বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মোস্তফার গান । জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার ৪র্থ বর্ষপূর্তি
Автор: জ্ঞানান্বেষণ :: Gyananneshon
Загружено: 2021-03-08
Просмотров: 22
Описание:
পূর্ব রাজারকুল গ্রাম। এটি বাংলাদেশের বিখ্যাত কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় অবস্থিত।পূর্ব রাজারকুল একটি সুজলা-সুফলা গ্রাম।এটি এমন একটি গ্রাম যেখানে জন্ম হয়েছে শত শত মেধাবী তরুণ-তরুণীর এবং অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার।যারা বর্তমানে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।বর্তমানে এই গ্রামে আছে শত শত মেধাবী তরুণ-তরুণী, যারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে দেশের নানান শিক্ষা প্রতিষ্টানে।আমরা বিশ্বাস করি একদিন আমাদের এই সোনার বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে অংশগ্রহণ করবে আমাদের গ্রামের তরুণ-তরুণীরা।বিশ্ব দরবারে আমাদের গ্রামের মাথা উঁচু করবে তারা।
বাংলাদেশে একটি স্বাধীন দেশ, কিন্তু বাংলার জনমানুষ এখনো তাদের কাঙ্কিত স্বাধীনতার দেখা পায়নি। এদেশের কৃষক-ছাত্র-জনতা এখনো তাদের মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি।যদি লক্ষ্য করে দেখি একজন ছাত্র এখনো পরিপূর্ন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না আবার টাকা নেই বলে অনেকে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে।অন্যদিকে কৃষক পাচ্ছে না তার সোনার ফসলের ন্যায্য মূল্য। এইসব আগ্রাসন থাকার পরেও কেউ অন্তন বলতে পারে না আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ!
আজ সারা দেশে সহিত্য ও বিজ্ঞান চর্চার বড্ড অভাব।গ্রামে গ্রামে ছেলে-মেয়েরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সিলেবাস ভিত্তিক বই ছাড়া আর কোন বই পড়তে পারছে না নানান কারণে, যার কারণে তাদের জ্ঞানের পরিধি সীমিত হয়ে পড়ছে, তারা জানতে পারছে না অনেক কিছুই। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান জানতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই শিল্প-সাহিত্য এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে জড়িত থাকতে হবে।আমরা দেখতে পাই এই বিজ্ঞানের যুগে এদেশে এখনো নানান কুসংস্কার প্রচলিত, মানুষ এখনো ধর্মের নামে মারামারি-হানাহানি জারি রেখেছে।গ্রামে গ্রামে রয়েছে অদ্ভুদ সব কু-সংস্কার যার প্রভাব আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে দেখতে পাই।মেয়েদের এখনো ঘরে বন্দী করে রাখার নানান কৌশল আমাদের সমাজে বিদ্যমান। আমাদের এই প্রচলিত সমাজ এখনো মেয়েদের পণ্য হিসেবে দেখে,দেখে ভোগ্য পণ্য হিসেবে।আমরা এইসব নানান কু-প্রথা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে চাইলে আমাদের অবশ্যই প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় সাহিত্য-বিজ্ঞান চর্চার আয়োজন করা উচিৎ।আর এই চর্চার অন্যতম উন্নত মাধ্যম হচ্ছে প্রত্যেক গ্রামে একটি করে পাঠাগার গড়ে তোলা।
জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার ও বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র এমন একটি পাঠাগার যার সৃষ্টি হয়েছে এসব নানান প্রয়োজনে। ১৫ই এপ্রিল ২০১৭ ইং তারিখ পাঠাগারের নব সূচনা ঘটে।গ্রামের কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরেই এই পাঠাগারের পথচলা।গ্রামের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের যখন আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোনঠাসা অবস্থা এবং সাধারণ মানুষের সামাজিক অবস্থার দরুণ পরিণতি তখনি জরুরি প্রয়োজনে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠা।সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক মুক্তি ঘঠলেই কেবল একজন মানুষ পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে।এইসব মুক্তির একমাত্র কারণ হতে পারে একটি পাঠাগর ও বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র।আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানহীন মনন সমাজের মানুষের সহজাত সৌন্দয্যবোধ এবং সাহিত্যচেতনা,তার সৃষ্টিশীলতা ও সংস্কৃতিময়তা, মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ ও ভালোবাসা এবং শিল্পের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে আত্মবিকাশের স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষাকে বিনষ্ট করে দেয়। এই মানবিক বোধসমূহ জাগ্রত ও বিকশিত করে তোলা আমাদের কাজ অথবা সমাজের বাসিন্দা হিসেবে আমাদের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে আমাদের উপর বর্তায়।এই দায়িত্ব পালনে অবিচল ও সদা তৎপর থাকতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।মুক্তির পথ রচনায় এই নিরন্তর ও একনিষ্ট কর্মতৎপরতার মাধ্যমে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার ও বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র সেই সমাজ গঠনের নিশ্চিত পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে; যে সমাজে সুষ্ঠু মানবতাবাদী সুকুমার বৃত্তিগুলোর হবে পরিপূর্ণ বিকাশ; আমাদের ভবিষ্যত বংশধররা সেখানে বেড়ে উঠবে এক পরিপূর্ণ মানবিক গুণাবলি ও অধিকারসম্পন্ন মানুষ হিসেবে।সেখানে আমরা দেখবো আমাদের সৃষ্টিশীলতার নব জাগরণ।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: