গুরু ভক্ত ছাড়া এই কথা কেও বুঝবে না। অতি গোপনের গোপন কথা। রতি সাধন কেমনে করতে হয়? Soriyot Sorkar
Автор: Channel Addo Kotha
Загружено: 2021-09-22
Просмотров: 389236
Описание:
'রতি' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল মৈথুন, যৌনসঙ্গম, যৌনকর্ম, স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি। সেই হিসেবে 'রতি সাধন' এর অর্থ ধরা যায় যৌনসঙ্গম বা স্ত্রী সহবাস সংক্রান্ত সাধনা। কিন্তু এই শব্দটি ছোট হলেও এর ব্যাপক গুরুত্ব ও অর্থ রয়েছে। শুধু রতি সাধকদের জন্যই নয়, ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে সুখে শান্তিতে থাকার জন্যও এই সাধন সম্পর্কে জানা দরকার।
রতি সাধন বলতে বুঝায়, যে সাধনার দ্বারা বীর্যকে নিজের নিয়ন্ত্রনে এনে নিজের যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি, দীর্ঘক্ষণ স্ত্রীসঙ্গম, জন্মনিয়ন্ত্রণ, আশানুরূপ সন্তান লাভ ও বীর্যকে সংরক্ষনের মাধ্যমে মনকে নিজের বশে এনে কামভাব দমন করে আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন ও দেহকে সবল বা সুঠাম অর্থাৎ চাঞ্চল্য ও শক্তিধর করে রাখার দেহ সাধনা। এটা 'দম সাধনা' এর অন্যতম একটি অংশ।
দম তথা শ্বাস প্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই বীর্য ও মন নিয়ন্ত্রনে এসে যায়। আর মনের সাথে বীর্যের অনেক সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই যার বীর্য যত ঘন তার মন তত বেশি স্থির। সাধনার ক্ষেত্রে মনকে নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে বা স্থীর করতে না পারলে কেউ কোনো সাধনায় সিদ্ধি লাভ করতে পারবে না। তাই বিভিন্ন পদ্ধতিতে দেহ সাধকগন দমের সাধন করে থাকেন। যাকে 'যোগ সাধন বা প্রাণায়াম' নাম করন করা হয়েছে। প্রাণায়ামের শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত অনেক গুলো যোগ ব্যয়াম বা সাধনা রয়েছে। তার মধ্যে কুম্ভক সাধনাই প্রধান। তাছাড়া রেচক, পূরক, কাঁপিলভাতি, ভুহ্ম্রা, অলোলোম বিলোম প্রাণায়াম ইত্যাদি। এসব যোগ ব্যয়াম বা কোয়ান্টাম এর মাধ্যমে মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস স্থীর হয়, আর শ্বাস স্থীর হলে বীর্য ঘন হয়, আর বীর্য ঘন হলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও মন আসতে আসতে নিজের বশে চলে আসতে থাকে বা স্থীর হয়ে যায়। আর এই জন্যই রতি সাধকগন এই যোগ সাধন করে থাকেন। যার ফলে তাদের রতি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সাধনার এক পর্যায় বীর্যপাত ঘটানো বা না ঘটানো বা সন্তান জন্ম দেওয়া না দেওয়া তাদের ইচ্ছাধীন বা আয়ত্বাধীন হয়ে যায়। তবে ইহা সহজ কথা নয়। অনেক কঠিন সাধনা।
শ্বাস-প্রশ্বাস ও তত্ত্ব নির্নয়ের মাধ্যমে রতি সাধকগন যৌন কর্ম করে থাকেন। কোন নাসিকায় শ্বাস প্রবাহিত হওয়ার সময় সঙ্গম করলে অধিক সময় সঙ্গম করা যায়, কিভাবে বীর্যকে স্তম্ভন করে রাখা যায়, কিভাবে নিন্মগামী চন্দ্রকে (বীর্য পাত হওয়ার উপক্রম হলে) আবার উর্ধ্বমুখী করা যায় এবং ব্রহ্ম দ্বারে দমকে আটকে রেখে বীর্যকেই রুদ্ধ করে রাখার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা ও দম সাধনার মাধ্যমে এইসব ক্ষমতা অর্জন করাই হল মূলত রতি সাধন কর্ম।
রতি সাধনার আরেকটি বিষয় হল দেহের মাঝে ছয়টা চক্র আছে, যাকে ষটচক্র বলা হয়। এই ষটচক্রভেদ জেনে ও কর্ম করে দেহকে অটল রাখাও রতি সাধনের অন্যতম অংশ।
অনেকেই এই রতি সাধন নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলে এই রতি সাধন সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে। বলে বেড়ায় যে, "রতি সাধনই সব চেয়ে বড় সাধন"। কথাটা একদমই ভুল। কারন সব চেয়ে বড় সাধনা হল 'আত্মচেতনা জাগ্রত করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করা'। যোগ ব্যয়াম বা প্রাণায়াম এর জ্ঞান তো একজন ধর্ষক, চোর, অধার্মিক মানুষও অর্জন করতে পারে ও সে অনুযায়ী কর্ম করতে পারে, তাই বলে কি সেও সাধু হয়ে গেল নাকি!!!! রতি সাধন মূলত 'দম সাধন' এর একটা অংশ মাত্র। রতি সাধনে নারী-পুরুষ অবশ্যই লাগবে, কিন্তু দম সাধনায় নারীর প্রয়োজন নেই। রতি সাধন করলে তার দম সাধনার সব শক্তি অর্জন হবে না, তবে দম সাধনা করলে তার রতি সাধনার সব শক্তি অর্জন হয়ে যাবে। আর এটাও সত্যি যে, দম সাধনাও শেষ সাধনা নয়, বরং দয়াল বা প্রভুর সাধনায় নিজের মনকে স্থীর রেখে দ্রুত আত্মচেতনা জাগ্রত ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে নির্বাণ লাভ করাই হল দম সাধনার প্রধান কারন ও উদ্দেশ্য।
রতি সাধনের মূল আলোচনা শেষ। এখন যার কাছ থেকেই যা শুনেন না কেন, তা এর ভিতরেই খুঁজে পাবেন। তবে রতি সাধনার পদ্ধতি গুলো গুরুর কাছ থেকেই জেনে নিতে হবে সবাইকে। আমি শুধু ধারনা বা আভাস দিলাম। এর মাঝেই অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে।
#বাউল_গান #রতি_সাধনা #শরীয়ত_সরকার
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: