশন বক্সে এর লিংক দেওয়া থাকবে যদি আপনার প্রয়োজন মনে হয় তাহলে এটি দেখে নিতে পারেন।
এছাড়া আরো দেখতে পাবেন
বৃটেনের রানী এলিজাবেদ এর স্মৃতিবিজাড়িত সেই রেলকোচ এখন ইতিহাস যা ছয় কামরা বিশিষ্ট ট্রেনের কোচটির বাহির ও ভেতর অংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়
প্রথম ব্রিটেনের রানীর ওই সফর ছিল স্মৃতিবিজড়িত। তখন রানীর ভ্রমণের জন্য বিশেষ ধরনের কাঠের ট্রেনের দুটি কোচ তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে সৈয়দপুরে রেলওয়ে কারখানায় রানী এলিজাবেথের ব্যবহার করা ছয় কামরার একটি সেলুন এখনও অক্ষত অবস্থায় রাখা আছে। ভেতরে আছে রাজকীয় শয়নকক্ষ ও একটি কনফারেন্স রুম। সেলুন কোচটির নৈপুণ্য বলে দেয় এটি রানীর ট্রেন ভ্রমণের সময়ে এক ক্ষুদ্র রাজপ্রাসাদ।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় আসীন ও বিশ্বের প্রবীণতম রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। ভারত ও বাংলাদেশ সফরের সময় রানী ট্রেনের যে কোচটিতে ভ্রমণ করেছিলেন তা এখন ইতিহাসের সাক্ষী। সেই স্মৃতি বিজারিত ইতিহাস দেখতে হলে তোমাদেরকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আসতেই হবে ক্যারেজ শপে এটি রাখা হয়েছে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায়।
@SalahuddinSumon
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: