আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন তার মেয়ে
Автор: Future TV BD
Загружено: 2024-12-17
Просмотров: 274
Описание:
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি কলকাতায়, অন্যটি ঢাকায়। কলকাতার মামলাটি প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে সেখানকার সিআইডি। এদিকে ঢাকার মামলায় গত ৫ আগস্টের পর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফাইলবন্দি হয়ে আছে মামলাটি। একের পর এক তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের মধ্যেই আটকে আছে ঢাকার তদন্ত।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলেন, নতুন করে কোনো অগ্রগতি নেই। আগে যারা গ্রেপ্তার ছিলেন, তারা কারাগারে আছেন।
এদিকে আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। নভেম্বর মাসের শেষ দিকে কলকাতায় নমুনা দেন তিনি। এর আগে গত আগস্টে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত জেলা আদালতে প্রায় ১২শ পাতার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে কলকাতা সিআইডি। এরই মধ্যে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর রাতে কলকাতা সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা কৌশিক বলেন, নভেম্বরের শেষে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন ডরিন। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। কোলকাতায় গ্রেপ্তার দুজন কারাগারে আছে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে। চলতি মাসেও আরেকটি শুনানি আছে।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ এর ১২ মে সীমান্তপথে কলকাতায় গিয়ে বন্ধু গোপালের বাসা ওঠেন এমপি আনার। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসার কথা বলে বাসা থেকে হন। কিন্তু এর পর থেকে তার সঙ্গে পরিবার ও গোপালের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আনারের কোনো সন্ধান না পেয়ে ১৮ মে কলকাতার বারানগর পুলিশ স্টেশনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গোপাল। এদিকে ডিএমপি ডিবিকেও নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। তদন্ত করে ২৩ মে ঢাকা থেকে শিমুল, তানভীর ও শিলাস্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগ। পরে একে একে আরও চারজন গ্রেপ্তার হয়।
ডিবি ও কলকাতা সিআইডির তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারই বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। আর তা বাস্তবায়ন করে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, জিহাদ হাওলাদারসহ অন্যরা। কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যার আগে গত জানুয়ারি ও মার্চ মাসে দুবার হত্যার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়। পরে ঠিক করা হয় কলকাতা নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হবে আনারকে। সে অনুযায়ী, এমপি গতিবিধি নজরে রাখছিলেন শাহীনের লোকজন।
তৎকালীন তদন্ত ও তদারকি কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসায়িক বৈঠকের কথা বলে আনারকে শাহীনই কলকাতায় ডেকে নেন। বৈঠকের স্থান নির্ধারণ করা হয় সঞ্জিভা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে। শাহীন ১১ মাসের জন্য এ ফ্ল্যাটটি ভাড়া করেন। এমপি আনার কলকাতায় পৌঁছার আগেই গত ৩০ এপ্রিল শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমানকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন শাহীন। হত্যার সব ছক চূড়ান্ত করে এমপি আনার কলকাতা পৌঁছার দুদিন আগে ১০ মে শাহীন দেশে ফিরে আসেন।
সঞ্জিভা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে এমপি আনার প্রবেশের পর তাকে দরজা খুলে গ্রহণ করেন শিলাস্তি রহমান। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক পর্যায়ে আনারকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর বিবস্ত্র করে একটি চেয়ারে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে হত্যা করা হয় তাকে।
গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ঢাকার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, এমপি আনারকে হত্যার পর ওই ফ্ল্যাটের টয়লেটে নিয়ে তার হাড়-মাংস আলাদা করা হয়। মাংসের ছোট ছোট টুকরোর কিছু অংশ টয়লেটের কমোডে ফেলে দিয়ে ফ্লাশ করা হয়। হাড়সহ শরীরে অন্যান্য অংশ ট্রলিব্যাগে করে কলকাতার কৃষ্ণমাটি এলাকার জিরানগাছা বাগজোলা খালে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।
এমপি আনার হত্যার পর দুদেশের গোয়েন্দারাই নড়েচড়ে বসেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মরদেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে একাধিকবার কলকাতা ও নেপালে গেছেন ঢাকার তদন্ত কর্মকর্তারা। একইভাবে ঢাকায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাংলাদেশে আসেন কলকাতার তদন্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে মূল পরিকল্পনাকারী শাহীনকে দেশে ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসামি প্রত্যর্পণের কোনো চুক্তি না থাকায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ কাজটি সম্ভব হবে না। তবে ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় ভারত সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে। সেজন্য ভারতের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি জোর দেয়া হচ্ছে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: