গুনাই বিবি | পর্ব ৩ | সামাজিক যাত্রাপালা নাটক | Gunai Bibi | গুনাই বিবি যাত্রা পালা || Jatra Pala
Автор: গাজীপুর মিডিয়া-Gazipur Media
Загружено: 2020-02-20
Просмотров: 489
Описание:
গুনাই বিবিঃগুনাই বিবির পালা একটি সত্য ঘটনাশ্রয়ী। ব্রিটিশ শাসনামলে ঝালকাঠির বর্ধিষ্ণু ও সমৃদ্ধ নবগ্রাম এলাকায় গুনাই ও তোতার প্রেম
পরিনয়ের কাহিনী রচিত হয়। গ্রাম্য কবিয়ালরা হাটে হাটে সুর করে এ কবিতা পড়ে শ্রোতাদের কাছে এ কবিতার বই বিক্রি করতেন।
এ কাহিনী নিয়ে পর্যায়ক্রমে রচিত হয়েছে পালাগান, যাত্রাপালা ও লোকনাট্য। এ কাহিনীর সবগুলোই সংগীত প্রধান। এর মধ্যে
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গোলাম মোস্তফা মাসুমের গুনাই বিবি, ডাঃ চারুচন্দ্র রায়ের আসল গুনাই বিবি ও তোতা মিয়া, এ,কে,এম,
শহীদুল হকের গুনাই বিবি এবং ডঃ বিপ্লব বালার লোকনাট্য গুনাই বিবি। তবে প্রত্যক রচয়িতাই কাহিনীর নাটকীয় মুহুর্তগুলোর জন্য
যে গান ব্যবহার করেছেন তা প্রায় সব একই ধরনের গান ।
গুনাই বিবির সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ
গ্রামের সম্ভ্রান্ত গাজী পরিবারের আদরের সুন্দরী মেয়ে গুনাই বিবি। পিতৃহীন গুনাই বিবি ছিল ভাই রফিকের আদরের নয়নমনি। অন্যদিকে লম্পট ও
অসৎজমিদার দুলু মিয়ার ভাই লাল মিয়ার পূত্র তোতা মিয়া। লাল মিয়ার মৃত্যুর সময় ৯ লক্ষ টাকাসহ নাবালক তোতা মিয়াকে তুলে দেন ভাই দুলু
মিয়ার হাতে।শর্ত থাকে যে, তোতা মিয়া সাবালক হলে ৯ লক্ষ টাকাসহ জমিদারী ফেরৎ দেওয়া হবে তাকে। সুন্দরী গুনাই বিবির সাথে স্কুলে পরিচয়
ঘটে তোতা মিয়ার।পরস্পরের প্রতি দুজনে আকৃষ্ট হলেও সময় পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে কারো পক্ষেই প্রকাশ করা সম্ভব হয় নাই। অপর দিকে
ঘরে সুন্দরী স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্যেও গুনাইকে বিয়ে করতে চায় তোতার লম্পট চাচা দুলু। রফিকের আদরের বোন গুনাইকে লম্পট ও ভাইয়ের ছেলের
জমিদারী আত্মসাৎকারী দুলুরকাছে বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। দুলু ডাক্তারের সহায়তায় ঔষধের সাথে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে রফিককে মেরে ফেলে।
অবশেষে রফিকের ভাই খালেকেরপ্রচেষ্টায় গুনাই তোতার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তোতার লম্পট চাচা দুলু ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তোতাকে সরিয়ে দিয়ে |
গুনাইকে পাওয়ার জন্য গোপনে চেষ্টা চালাতে থাকে। তোতার নির্দেশে দীঘির পাড়ের বকুল গাছ কাটতে গিয়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারায় মানিক
নামের ঐ গ্রামের এক যুবক। গ্রামের কিছু লোক ও পুলিশের সহায়তায় মানিকের হত্যার দায় চাপিয়ে দিয়ে তোতাকে বরিশাল জেল হাজতে পাঠিয়ে
দেয়। এ সুযোগে দুলু মিয়া গুনাইকে পাবার জন্যে নানা পন্থায় প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু গুনাইয়ের পতি প্রেমের কাছে তার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অবশেষে নানা দুঃখ কষ্টের মধ্যে বরিশালের এক দয়ালুআইনজীবির সহায়তায় আইনী লড়াইয়ে তোতা মিয়া মামলা থেকে অব্যাহতি পায়। মামলার রায়ে
তোতা মিয়া ৯ লক্ষ টাকাসহ জমিদারী ও ফেরৎ পায়। সে সাথে গুনাই বিবিও তোতা মিয়ার পুণর্মিলন ঘটে। মিথ্যা রিপোর্ট দেয়ার দায়ে দারোগাকে চাকুরী
হারিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল। এই হচ্ছে গুনাই বিবি ও তোতা মিয়ার অমর প্রেমের কাহিনী। শোনা যায় প্রতিষ্ঠিত শিল্পির কন্ঠে শুনাই বিবির পালা গান
গ্রোমোফোনে রেকর্ড করা হয়েছিল। মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতো এ গানগুলো।
যাত্রা গানঃ
যাত্রা গানের ইতিহাসে ঝালকাঠির নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পঞ্চাশের শতকেও পশ্চিম বাংলার তথ্য এ দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মুখে উচ্চারিত হতো নট্ট
কোম্পানীর যাত্রা গানের কথা। এ নট্ট কোম্পানী ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশার পাঁজিপুঁথিপাড়া গ্রামের বাবু শশীভূষণ নট্ট এবং তার ভাই হারান চন্দ্র নট্ট
প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার শ্রেষ্ট যাত্রা দল নট্ট কোম্পানী। তখন সামাজিক বেড়াজাল পেরিয়ে মহিলারা যাত্রা পালায় অংশ নিতে পারতেন
না। সে কারণে মহিলা চরিত্রে ছেলেদের দিয়ে অভিনয় করানো হতো। শিল্পসম্মত অভিনয়, কাহিনী বিন্যাস ও বিবেকের গান বেশির ভাগ ঐতিহাসিক ও সামাজিক
কাহিনী নিয়েই রচিত হতো। প্রথম দিকে যাত্রাপালার শুভ যাত্রা শুরু হয় জমিদার বাড়ীর অভ্যন্তরীণ আঙ্গিনায়। এর পর নট্ট কোম্পানী ঝালকাঠি সদরসহ দেশের
বিভিন্ন শহর বন্দরে যাত্রা পালা করে অল্পদিনেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে। এরপর কোলকাতাসহ পশ্চিম বাংলার প্রায় সর্বত্র যাত্রা পালা করে নট্ট কোম্পানী অচিরেই
শ্রেষ্ট যাত্রা দলের স্বীকৃতি লাভ করে। যাত্রা দলের প্রতিষ্ঠাতা শশী ভূষণ নট্টর পুত্র হীরণ নট্ট। পিতা পুত্র উভয়ই ছিলেন সারা বাংলার শ্রেষ্ট তবলচিদের অন্যতম।
দেশ স্বাধীন হবার পরে হীরণ নট্ট দেশে চলে আসেন। ১৯৮৫ সনের ১৬ মার্চ দেশের বাড়ীতে পাঁজিপুথিপাড়াতেই তার মৃত্যু হয়। হীরণ নট্টের যোগ্যপুত্র পতিত
কুমার নট্ট এতদাঞ্চলের শ্রেষ্ট তবলচি
মোবাইল :01670799186
আপনার এলাকায় বিনোদনমূলক যেকোনো অনুষ্ঠান ভিডিও করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন,
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন মোবাঃ 01670799186
Fair Use Disclaimer:
For USA Contents: This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: