অপরাধীকে ছাড় নয়...
Автор: Dhaka Crime (D Crime)
Загружено: 2024-07-01
Просмотров: 7
Описание:
বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জামাদিসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কুখ্যাত ডাকাত সরদার আব্দুল হাকিম ও অন্যতম প্রধান সহযোগী সোহাগসহ ০৮ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত সদস্য র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বেশকয়েকটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। সাম্প্রতিক সময়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বেশকয়েকটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যার ফলে অত্র অঞ্চলের জানমাল ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিসহ জনসাধারণের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। এসকল ডাকাতির ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়। র্যাব এসকল ডাকাত দলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
৩। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, বরিশালের বাকেরগঞ্জের মধ্যম মহেশপুর এলাকায় একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যগণ বরিশাল, পটুয়াখালী, কুয়াকাটার কয়েকটি এলাকায় পর্যায়ক্রমে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ডাকাত দলের সরদারের বসত ঘরে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল বরিশালের বাকেরগঞ্জ এলাকায় ডাকাত সরদারের বসত ঘরের নিকট উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত সদস্যরা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ডাকাত দলের সর্দার ১। আব্দুল হাকিম (৪৮), পিতা- মৃত ইউসুফ জমাদ্দার, মহেশপুর, ২। মিজান চৌকিদার (৪০), পিতা-মৃত সালাম চৌকিদার, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল, ৩। মোঃ রহিম হাওলাদার (৪০) পিতা-নুরু মিয়া হাওলাদার, রাঙাবালি, পটুয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং অন্যান্য কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে রাজধানীর দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পলাতক ডাকাত দলের অন্যতম প্রধান সহযোগী ৪। মোঃ শাওন ইসলাম সোহাগ (২৪), পিতা-মৃত ইউনুস আলী, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল, ৫। মোঃ রাজা খলিফা (২৫) পিতা-মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, কাউনিয়া, বরিশাল, ৬। মোঃ নাসির হাওলাদার (৪০), পিতা-মৃত সোবহান হাওলাদার, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল, ৭। মোঃ কালাম হোসেন (৩৫), পিতা- মোঃ মান্নান হোসেন, সদর, পটুয়াখালী, ৮। মোঃ সেলিম মাতবর (৫০), পিতা-মৃত আলী হোসেন মাতবর, আমতলী, বরগুনাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ০১টি খেলনা পিস্তলসহ বিপিুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনার তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। এই দলের সদস্য সংখ্যা ১০/১৫ জন। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাকিম উক্ত ডাকাত দলের সরদার এবং গ্রেফতারকৃত শাওন ইসলাম সোহাগ তার অন্যতম প্রধান সহযোগী। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাকিম ও সোহাগ এর নেতৃত্বে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা এবং মুন্সিগঞ্জ, মাদরীপুর, ঢাকা এলাকায় বাসা, অফিস, গ্যারেজসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এই ডাকাত দলটি গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে বরিশাল ও এর পাশর্^বর্তী বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রম করতো; গ্রেফতারকৃত সোহাগ এর নেতৃত্বেও একটি দল বরিশাল ও এর পাশর্^বর্তী বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতো। এছাড়াও দুইটি ডাকাত দল মাঝে মধ্যে এক সাথে উক্ত এলাকাসমূহে ডাকাতি করতো বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাকিম এবং সোহাগ এর নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় প্রথমে দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি/অফিস/গ্যারেজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ রেকি করে ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক টার্গেট নির্ধারণ করতো। পরবর্তীতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দলের কিছু সদস্য টার্গেটকৃত বাসা/অফিস/গ্যারেজসহ অন্যান্য স্থাপনার বাহিরে পাহারা দিতো এবং অন্যান্য সদস্যরা সুড়ঙ্গো করে অথবা জানালার গ্রিল কেটে অথবা দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করতো। এসময় দলের কিছু সদস্য সেখানে অবস্থানরতদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রাখতো, নির্যাতন করতো এবং অন্য সদস্যরা নগদ অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী সংগ্রহ শেষে একত্রে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতো। গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতো বলে জানা যায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন মামলায় কারাভোগের সময় কারাগারে থাকা অন্যান্য আন্তঃজেলা ডাকাতদের সাথে তাদের পরিচয় হয় এবং সেখানে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করতো। পরবর্তীতে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে রপ্তকৃত কৌশল ব্যবহার করে ডাকাতি করতো বলে জানা যায়।
৫। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাকিম একজন দুর্ধর্ষ পেশাদার ডাকাত। সে বিগত ২০/২২ বছর যাবৎ ডাকাতি কার্যক্রমের সাথে জড়িত। সে অল্প সময়ে অধিক অর্থ লাভের আশায় নিজেই ১০/১৫ জনের আন্তঃজেলা একটি ডাকাত চক্র গড়ে তোলে। তার নির্দেশে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, জালিয়াতি ও ডাকাতি সংক্রান্তে ১০টি মামলা রয়েছে এবং এসকল মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: