লোকাল পত্রিকার সাংবাদিক বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসির তিরস্কার
Автор: NBC NEWS TODAY
Загружено: 2025-03-13
Просмотров: 20
Описание:
লোকাল পত্রিকার সাংবাদিক বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসির তিরস্কার!
মেঘনা নদীর একস্থানে ডিসির অনুমতি নিয়ে অন্যস্থানে ড্রেজারে অবাধে বালু উত্তোলন,
এম.আর রুবেল:
একস্থানে ডিসির অনুমতি নিয়ে মেঘনা নদীর অন্যস্থানে গভীর নদীতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চুম্বক ড্রেজারে বাল্কহেড নৌকায় অবাধে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। ফলে হুমকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বন্দরনগরী ভৈরব বাজারসহ মেঘনা নদীর উপর নির্মিত একটি সড়ক সেতু, দুটি রেলসেতু, তেলের ডিপো, বিএডিসি গোডাউন ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।
মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ প্রান্তে ফার্টিলাইজার এলাকায় চর কাটার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কর্তৃক (নব্যসৃষ্টি করা ইজারা) বালুর উত্তোলনের অনুমতি দেয়া নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ডিসির দেয়া বালু উত্তোলনের অনুমতিতে নাকি শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছেন, জায়গার পরিমাপ, ড্রেজারের সংখ্যা নিয়ে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা মুখ না খোলায় এবং নানা ফাঁকফুকর থাকায় ইজারাদাররা অতিরিক্ত ড্রেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। আনুমানিক দুই কোটি টাকার ইজারা নিয়ে ১লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলনের জন্য ডিসি অনুমতি দিলেও অতিরিক্ত ড্রেজার ব্যবহার করে নিদিষ্ট এরিয়ার বাহিরে নদীর বিভিন্নস্থান থেকে অন্তত পাঁচলাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন কারার টার্গেট নেমেছে একটি প্রভাবশালী মহল। তাছাড়া চর কাটার জন্য মুলত কাটিং ড্রেজার ব্যবহার করা হয়। ডেসপাচ জেটির এলাকার নদীর গভীরতা বাড়াতে কাটিং ড্রেজার ব্যবহার না করে লোড ড্রেজার ব্যবহার করলে ভবিৎষতে জেটি এলাকাই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি মোহাম্মদ দিদারুল আলম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে ক্ষামতার দাপট দেখাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানার ওয়াটার ইনটেক ও ডেসপাচ জেটি এলাকায় বালুর সামান্য চর জাগায় ডেসপাচ জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজ ভীরতে সমস্যা হওয়ায় ওই জায়গাটুকুর গভীরতা বাড়াতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানার ওয়াটার ইনটেক ও ডেসপাচ জেটি এলাকায় মেঘনা নদীতে বিআইডব্লিউএ কর্তৃক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ (অপসন-১) অনুযায়ী ৯৪,৮০,৩১৫ (চুরান্নব্বই লক্ষ আশি হাজার তিনশত পনের) ঘনফুট মাটি/বালু উত্তোলনের অনুমোদন দেন মেসার্স কামাল ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর নুসরাত জাবীন স্বাক্ষরিত আদেশে বালু উত্তোলনের সরকারি মুল্য বাবদ ধরা হয় ১,৯৯,০৮,৬৬২/- (এক কোটি নিরানব্বই লক্ষ আটহাজার ছয়শত বাষট্রি) টাকা। ১৫ পর্সেন্ট ভ্যাট ও ১০পর্সেন্ট আয়করসহ মোট ২,৪৮,৮৫,৮২৯/- (দুই কোটি আটচল্লিশ লক্ষ পঁচাশি হাজার আটশত উনত্রিশ) টাকা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধপূর্বক ৩০০/- (তিনশত) টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তির নির্দেশ দেন।
হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের মাধ্যমে ডেসপাচ জেটি এলাকায় চর কাটার অনুমোদনের কথা বলা হলেও যথাযথ পক্রিয়া অনুসরণ করে ডিসি বালু উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে কিনা তা নতুন করে তদন্তকরে জনসাধারণকে অবগত করার দাবি অভিজ্ঞ মহলের। ডেসপাচ জেটি এলাকায় মাটির অনুমতি নিয়ে ১০-১৫টি লোড ড্রেজার মেঘনা নদীর গভীরে ভৈরবপ্রান্তে এসে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে বন্দরনগর ভৈরব বাজার, ভৈরব আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর উপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু, হাবিলদার আবদুল আলিম রেলওসতু, জিল্লুর রহমান রেলসেতু, দুটি তেলের ডিপো ও বিএডিসির দুটি সারের গুদাম।
এ বিষয়ে জানতে ফোন দেয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানাকে তিনি বালু কাটার বিষয়ে তেমন কিছুই জাননেনা। ফাইল দেখে বলতে হবে বললেন তিনি। কথামত আধঘন্টা পর ফোন দেয়া হয় এডিসি জেসমিন সুলতানাকে। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করার প্রয়োজন মনে করেননি। পরদিন ১১মার্চও একাধিকবার ফোন দেয়া হয় এডিসি জেসমিন সুলতানাকে তখনও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে জেলা প্রশাসককে ফোন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমও তার জেলার বালুর বিষয়ে ভৈরবের সাংবাদিককের কাছে জাবাব দিবেনা বলে জানান এবং লোকাল সাংবাদিক বলে তিরস্কার করেন এবং তার জেলার বিষয় তিনি বুঝবেন বলে জানান। ডিসির ফোনের কিছক্ষণ পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা হোয়াটঅ্যাপ নাম্বারে ফোন করে ওই সাংবাদিককে হুমকিমুলক কথা বলেন ভৈরবের সাংবাদিক হয়ে কেন ডিসিকে ফোন দেয়া হয়েছে আক্রমনাক্ত আচরণ বুঝতে পেরে অন্যমোবাইল ফোনে হোয়াটঅ্যাপে কথা বলার শেষের ৩মিনিটের একটি ভয়েজ রেকর্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কেউই মেঘনা নদীতে বালুর বিষয়ে মুখ না খোলায়, বালু উত্তোলনের অনুমতি যথাযথ নিয়ম মেনে অনুমোদন দেয়া হয়েছে কিনা প্রশ্ন জেলা বালু ব্যবস্থা কমিটির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ওয়াটার ইনটেক ও ডেসপাচ জেটি এলাকায় চর ড্রেজিংয়ের অনুমতি নিয়ে গত একমাস ধরে অনুমতিত চর ড্রেজিং না করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেঘনা নদীর গভীর থেকে দিন ও রাতে ১০-১৫টি চুম্বক/লোড ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করলেও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে নিরব। মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ ও ভৈরবে নির্মিত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বড় ধরণের নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে নিরাপদ থাকতে মেঘনায় বালু উত্তোলন বন্ধসহ ডিসির দেয়া অনুমতি কতটুকু নিয়ম মেনে দেয়া হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধানসহ সংম্লিষ্ট বিভাগ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সুধীসমাজসহ সাধারণ মানুষের।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: