. সমুদ্রের বুকে ভাসমান প্রাসাদ: ক্রুজ জাহাজের অজানা তথ্য
Автор: Imaginarybabu
Загружено: 2025-06-27
Просмотров: 441
Описание:
. সমুদ্রের বুকে ভাসমান প্রাসাদ: ক্রুজ জাহাজের অজানা তথ্য
বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজ: এক ভাসমান শহর
ক্রুজ জাহাজগুলো এক একটি ভাসমান শহরের মতো, যা আপনার কল্পনার চেয়েও অনেক কিছু ধারণ করে। এই বিশালাকার জাহাজগুলো প্রায় তিনশ' ফুটেরও বেশি উচ্চতার হয় এবং একবারে হাজার হাজার যাত্রী বহন করতে পারে। একটি ক্রুজ জাহাজ তৈরি করতে প্রায় ১২ থেকে ৪০ মাস সময় লাগে এবং এর পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়। একটি জাহাজের শুধু বাইরের কাঠামো তৈরি করতেই ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এর কারণ হলো, এসব জাহাজে বিশাল ওয়াটার পার্ক, অসংখ্য রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকে, যা দেখলে আপনার মনে হবে যেন অন্য কোনো জগতে চলে এসেছেন।
এই বিশাল আকৃতির জাহাজগুলো তৈরি করতে পাঁচ শতাধিক ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হয়। অধিক শক্তিশালী করার জন্য এতে পাঁচটি থেকে ছয়টি পর্যন্ত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে একটি হলো ডিজেল ইঞ্জিন। জাহাজ যত বড় হয়, এর বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা তত বেশি হয়। আমাদের পৃথিবীজুড়ে প্রতিনিয়ত মহাজাগতিক মানের এই ধরনের জাহাজ তৈরি করা হচ্ছে।
আজ আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রুজ জাহাজগুলো সম্পর্কে জানব, যেখানে মানুষ কীভাবে থাকে, তাদের জীবনযাত্রা কেমন হয়, কোথায় কোথায় তারা ভ্রমণ করে এবং এগুলো কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অ্যালুর অফ দ্য সিজ (Allure of the Seas)
অ্যালুর অফ দ্য সিজ প্রায় ১১৭ ফুট লম্বা এবং এটি ৬৭৮০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে। এই ধরনের বড় জাহাজ তৈরি করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়। ২০১১ সালে চালু হওয়া এই জাহাজটি একসময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ ছিল এবং এটি তৈরি করতে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল।
এই জাহাজে ভ্রমণ করতে অনেক খরচ হয়। যেহেতু এখানে সর্বোচ্চ মানের সুবিধা পাওয়া যায়, তাই এই জাহাজের একেকটি টিকিট ২৫ হাজার থেকে শুরু করে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়।
সেভেন সিজ এক্সপ্লোরার (Seven Seas Explorer)
এই জাহাজটি দেখতে যেমন বিলাসবহুল, তেমনি এতে ভ্রমণ করাও অনেক ব্যয়বহুল। এর একেকটি টিকিটের দাম প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ডলার। এই টিকিটে আপনি ১২৩ দিনের মধ্যে ১১টি দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহর ঘুরে বেড়াতে পারবেন। সেই শহরগুলোর মধ্যে আছে সিডনি, টোকিও এবং হংকং সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত। এই জাহাজটি তৈরি করতে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ১১৮৮ ফুট লম্বা এই জাহাজের টিকিটের মূল্য ১৬ হাজার ডলার। এই জাহাজে করে সমুদ্রের বুকে ভ্রমণের সময় আপনার মনে হবে আপনি কোনো জাহাজে নন, বরং কোনো মরুদ্যান বা দ্বীপে আছেন।
এমএসসি ওয়ার্ল্ড ইউরোপা (MSC World Europa)
এমএসসি ওয়ার্ল্ড ইউরোপা বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং বিশালাকার একটি ক্রুজ শিপ। প্রায় ৩৩৭ মিটারের বেশি লম্বা এই জাহাজটিতে মোট ১৮টি ডেক আছে। অসাধারণ এই জাহাজটি এক অনবদ্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নিদর্শন। এটি বিশ্বের অন্যান্য সেরা শিপইয়ার্ডের একটিতে তৈরি। বাইরে থেকে দেখতে অসাধারণ এই জাহাজটি শুধুমাত্র সৌন্দর্যের দিক থেকেই সেরা নয়, বরং এর ভেতরের অংশও বিশ্বের অন্যান্য সেরা ক্রুজ শিপগুলোর মধ্যে অন্যতম।
জাহাজটির অনন্য নকশার কারণে এটি সমুদ্রের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কোনো সমস্যা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারে। এমনকি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও জাহাজটি একটুও নড়ে না। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্থাপত্যের এক অসাধারণ মেলবন্ধন এই এমএসসি ইউরোপা। জাহাজটিকে একটি হাইব্রিড প্রপালশন সিস্টেম দ্বারা চালনা করা হয়, অর্থাৎ এর ইঞ্জিন যেমন ডিজেলে চলতে পারে, ঠিক তেমনি বিদ্যুতেও চলতে পারে। এমনকি এর ইঞ্জিন ডিজেলের পাশাপাশি এলএনজি গ্যাসও ব্যবহার করে চলতে পারে।
এই জাহাজের ভেতরের দৃশ্য দেখতে চোখ ফেরানো কঠিন। বিলাসিতা আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে এক অসাধারণ ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা হয়েছে। জাহাজের ছাদে থাকা এক সুইমিং পুল থেকে যাত্রীরা অনায়াসে সমুদ্রের নজরকাড়া দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। এছাড়া এতে থিয়েটার, নাইট ক্লাব, বিভিন্ন গেমিং অপশন, সেই সাথে বেশ কিছু ডাইনিং এরিয়াও আছে। যাত্রীদের জন্য এতে প্রায় ২৫০০ এর মতো রুম থেকে শুরু করে খুবই সাধারণ কেবিন সবই এখানে আছে।
এছাড়া এতে কোনো প্রকার জরুরি পরিস্থিতিতে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়। জাহাজটি অ্যান্টার্কটিক সমুদ্র থেকে শুরু করে আপনার যেখানে ইচ্ছা সেখানেই আপনাকে নিয়ে যেতে পারে।
ওয়াসিস অফ দ্য সিজ (Oasis of the Seas)
১১৭১ ফুট লম্বা এবং ১৫০ ফুট প্রশস্ত এই ক্রুজ জাহাজটি দেখলে আপনার মনে হতে পারে এটি সমুদ্রের উপর ভাসমান বিশাল কোনো বিল্ডিং। এতে আছে প্রায় ১৬টি ডেক এবং এর প্রত্যেকটি যেন আলাদা আলাদা জগৎ।
এই জাহাজের ধারণক্ষমতা প্রায় ৬৭৮০ জন যাত্রী। জাহাজের ভেতরে হাঁটতে থাকলে আপনার মনে হতে পারে আপনি কোনো ফাইভ-স্টার রিসোর্টে আছেন। এখানে সবুজ গাছপালায় ঘেরা সেন্ট্রাল পার্ক থেকে শুরু করে অ্যাকোয়াথিয়েটার, বিভিন্ন বুটিক শপ, অসম্ভব সুন্দর ক্যাফে সবই বিদ্যমান। এর অত্যাধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই জাহাজটিকে চালাতে পারে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে ভূমধ্যসাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখার সুযোগ হয় ওয়াসিস অফ দ্য সিজের ভাগ্যবান যাত্রীদের।
এমএসসি সি-স্কেপ (MSC Seascape)
৩৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজটিতে প্রায় ১৮টি ডেক আছে। বিশ্ববিখ্যাত একটি শিপইয়ার্ডে তৈরি এই জাহাজটি শিপিং ইন্ডাস্ট্রির একটি গর্বের বিষয়। এতে এমন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা অনায়াসে ডিজেলে চলতে পারে। এই ইঞ্জিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি যেমন জ্বালানি খরচ কমায়, তেমনি পরিবেশের জন্যও বেশ উপকারী।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রপেলার সিস্টেম সমুদ্রের উপর জাহাজকে মসৃণভাবে ভাসিয়ে রাখে। থাকার জন্য এতে যেমন বিলাসবহুল রুম আছে, তেমনি অনেক কম খরচের কেবিনও আছে। তবে এমএসসি সি-স্কেপের অন্যতম বড় একটি বৈশিষ্ট্য হলো জাহাজটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন প্রত্যেকটি রুম
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: