দেখুন ঈমানের ৭৭টি শাখার নাম কি কি || আমাদের ইসলাম
Автор: আমাদের ইসলাম
Загружено: 2025-05-03
Просмотров: 156
Описание:
ঈমানের ৭৭ টি শাখা.
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেন, ঈমানের ৬০ বা ৭০ এর অধিক স্তর রয়েছে, তার সর্বনিম্ন স্তর হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (অর্থাৎ, ইট, পাটকেল, কাটা, নাপাক ইত্যাদি) সরিয়ে ফেলা, আর সর্বোচ্চ স্তর হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা (অর্থাৎ, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) {বুখারি-৯; ইফা-৮; মুসলিম-৩৫, ১৬২; তিরমিজি-২৬১৪; নাসাঈ-৫০০৪, ৫০০৫, ৫০০৬; আবু দাউদ-৪৬৭৬; ইবনে মাজাহ-৫৭; আহমাদ-৮৭০৭, ৯০৯৭, ৯৩৭২, ৯৪১৭, ৯৪৫৫, ১০১৩৪; তাবরানি কাবীর-৮৪০; বাযযার-৪৯৭৪; ইবনে হিব্বান-১৬৬, হাদিসের শব্দাবলী-ইবনে মাজাহ}
ঈমানের ৭৭ টি শাখার মধ্যে ৩০ টি দিলের সাথে ,৭ টি যবানের সাথে এবং ৪০ টি হাত –পা ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সংশ্লিষ্ট।
ঈমানের ৩০ টি শাখা যা দিলের সাথে সংশ্লিষ্টঃ
০১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও ঈমান আনা
০২. আল্লাহ্ তাআলা ছাড়া সবকিছুই ধ্বংসশীল এই বিশ্বাস করা
০৩. ফেরেস্তাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করা
০৪. আসমানী কিতাব সমূহে বিশ্বাস করা
০৫. সকল নবী ও রসূলগণের প্রতি বিশ্বাস করা, (অর্থাৎ, তাঁরা সবাই সত্য, আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রেরিত)
০৬. তাকদীরে বিশ্বাস (অর্থাৎ, জগতে যা কিছু হয়েছে, হচ্ছে বা হবে সবই আল্লাহ তায়ালা আদিকাল হতেই জানেন এবং সে হিসেবে নির্ধারিত)
০৭. কিয়ামত ও পুনরুত্থান দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখা (অর্থাৎ, পুনরায় সকলে জীবিত হয়ে সমস্ত জীবনের পাপ-পুণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব দিতে হবে এই বিশ্বাস রাখা)
০৮. জান্নাতকে বিশ্বাস করা
০৯. জাহান্নামকে বিশ্বাস করা
১০. আল্লাহ তায়ালার প্রতি মহব্বত রাখা
১১. রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি মহব্বত রাখা
১২.কারও সাথে দোস্তী বা দুশমনি রাখলে শুধু আল্লাহ তায়ালার জন্যই রাখা
১৩. ইখলাছের সাথে আমল করা (অর্থাৎ, প্রত্যেক কাজ শুধু আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য এবং সন্তুষ্টির জন্য করা)
১৪. তওবাহ করা
১৫. অন্তরে আল্লাহ্র ভয় রাখা
১৬. আল্লাহ্র রহমত থেকে নিরাশ না হওয়া
১৭. লজ্জা করা
১৮. আল্লাহ তাআলার নেয়ামতের শোকর আদায় করা
১৯. বৈধ ওয়াদা পালন করা
২০. আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে কোন বালা-মুছিবত বা রোগ-শোক আসলে ধৈর্য্য ধারণ করা
২১. বিনয়ী হওয়া (অর্থাৎ নিজেকে অপর হতে ছোট মনে করা)
২২. সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করা
২৩. আল্লাহ তাআলার তরফ হতে যা কিছু হয় তাতে সন্তুষ্ট থাকা
২৪. আল্লাহ্র উপর তাওয়াক্কুল করা (অর্থাৎ, প্রত্যেক কাজের ফলাফল যে আল্লাহ তাআলার হাতে তা বিশ্বাস করে তার ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভরসা করা
২৫. স্বেচ্ছাচারিতা বর্জন করা
২৬. কারো সাথে বিদ্বেষ না রাখা
২৭. হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকার বর্জন করা
২৮. রাগ দমন করা
২৯. কারও অমঙ্গল কামনা না করা
৩০. দুনিয়ার ধন দৌলত ও প্রভুত্ব ইত্যাদির প্রতি মহব্বত না রাখা
৩১. লা –ইলাহা ইল্লাল্লাহ (অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) এ কথা মুখে স্বীকার করা
৩২. পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা
৩৩. ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা
৩৪. দ্বীনি এলম শিক্ষা দেয়া
৩৫. দোয়া ও ইস্তেগফার পড়া
৩৬. আল্লাহ তাআলার যিকির করা
৩৭. বেহুদা অনর্থক কথা-বার্তা থেকে জবানকে হিফাজত করা
৪০টি শাখা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সংশ্লিষ্টঃ
৩৮. পাক পবিত্রতা অর্জন করা (অর্থাৎ, ওযু করা,ফরয গোসল করা, কাপড় পাকছাফ রাখা ইত্যাদি)
৩৯. নামাজ কায়েম করা
৪০. মালের যাকাত ও ছদকা ফিতরা আদায় করা
৪১. রমযানের রোযা রাখা
৪২. হজ্ব পালন করা
৪৩. রমযানের শেষ দশদিন এতেকাফ করা
৪৪. নিজের ঈমান রক্ষার্থে (প্রয়োজনে) হিজরত করা
৪৫. মান্নত পূরণ করা
৪৬. জায়েয কাজে কসম করলে তা পূরণ করা
৪৭. কাফফারা আদায় করা
৪৮. ছতর ঢেকে রাখা
৪৯. ঈদুল আযহার কুরবানী করা
৫০. মৃত ব্যক্তির কাফন দাফন করা
৫১. ঋণ পরিশোধ করা
৫২. শরীয়ত মোতাবেক লেনদের করা (অর্থাৎ, মাপে কম না দেয়া, ভেজাল না দেওয়া, সুদ-ঘুষ না খাওয়া ইত্যাদি)
৫৩. সত্য সাক্ষ্য দেওয়া
৫৪. বিবাহের মাধ্যমে সতীত্ব রক্ষা করা
৫৫. পরিবার পরিজনের হক আদায় করা (শরীক ফাঁকি না দেয়া)
৫৬. মাতা-পিতার খেদমত করা
৫৭. সন্তানাদি লালন পালন করা (দ্বীনি শিক্ষা দেয়া)
৫৮. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা
৫৯. মনিবের অনুগত হওয়া
৬০. ন্যায় বিচার করা
৬১. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসরণ করা
৬২. ইসলামী শাসকের অনুসরণ করা
৬৩. কারও ঝগড়া বিবাধের মীমাংসা করে দেওয়া
৬৪. নেক কাজে সাহায্য করা
৬৫. সদা সত্য কথা বলা
৬৬. সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা
৬৭. জিহাদ করা
৬৮. আমানত যথাযথভাবে আদায় করা
৬৯. অভাবী বা ঋণগ্রস্তকে ঋণ দেওয়া
৭০. প্রতিবেশীদের সাথে ভাল ব্যবহার করা
৭১. হালাল উপায়ে রুজি অর্জন করা
৭২. শরীয়তের বিধান অনুযায়ী খরচ করা (অর্থাৎ, হালাল উপার্জন করে সেটা হারাম কাজে ব্যয় না করা)
৭৩. সালামের জবাব দেয়া (অর্থাৎ, মুসলমান ভাইকে দেখলে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দেওয়া এবং কোন মুসলমান সালাম দিলে ‘ওয়াআলাই-কুমুস সালাম’ বলে তার উত্তর দেয়া
৭৪. কেউ হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললে ‘ইয়ার হামুকাল্লাহ’ বলে উত্তর দেওয়া
৭৫. অনর্থক কাউকে কষ্ট না দেয়া বা কারও ক্ষতি না করা
৭৬. অনর্থক খেল-তামাশা (অর্থাৎ, তাস, কেরাম বোর্ড, পাশা, হকি, সিনেমা, নাটক, থিয়েটার, ভিসিআর, ফুটবল, দাবা ইত্যাদি) পরিহার করা
৭৭. রাস্তা থেকে কোন কষ্টদায়ক বস্তু (ইট, পাটকেল, পাথর, নাপাক বস্তু, কলার ছোলা, তরমুজের খোসা ইত্যাদি) সরিয়ে ফেলা
এই ৭৭ প্রকার কাজ সম্পূর্ণ করতে পারলে ইনশাআল্লাহ ঈমান পূর্ণ হবে। আর একটি বাকি থাকলে ঈমান অসম্পূর্ণ থাকবে; আখেরাতে এর জন্য বড় রকমের খেসারত দিতে হবে।
আমরা দৈনিক একবার,নইলে সপ্তাহে একবার ,নইলে মাসে একবার,হলেও পড়ি আর যাচাই করি আমার মধ্যে এর কয়টি আছে আর কয়টি নেই।
সূত্রঃ -পাঁচ শত হাদীস ও ঈমানের সাতাত্তর অংশ
লেখকঃ মাওলানা হোসাইন
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: