আবুল কালাম আজাদের সহিহ হাদিস বিরোধী অপব্যাখ্যার জবাব।। যোহরের ১২ রাকাত নামাজ কারা বানিয়েছে?
Автор: Muslim Connect
Загружено: 2024-11-21
Просмотров: 2998
Описание:
উক্ত আলোচনাটি ভালো করে পড়ুন।
قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا حَرُمَ عَلَى النَّارِ "
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে যুহরের পূর্বে চার রাক’আত এবং পরে চার রাক’আত সালাত আদায় করবে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করা হবে। আবু দাউদ ১২৬৯, তিরমিযী (অধ্যায় : সালাত, হাঃ ৪২৭, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান গরীব), নাসায়ী (অধ্যায় : ক্বিয়ামুল লাইল, হাঃ ১৮১১), আহমাদ (৬/৩২৫), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১১৯১) সকলে ‘উতবাহ হতে।
সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ
উম্মুল মুমিনিন হযরত উম্মে হাবিবা রা. থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি দিনে-রাতে বারাে রাকাআত নামায আদায় করবে, জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে। (ওই বারো রাকাআত নামায এই)
যােহরের ফরযের পূর্বে চার রাকাআত,
ফরযের পরে দুই রাকাআত।
মাগরিবের (ফরয নামাযের) পরে দুই রাকাআত।
ইশার (ফরয নামাযের) পরে দুই রাকাআত।
ফজরের (ফরয নামাযের) পূর্বে দুই রাকাআত।
(জামে তিরমিযি: ১৯৪)
যােহরের নামাযের রাকাআত-সংখ্যা
চার রাকাআত সুন্নত, চার রাকাআত ফরয, দুই রাকাআত সুন্নত, দুই রাকাআত নফল।
উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত- 'নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যােহরের আগের চার রাকাআত এবং ফজরের আগের দুই রাকাআত কখনাে ছাড়তেন না।
(সহিহ্ বুখারী ১/১৫৭)
উম্মুল মুমিনিন হযরত উম্মে হাবীবা রা. থেকে বণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাত আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
'যে ব্যক্তি যোহরের আগের চার রাকাআত ও যােহরের পরের চার রাকাআত নিয়মিত আদায় করে আল্লাহ তাআলা তাকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেন।'
(সুনানে তিরমিযি: ১/৯৮)
হযরত আয়েশা রা.-এর বর্ণনা থেকে যাহরের আগের চার রাকাআত এবং ফজরের আগের দুই রাকাআতের প্রমাণ পাওয়া গেল। এগুলোে হল সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। কেননা নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তা পরিত্যাগ করেননি। আর হযরত উম্মে হাবিবা রা. এর রেওয়ায়াতে যোহরের পরের চার রাকাতের ফজিলত পাওয়া গেল। এর মধ্যে দুই রাকাআত হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা আর দুই রাকাত নফল।
যোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত যদি সময়মতো আদায় করা না হয় তাহলে নামাজের পরে তা আদায় করবে।
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত কখনো যদি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহরের আগের চার রাকাত সময় মত পড়তে সক্ষম না হতেন তাহলে ফরজ নামাজের পর তা আদায় করতেন।
(জামে তিরমিযী ১/১৯৭)
ইশার রাকাআত সংখ্যা
চার রাকাআত সুন্নত, চার রাকাআত ফরয, দুই রাকাআত সুন্নত, দুই রাকাআত রাকাআত নফল, তিন রাকাআত বিতর, দুই রাকাআত নফল।
ইশার ফরয নামাযের আগে সময় হলে চার রাকাআত নামায পড়া ভালো। সময় কম হলে দুই রাকাআত, তবে না পড়লেও গুনাহ নেই।
সহিহ বুখারির ভাষ্যকার হাফেয ইবনে হাজার আসকালানি রহ, বারা ইবনে আযিব রা. সূত্রে নবী কারিম সাল্লাল্লাহ আলাহাহ ওয়াসাল্লামের ইরশাদ বর্ণনা করেছেন-
যে ব্যক্তি ইশার আগে চার রাকাআত নামায পড়ল সে যেন তাহাজ্জুদ নামায আদায় করল। আর যে ইশার পরে চার রাকাআত পড়ল সে যেন শবে কদরে চার রাকাআত নামায আদায় করল।
ইমাম বায়হাকি রহ, এ বর্ণনা হযরত আয়েশা রা.-এর বাণী হিসেবে এবং নাসায়ি ও দারাকৃতনি কা'ব রা.-এর বাণী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
(আদ-দিরায়াহ, ১/১৫১)
হযরত সায়িদ ইবনে জুবায়ের রহ. বলেন- সাহাবায়ে কেরাম ইশার আগে চার রাকাআত নামায পড়া পছন্দ করতেন।
(কিয়ামুল লাইল পৃ.৭৪)
উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রা কে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রা বলেন, তিনি মসজিদে ইশার নামাজ পড়ে ঘরে আসতেন এবং চার রাকাআত নামায পড়ে বিছানায় যেতেন।
(সুনানে আবু দাউদ ১/১৯১)
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: